Recently Lyrics Updated

এক নদী যমুনা

আমি আর আমার দু’চোখ কখনো জলে ভেজাবো না
এ ব্যথা আমারই থাক, চাই না কারও সান্ত্বনা

পৃথিবী ভালবাসে না, ভালবাসতেও সে জানে না।
পৃথিবী ভালবাসে না, ভালবাসতেও সে জানে না।

কান্নায় লাভ নেই, কান্নায় হবে না কোনদিন পদ্মা-মেঘনা
দিনের আলোয় শুকিয়ে যাবে সে
হবে না তো এক নদী যমুনা।

কান্নায় লাভ নেই, কান্নায় হবে না কোনদিন পদ্মা-মেঘনা
দিনের আলোয় শুকিয়ে যাবে সে
হবে না তো এক নদী যমুনা।

টেনে নিয়ে বুকের কাছে,
ছুঁড়ে দেয় ধূলোর মাঝে।
টেনে নিয়ে বুকের কাছে,
ছুঁড়ে দেয় ধূলোর মাঝে।
ভালবাসার নিয়ম মানি না
তাইতো অশ্রু এখন আসে না
দিও না, দিও না, সান্ত্বনা

কান্নায় লাভ নেই, কান্নায় হবে না কোনদিন পদ্মা-মেঘনা
দিনের আলোয় শুকিয়ে যাবে সে
হবে না তো এক নদী যমুনা।
কান্নায় লাভ নেই, কান্নায় হবে না কোনদিন পদ্মা-মেঘনা
দিনের আলোয় শুকিয়ে যাবে সে
হবে না তো এক নদী যমুনা।

ডুবেছিল মায়াজালে হৃদয়
সেই ক্ষত এখনো কথা কয়।
ডুবেছিল মায়াজালে হৃদয়
সেই ক্ষত এখনো কথা কয়।

ভালবাসার নিয়ম মানি না
তাইতো অশ্রু এখন আসে না
দিও না, দিও না, সান্ত্বনা

কান্নায় লাভ নেই, কান্নায় হবে না কোনদিন পদ্মা-মেঘনা
দিনের আলোয় শুকিয়ে যাবে সে
হবে না তো এক নদী যমুনা।
কান্নায় লাভ নেই, কান্নায় হবে না কোনদিন পদ্মা-মেঘনা
দিনের আলোয় শুকিয়ে যাবে সে
হবে না তো এক নদী যমুনা।

বাবা

ছেলে আমার বড় হবে,
মাকে বলত সে কথা। 
হবে মানুষের মত মানুষ এক, 
লেখা ইতিহাসের পাতায়। 
নিজ হাতে খেতে পারতাম না,
বাবা বলত- 
“ও খোকা, যখন আমি থাকবনা,
কি করবি রে বোকা”
এতো রক্তের সাখে রক্তের টান স্বার্থের অনেক উর্ধ্বে
হঠাৎ অজানা ঝড়ে তোমায় হারালাম
মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। 

বাবা কতদিন কতদিন দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা তোমার মত 
“কোথায় খোকা ওরে বুকে আয়”
বাবা কতরাত কতরাত দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা - 
“মানিক কোথায় আমার ওরে বুকে আয়”। 

চশমাটা তেমনি আছে, 
আছে লাঠি ও পাঞ্জাবী তোমার
ইজিচেয়ারটাও আছে, 
নেই সেখানে অলস দেহ শুধু তোমার। 
আযানের ধ্বনি আজো শুনি, 
ভাঙ্গাবেনা ভোরে ঘুম জানি
শুধু শুনিনা তোমার সেই দরাজ কন্ঠে পড়া 
পবিত্র কোরআনের বানী। 

বাবা কতদিন কতদিন দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা তোমার মত 
“কোথায় খোকা ওরে বুকে আয়”। 
বাবা কতরাত কতরাত দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা- 
“মানিক কোথায় আমার ওরে বুকে আয়”

ছেলে আমার বড় হবে,
মাকে বলত সে কথা। 
হবে মানুষের মত মানুষ এক, 
লেখা ইতিহাসের পাতায়। 
নিজ হাতে খেতে পারতাম না,
বাবা বলত- 
ও খোকা,ও খোকা?
যখন আমি থাকবনা,
কি করবি রে বোকা”
এতো রক্তের সাখে রক্তের টান স্বার্থের অনেক উর্ধ্বে
হঠাৎ অজানা ঝড়ে তোমায় হারালাম
মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। 

বাবা কতদিন কতদিন দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা তোমার মত 
“কোথায় খোকা ওরে বুকে আয়”
বাবা কতরাত কতরাত দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা - 
“মানিক কোথায় আমার ওরে বুকে আয়”। 

মা

দশ মাস দশ দিন ধরে গর্ভে ধারণ,
কষ্টের তীব্রতায় করেছে আমায় লালন,
হঠাৎ কোথায় না বলে হারিয়ে গেলো
জন্মান্তরের বাধন কোথা হারালো?

