Recently Lyrics Updated

Song: Tumi Ashbe Bole; Song: তুমি আসবে বলে; Artiste: Nachiketa; Music Director: Nachiketa; Lyricist: Nachiketa; Album: Ei Agune Haat Rakho


তুমি আসবে বলেই

তুমি আসবে বলেই আকাশ মেঘলা বৃষ্টি এখনো হয়নি

তুমি আসবে বলেই কৃষ্ণচূড়ার ফুলগুলো ঝরে যায়নি

তুমি আসবে বলেই

তুমি আসবে বলেই অন্ধ কানাই বসে আছে গান গায়নি

তুমি আসবে বলেই অন্ধ কানাই বসে আছে গান গায়নি

তুমি আসবে বলেই চৌরাস্তার পুলিশটা ঘুষ খায়নি

তুমি আসবে বলেই

তুমি আসবে বলেই জাকির হুসাইন ভুল করে ফেলে তালে

তুমি আসবে বলেই মুখ্যমন্ত্রী চুমু খেল স্ত্রীর গালে

তুমি আসবে বলেই সোনালী স্বপ্ন ভীড় করে আসে চোখে

তুমি আসবে বলেই আগামী বলছে দেখতে আসবো তোকে

তুমি আসবে বলেই

তুমি আসবে বলেই আমার দ্বিধারা উত্তর খুঁজে পায়নি

তুমি আসবে বলেই দেশটা এখনো গুজরাট হয়ে যায়নি

তুমি আসবে বলেই

তুমি আসবে বলেই সন্ত্রাসবাদ গুটিয়ে নিয়েছে থাবা

তুমি আসবে বলেই জ্যোতিষ ছেড়েছে কত না ভন্ড বাবা

তুমি আসবে বলেই পাড়ার মেয়েরা মুখ করে আছে ভার

তুমি আসবে বলেই ঈশান কোণেতে জমেছে অন্ধকার

তুমি আসবে বলেই

তুমি আসবে বলেই বখাটে ছেলেটা শিস দিতে দিতে দেয়নি

তুমি আসবে বলেই আমার কলম এখনও বিক্রি হয়নি

তুমি আসবে বলেই

তুমি আসবে বলেই

তুমি আসবে বলেই

কথা ও সুরঃ নচিকেতা চক্রবর্তী
কন্ঠঃ নচিকেতা চক্রবর্তী

আমার পরিচয় বেকার যুবক আমি
সম্বল একটাই দৈন্য
ডিগ্রির ভাঁড়ারেতে তবু কিছু মাল আছে, 
পকেটের ভাঁড়ারটা শুন্য
যেদিকেই তাকাই না, দেখি জন-অরণ্য
সে অরণ্যেই দেখি মানুষেরা পণ্য
বধুকে পোড়ানো হয়, অধর্ম জয়ী হয়
মানুষের রক্তে দিনলিপি সই হয়
হাসপাতালের বেডে টিবি রোগীর সাথে 
খেলা করে শুয়োরের বাচ্চা
তবু রেডিওটা টিভিটার সাথে সুর ধরে – 
সারে জাঁহা ছে আচ্ছা

লাঞ্ছনা গঞ্জনা মাখা অভিযোজনে
রপ্ত করেছি নিজেকে
অসৎ হবার বহু বহু প্রচেষ্টায়
ব্যর্থ করেছি নিজেকে
চাকরির সন্ধানে সুখতলা খয়ে যায়
গঙ্গার জল তবু একই ভাবে বয়ে যায়
ঘুষ  ঘুষ ঘুষের এক ঘুস-ঘুসে জ্বরে
গোটা দেশ চিৎকার করে ডাকে ‘ডাক্তার’
ডাক্তার উড়ে আসে ঋণের ওষুধ নিয়ে 
গঙ্গার পুজো হয় গঙ্গার জল দিয়ে
বছরের অন্তে বাজেটের যন্ত্রে 
পিষে দেই জীবনটা গচ্চা
তবু রেডিওটা টিভিটার সাথে সুর ধরে – 
সারে জাঁহা ছে আচ্ছা।

প্রার্থির যোগ্যতা অথবা অভিজ্ঞতা
এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের দীনতা
কোনো কিছুই কোনো কিছুকেই ঢাকে না
আর ‘লোক’ অথবা ‘বিধান’ যে দিকেই তাকান
রাজনীতিজ্ঞ হতে যোগ্যতা লাগে না
হাজার প্রতিশ্রুতি বাতাসেই বয়ে যায়, 
‘চলছে না, চলবে না’, তবু তাই হয়ে যায়
কত শত শয়তান  হতে চায় ভগবান 
আল্লাহ না বড় রাম  এই চলে অবিরাম
খুনোখুনি লাঠালাঠি  অবিরাম অনুক্ষণ
এদিকে তোমার আমার পেটেতে ছুঁচোর ডন
সমাজ বিরোধি কিছু  করে বলে মাথা উঁচু
সমাজবাদের পথই সাচ্চা
তবু রেডিওটা টিভিটার সাথে সুর ধরে – 
সারে জাঁহা ছে আচ্ছা।