সবাই বলে ঐ আকাশে লুকিয়ে আছে,
খুঁজে দেখো পাবে দূর নক্ষত্র মাঝে,
রাতের তারা আমায় কি তুই বলতে পারিস?
কোথায় আছে, কেমন আছে মা?
ভোরের তারা রাতের তারা মাকে জানিয়ে দিস
অনেক কেঁদেছি, আর কাঁদতে পারি না। 

মায়ের কোলে শুয়ে হারানো সে সুখ,
অন্য মুখে খুঁজে ফিরি সেই প্রিয় মুখ,
অনেক ঋণের জালে মাগো বেধেছিলে তাই
বিষাদের অভয়ারণ্যে ভয় তবু পাই। 

সবাই বলে ঐ আকাশে লুকিয়ে আছে,
খুঁজে দেখো পাবে দূর নক্ষত্র মাঝে,
রাতের তারা আমায় কি তুই বলতে পারিস?
কোথায় আছে, কেমন আছে মা?
ভোরের তারা রাতের তারা মাকে জানিয়ে দিস
অনেক কেঁদেছি, আর কাঁদতে পারি না। 

সবাই বলে ঐ আকাশে লুকিয়ে আছে,
খুঁজে দেখো পাবে দূর নক্ষত্র মাঝে,
রাতের তারা আমায় কি তুই বলতে পারিস?
কোথায় আছে, কেমন আছে মা?
ভোরের তারা রাতের তারা মাকে জানিয়ে দিস
অনেক কেঁদেছি, আর কাঁদতে পারি না।। 
টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে

টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে, 
তোমায় কিনে দেওয়া
সে রুমাল চেপে, 
এখনো কেন কাঁদো। 
কি হবে প্রদীপ জ্বেলে
স্মৃতির সাথে সাপ লুডু খেলে। 

এবার বৈশাখী ঝড়ে
সে রুমাল উড়িয়ে দিও, 
বৈশাখী শুভেচ্ছা নিও। 
এবার বৈশাখী ঝড়ে
সে রুমাল উড়িয়ে দিও, 
বৈশাখী শুভেচ্ছা নিও। 

সকালের শুরু থেকে
গোধূলির রঙ
হয়তো তোমার কাছে অন্য লাগে, 
জোছনাও সে তো আজ হয়ে গেছে ফিকে
তোমার একরাশ রাগ আনুরাগে। 
কি হবে প্রদীপ জ্বেলে
স্মৃতির সাথে সাপ লুডু খেলে। 
এবার বৈশাখী ঝড়ে
সে রুমাল উড়িয়ে দিও, 
বৈশাখী শুভেচ্ছা নিও। 

এবার বৈশাখী ঝড়ে
সে রুমাল উড়িয়ে দিও, 
বৈশাখী শুভেচ্ছা নিও। 

আরে তুমি তেমন নেই আমিও যেমন 
যান্ত্রিক জীবনের নাটকীয়তায়, 
রং তুলি সাজিয়ে একোনা তাকে
একোনা পুরনো সেই অধ্যায়। 

কি হবে প্রদীপ জ্বেলে 
স্মৃতির সাথে সাপ লুডু খেলে। 
এবার বৈশাখী ঝড়ে
সে রুমাল উড়িয়ে দিও, 
বৈশাখী শুভেচ্ছা নিও। 

টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে, 
তোমায় কিনে দেওয়া
সে রুমাল চেপে, 
এখনো কেন কাঁদো। 
কি হবে প্রদীপ জ্বেলে
স্মৃতির সাথে সাপ লুডু খেলে। 

এবার বৈশাখী ঝড়ে
সে রুমাল উড়িয়ে দিও, 
বৈশাখী শুভেচ্ছা নিও। 
এবার বৈশাখী ঝড়ে
সে রুমাল উড়িয়ে দিও, 
বৈশাখী শুভেচ্ছা নিও।