শিরোনামঃ গান শুনবোনা
গীতিকার ও সুরকারঃ নচিকেতা
শিল্পীঃ নচিকেতা ১৯৯৩]


শুনবোনা গান গান শুনবো না
শুনবোনা গান গান শুনবো না
হেই গান গেয়ে গান শুনে ভরে নাতো পেট
খালি পেটে হাটা চলা করে মাথা হেট
গান গেয়ে গান শুনে ভরে নাতো পেট
খালি পেটে হাটা চলা করে মাথা হেট
গান যদি খাওয়া যেতো তবে বড় ভাল হতো
রেশনের লাইনেতে ভিড় যেতো কমে
দোকান বাজার উঠে যেতো প্রত্থমে
তা যখন হয় না কিছু বদলায় না
কেন শুনবো কেন শুনবো
কেন শুনবো একঘেয়ে ঘ্যান ঘ্যান
শুনবোনা গান গান শুনবো না
শুনবোনা গান গান শুনবো না।

এক ঘেয়ে ঘ্যান ঘ্যান বিরহ প্রেমের গান
আমি তুমি তুমি আমি তুমি আমি আমি তুমি
পারমোটেশন আর কম্বিনেশন
অথবা শোষকদের কালো হাত
ভেঙ্গে দাও ভেঙ্গে দাও ভেঙ্গে দাও
এই বলে চিৎকার এটা হতো গান
শোষকের কটা হাত কটা মাথা কটা দাঁত
এর কোন উত্তর দেয় নাতো গান
উত্তর একটাই নিজে খুঁজে নাও
নিজে যদি খুঁজবো নিজেদেরই বুঝবো
প্রয়োজন নেই গান শুনবো না
গান শুনবো না শুনবো না শুনবো না
গান শুনবোনা গান গান শুনবো না
শুনবোনা গান গান শুনবো না।

চারিদিকে আতঙ্ক বম বম বম্বে
ভয়ে আটখানা হয় দিল্লীকা বিল্লি
লাগেনা লাগেনা লাগেনা কোন কম্মে
পশুদের সাথে মানুষের সহবাস
পশুদের সাথে মানুষের সহবাস
প্রশাসন তবু দিয়ে যায় আশ্বাস
টেনশান দিয়ে দিয়ে ছোট মেয়েটার বিয়ে
মাস্টার গেইম আর মাস্টার প্লাস
ধর্ম নেমেছে পথে রাজনীতি কি ভিষণ
মানুষ মুখোশে মোড়া সবাইতো বিভিষণ
একটাই সান্ত্বনা বসে বসে দিন গোণা
না না না গুণবো না
দিন গুণবো না গুণবো না গুণবো না
দিন গুণবো না দিন দিন গুণবো না
গুণবো না দিন দিন গুণবো না।।

হেই, হেই তুমি চুপ করে বসে ভাবো কার কথা?
প্রেম?...আরে মোটা মানিব্যাগ দেখে
তোমাকে সাইডে রেখে দৌড়োবে সোজা,
সোজা দৌড়োবে প্রেম
ইট কাঠ পাথরেতে ঢাকা এই শহরেতে
হৃদয়ের কারবার?
লোকসান বার বার বার
বেকার যুবকদের সান্ত্বনা একটাই
চাকরির বদলেতে আছে প্রেম
রুজির ঠিকানাহীন আঁকাবাঁকা পথ ধরে
আশাকে বাঁচিয়ে রাখা অনেক যত্ন করে
তারপর একদিন পথ চলা সাড়া হলে
ঝুলি হাতড়িয়ে দেখা নেই প্রেম
অনেক অনেক দাম জীবন যে তার নাম
তারই পথের বাঁকে হারিয়েছে প্রেম
প্রেম তাই খাটি সোনা এ কথা অনেক শোনা
প্রেম তাই খাটি সোনা এ কথা অনেক শোনা
বসে বসে শুধু বসে মিথ্যার জাল বোনা
না না না বুনবো না
জাল বুনবো না বুনবো না বুনবো না
জাল বুনবো না জাল জাল বুনবো না
বুনবো না জাল জাল বুনবো না আ আ
শুনবোনা গান গান শুনবো না
শুনবোনা গান গান শুনবো না
শুনবোনা গান গান শুনবো না
শুনবোনা গান গান শুনবো না
শুনবোনা গান।
বৃদ্ধাশ্রম

ছেলে আমার মস্ত মানুষ,মস্ত অফিসার
মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার ওপার, 
ছেলে আমার মস্ত মানুষ,মস্ত অফিসার
মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার ওপার।
নানান রকম জিনিস আর আসবাব দামী দামী
সবচেয়ে কম দামী ছিলাম একমাত্র আমি।
ছেলের আমার আমার প্রতি অগাধ সম্ভ্রম
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম!

আমার ব্যবহারের সেই আলমারি আর আয়না
ওসব নাকি বেশ পুরনো,ফ্ল্যাটে রাখা যায় না, 
আমার ব্যবহারের সেই আলমারি আর আয়না
ওসব নাকি বেশ পুরনো,ফ্ল্যাটে রাখা যায় না।
ওর বাবার ছবি,ঘড়ি-ছড়ি,বিদেয় হলো তাড়াতাড়ি
ছেড়ে দিলো, কাকে খেলো, পোষা বুড়ো ময়না।
স্বামী-স্ত্রী আর আ্যালসেশিয়ান-জায়গা বড়ই কম
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম!

নিজের হাতে ভাত খেতে পারতো নাকো খোকা
বলতাম আমি না থাকলে কি করবি বোকা?
ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদতো খোকা আমার কথা শুনে-
খোকা বোধ হয় আর কাঁদে না,নেই বুঝি আর মনে।
ছোট্টবেলায় স্বপ্ন দেখে উঠতো খোকা কেঁদে
দু’হাত দিয়ে বুকের কাছে রেখে দিতাম বেঁধে
দু’হাত আজো খুঁজে,ভুলে যায় যে একদম-
আমার ঠিকানা এখন বৃদ্ধাশ্রম!

খোকারও হয়েছে ছেলে,দু’বছর হলো
তার তো মাত্র বয়স পঁচিশ,ঠাকুর মুখ তোলো।
একশো বছর বাঁচতে চাই এখন আমার সাধ
পঁচিশ বছর পরে খোকার হবে ঊনষাট।
আশ্রমের এই ঘরটা ছোট,জায়গা অনেক বেশি-
খোকা-আমি,দু’জনেতে থাকবো পাশাপাশি।
সেই দিনটার স্বপ্ন দেখি ভীষণ রকম
মুখোমুখি আমি,খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!
মুখোমুখি আমি,খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!
মুখোমুখি আমি,খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!
নীলাঞ্জনা

লাল ফিতে সাদা মোজা সু স্কুলের ইউনিফর্ম,
ন'টার সাইরেন সংকেত সিলেবাসে মনোযোগ কম,
পড়া ফেলে এক ছুট ছুট্টে রাস্তার মোড়ে,
দেখে সাইরেন মিস করা দোকানীরা দেয় ঘড়িতে দম,
এরপর একরাশ কালো কালো ধোঁয়া,
স্কুল বাসে করে তার দ্রুত চলে যাওয়া ।

এরপর বিষন্ন দিন বাজেনা মনোবীণ,
অবসাদে ঘিরে থাকা সে দীর্ঘ দিন,
হাজার কবিতা বেকার সবই তা, 
হাজার কবিতা বেকার সবই তা। 
তার কথা কেউ বলে না,
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা, 
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা ।

সন্ধ্যা ঘনাতো যখন পাড়ায় পাড়ায়,
রক থাকতো ভরে কিছু বখাটে ছোড়ায়,
হিন্দি গানের কলি সদ্য শেখা গালাগালি
একঘেয়ে হয়ে যেত সময় সময় ।

তখন উদাস মন ভুলে মনোরঞ্জন,
দাম দিয়ে যন্ত্রনা কিনতে চায়,
তখন নীলাঞ্জনা প্রেমিকের কল্পনা,
ও মনের গভীরতা জানতে চায় ।

যখন খোলা চুলে হয়তো মনের ভুলে,
তাকাতো সে অবহেলে দু'চোখ মেলে,
হাজার কবিতা বেকার সবই তা, 
হাজার কবিতা বেকার সবই তা।
তার কথা কেউ বলে না,
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা, 
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা ।

অংকের খাতা ভরা থাকতো আঁকায়,
তার ছবি তার নাম পাতায় পাতায়,
হাজার অনুষ্ঠান প্রভাত ফেরীর গান
মন দিন গুনে এই দিনে আশায় ।

রাত জেগে নাটকের মহড়ায় চঞ্চল
মন শুধু সে ক্ষনের প্রতিক্ষায়, 
রাত্রির আঙ্গিনায় যদি খোলা জানালায়, 
একবার একবার যদি সে দাঁড়ায়। 

বোঝেনি অবুঝ মন নীলাঞ্জনা তখন,
নিজেতে ছিলো মগণ এ প্রানপণ,
হাজার কবিতা বেকার সবই তা, 
হাজার কবিতা বেকার সবই তা ।
তার কথা কেউ বলে না,
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা ।

সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা ........