Recently Lyrics Updated

গানঃ মেলায় যাইরে (মেলা)
কন্ঠঃ মাকসুদ
ব্যান্ডঃ ফিডব্যাক

মেলায় যাইরে মেলায় যাইরে
জেগেছে বাঙ্গালির ঘরে ঘরে এ কি মাতন দোলা
জেগেছে সুরেরই তালে তালে হৃদয় মাতন দোলা
বছর ঘুরে এলো আরেক প্রভাত নিয়ে
ফিরে এলো সুরের মঞ্জুরী
পলাশ শিমুল গাছে লেগেছে আগুন
এ বুঝি বৈশাখ এলেই শুনি..... 

মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে 
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে। 

বাসন্তী রঙ শাড়ি পড়ে ললনারা হেটে যায়
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে 
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে। 

ঐ বখাটে ছেলেদের ভিড়ে ললনাদের রেহাই নাই
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে। 

জেগেছে রমণীর খোপাতে বেলী ফুলের মালা
ভিনদেশী সুগন্ধী মেখে আজ প্রেমের কথা বলা
রমনা বটমূলে গান থেমে গেলে
প্রখর রোদে এ যেন মিছিল চলে
ঢাকার রাজপথে রঙের মেলায়
এ বুঝি বৈশাখ এলেই বলেই.....

মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে 
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে। 

বাসন্তী রঙ শাড়ি পড়ে ললনারা হেটে যায়
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে 
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে।  

ঐ বখাটে ছেলেদের ভিড়ে ললনাদের রেহাই নাই
মেলায় যাই রে মেলায় যাই রে
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে। 

বছর ঘুরে এলো আরেক প্রভাত নিয়ে
ফিরে এলো সুরের মঞ্জুরী
পলাশ শিমুল গাছে লেগেছে আগুন
এ বুঝি বৈশাখ এলেই শুনি
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে 
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে। 

বাসন্তী রঙ শাড়ি পড়ে ললনারা হেটে যায়
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে 
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে। 

ঐ বখাটে ছেলেদের ভিড়ে ললনাদের রেহাই নাই
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে। 
গানঃ এমন যদি হতো
ব্যান্ডঃ জলের গান
কথা ও সুরঃ রাহুল আকন্দ

এমন যদি হতো
আমি পাখির মত
উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ
এমন যদি হতো
আমি পাখির মত
উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ
পালাই বহুদূরে
ক্লান্ত ভবঘুরে
ফিরবো ঘরে কোথায় এমন ঘর
বৃক্ষ তলে শুয়ে তোমার দুঃখ ছুঁয়ে
বৃক্ষ তলে শুয়ে তোমার দুঃখ ছুঁয়ে
ঘুম আসেনা ঘুমও স্বার্থপর
এমন যদি হতো
আমি পাখির মত
উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ
এমন যদি হতো
আমি পাখির মত
উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ

হঠাৎ ফিরে দেখি
নিজের মুখোমুখি
শূন্য ভীষণ শূন্য মনে হয়
কী আর এমন হবে
কে পেয়েছে কবে
কী আর এমন হবে
কে পেয়েছে কবে
স্বপ্নগুলো স্বপ্ন হয়েই রয়
এমন যদি হতো
আমি পাখির মত
উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ
এমন যদি হতো
আমি পাখির মত
উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ

হতাম যদি রঙ্গিন প্রজাপতি
ফুলে ফুলে মাতামাতি
হতাম যদি রঙ্গিন প্রজাপতি
ফুলে ফুলে মাতামাতি
দিনের আলো কাটে উড়ে উড়ে
তোমার আমার গানের সুরে
বৃক্ষ তলে শুয়ে তোমার দুঃখ ছুঁয়ে
বৃক্ষ তলে শুয়ে তোমার দুঃখ ছুঁয়ে
ঘুম আসেনা ঘুমও স্বার্থপর
এমন যদি হতো
আমি পাখির মত
উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ
এমন যদি হতো
আমি পাখির মত
উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ 
গানঃ ওপারে 
ব্যান্ডঃ Bay of Bengal
কন্ঠঃ Bakhtiar Hossain

ওপারের ভেসে আসা মৃদু আলো
পরে চোখে
নীল স্বপ্নীল দৃষ্টি ঘুচে যাওয়া
নিঝুম অরন্যে
আধাঁরের মাঝে ঘুমহীন অচেতন
রাত্রিযাপন
অপেক্ষায় মিশে যায় জীবনের
সব স্মৃতিচারণ

আমি ছিলাম তোমাদেরি মাঝে
হেসেছিলাম একসাথে
উড়েছিলাম স্বপ্নীল আকাশে
চাঁদের দেশে যেতে হারিয়ে;
আমি ছিলাম তোমাদেরি মাঝে
হেসেছিলাম একসাথে
উড়েছিলাম স্বপ্নীল আকাশে
চাঁদের দেশে যেতে হারিয়ে।

দিশেহারা আমার প্রতিক্ষা
ভেসে যাওয়ার ওপারে
মুক্তির অপেক্ষায় আমার স্বত্বা
প্রহর গোনে

আমি ছিলাম তোমাদেরি মাঝে
হেসেছিলাম একসাথে
উড়েছিলাম স্বপ্নীল আকাশে
চাঁদের দেশে যেতে হারিয়ে;
আমি ছিলাম তোমাদেরি মাঝে
হেসেছিলাম একসাথে
উড়েছিলাম স্বপ্নীল আকাশে
চাঁদের দেশে যেতে হারিয়ে।
গানঃ এই অবেলায় 
ব্যান্ডঃ শিরোনামহীন 
কথাঃ জিয়াউর রহমান 
সুরঃ কাজী শাফিন আহমেদ 


এই অবেলায়, তোমারি আকাশে, নিরব আপোষে

ভেসে যায়

সেই ভীষন শীতল ভেজা চোখ 

কখনো দেখাইনি তোমায়

কেউ কোথাও ভালো নেই যেন সেই, 

কতকাল আর হাতে হাত অবেলায়?

কতকাল আর ভুল অবসন্ন বিকেলে

ভেজা চোখ দেখাইনি তোমায়

সেই কবেকার ভায়োলিন, বেজে যায় কতদিন

প্রানে চাপা ঢেউ, দেখেনি আর কেউ।।

কখনো অভিমান, অবাধ্য পিছুটান 

জানিনা কি কষ্টে এই অবেলায় 

তবুও নির্বাসন বাসর সাজিয়ে, 

ঠোঁটে চেপে ধরা থাক ভালোবাসায়।


ঘুনে খাওয়া মেঘে কালো হয়ে যায় হৃদয় যখন 

একা একা শুধু অকারণেই ঝরে বৃষ্টি এমন

আজও তাই, অবাক রঙে এঁকে যাই

সাদাকালো রঙ মাখা ফানুসের মুহুর্ত রাঙাই

ভীষণ কালো মেঘ, পুড়ে ছাই আবেগে আজও তাই

অবাক জোছনায় পোড়া চোখ তবুও সাজাই।


এই সন্ধ্যায়, দুচোখ সাগরে, বুকের পাঁজড়ে

ভেসে যায়

অবাক জোছনায় লুকিয়ে রেখেছি

ভেজা চোখ দেখাইনি তোমায়।। 

 শিরোনামঃ আবার হাসিমুখ

ব্যান্ডঃ শিরোনামহীন

কথা ও সুরঃ জিয়াউর রহমান

সেই কবে ছিল উচ্ছ্বাস, কিছু শঙ্কায় ভরা চুম্বন

ছিল প্রেমিকার ঘন নিশ্বাস, হাসিমুখে ফোয়ারা।

এই অবেলায় ফোঁটা কাশফুল, নিয়তির মত নির্ভুল

যেন আহত কোন যোদ্ধার বুকে বেঁচে থাকা এক মেঘফুল

যদি ঘরে ফেরা পাখি নিশ্চুপ, হৃদয়ে ঢেউ ভাঙ্গে ছুপছুপ,

তবু জাহাজীর নাগরিক ঢেউ, অপরাধ মেনে নিয়ে কেউ কেউ,

যদি শোঁকগাথা হাতে বহুদূর যাও একদিন ঠিকই এনে দেব হাসিমুখ।।

রোদ্দুর, একসাথে হেঁটে হেঁটে যেতে চাই বহুদূর

বুকের ভেতর ডানা ঝাপ্ টায় পাখি, বেপরোয়া ভাংচুর।

তুমি চেয়ে আছ তাই আমি পথে হেঁটে যাই,

তুমি চেয়ে আছ তাই আমি পথে হেঁটে যাই।


বুকের পাঁজরে ওড়ে প্রজাপতি, স্বপ্নের দিগন্ত রঙিন।

ইচ্ছে হলেই এনে দিতে পারে বেপরোয়া রোদ্দুর ঝলমল দিন।

প্রেমিকার মুখ রক্তিম ছিল রোদ উঠে গেছে তাই

তো্মাদের নগরীতে আমি আজও হেঁটে বেড়াই।।

রোদ্দুর, চলো একসাথে হেঁটে যেতে চাই বহুদূর

বুকের ভেতর ডানা ঝাপ্ টায় পাখি, বেপরোয়া ভাংচুর।


বৃষ্টি ভেজা সুখ-দুখ, খোলা জানালায় হাসিমুখ

উড়ছে কিছু প্রজাপতি মেঘ মনের জানালায়।

জানালায় ছিল রোদ্দুর, মেঘ ভেসে গেল বহূদুর

নগরের প্রিয় চিরকুট সব জীবন ছেড়ে পালায়।

তুমি চেয়ে আছ তাই আমি পথে হেঁটে যাই,

হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই

তুমি চেয়ে আছ তাই আমি পথে হেঁটে যাই,

হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর, বহুদূর..

প্রতিটি রাস্তায়, প্রতিটি জানালায়

তোমাদের যারা হাসিমুখে বহুদূর যেতে চায়;

তুমি চেয়ে আছ তাই আমি পথে হেঁটে যাই,

হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই

তুমি চেয়ে আছ তাই, আমি পথে হেটে যাই,

হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর ...

 গানঃ ঘুম

ব্যান্ডঃ Odd Signature

খোলা চোখখানা করো বন্ধ

বাতাসের ঠাণ্ডা গন্ধ

বয়ে বেড়ায় ঘরেরও বাহিরে

আসো ছোট্ট একটা গান করি

যাতে ঘুম পাড়ানি মাসি এসে পাশে বসে

হাতখানা দিবে কপাল ভরে

ভয় নেই, আছি আমি পাশে

হাতখানা ধরে আছি হেসে

কোলেতে আমার মাথা তোমার। 


অন্ধকার রাত, নিশ্চুপ সব

জোনাকির দল আজও জেগে আছে

তারা হয়তো অপেক্ষায় তোমার ঘুমের

হাতে রেখে হাত দেখে ঘড়ি

বসে অপেক্ষা করি

কবে হবে কাল, ফুটবে সকাল। 


আয়, ঘুম চুম্বন দে তার সারা কপালে

যাতে ঘুম আসে সব নিশ্চুপ হয়ে যায়

আয়, চাঁদমামা কাছে আয়

যাতে অন্ধকার না হয়

আলোমাখা কপালেতে টিপ টা দে

যাতে কিছু আলোকিত হয়

সে যাতে ভয় না পায়। 


পরি আয়, তার দুই হাত ধরে

নিয়ে যা স্বপ্নের খেলাঘরে

যেথা মিলবে তার সুখের ঠিকানায়

তারাদল ছুটে আয় এইখানে

তার ঘুমখানা যাতে না ভাঙে তাই

নিয়ে যা তাকে স্বর্গের বিছানায়

যদি দেখো সেথা আমায়

বসে গান তোমায় শোনাই

তুমি মিষ্টি এক চুমু খেয়ো মোর গালে। 


অন্ধকার রাত, নিশ্চুপ সব

জোনাকির দল আজো জেগে আছে

তারা হয়তো অপেক্ষায় তোমার ঘুমের

হাতে রেখে হাত দেখে ঘড়ি

বসে অপেক্ষা করি

কবে হবে কাল, ফুটবে সকাল। 


আয়, ঘুম চুম্বন দে তার সারা কপালে

যাতে ঘুম আসে সব নিশ্চুপ হয়ে যায়

আয়, চাঁদমামা কাছে আয়

যাতে অন্ধকার না হয়

আলোমাখা কপালেতে টিপ টা দে

যাতে কিছু আলোকিত হয়

আয়...

আয়...

 গানঃ নীল হবো

ব্যান্ডঃ ভাইকিং

নীল এখানে জমে থাকে পাঁজর খুড়েই,

ভীড় ওখানেই বোকা মনের হিসেব মেলাতেই,

ভয় সেখানে জাপটে ধরে বাঁচার আশা ক্ষণিকের, 

চিড় ধরা রাতের বুকে আড়ি পাতা হাহাকার, 

খুঁজে ফেরা কত পথে কে আমি আমি কার...


এবার আমি নীল হবো... 

নিদারুণ আঘাতে থেতলে যাওয়া মাংসের চারপাশের মতো...

এবার আমি রোদ হবো,

মেঘহীন উষ্ণতায় বাড়িয়ে দেওয়া ফাঁপা বুকের মতো।

এবার আমি.... আমার হবো। 


আজ সেখানে থেমে যাওয়া পথের বাঁকেই,

না এভাবে ক্লান্ত পথে দিক হারাবেই,

হোক সেভাবেই, কষ্টগুলো মুঠো-পোড়া নিমিষেই।

তবু চিড় ধরা রাতের বুকে আড়ি পাতা হাহাকার, 

খুঁজে ফেরা কত পথে কে আমি আমি কার...

এবার আমি নীল হবো... 

নিদারুণ আঘাতে থেতলে যাওয়া মাংসের চারপাশের মতো...

এবার আমি রোদ হবো,

মেঘহীন উষ্ণতায় বাড়িয়ে দেওয়া ফাঁপা বুকের মতো।

এবার আমি.... আমার হবো। 


চিড় ধরা রাতের বুকে আড়ি পাতা হাহাকার, 

খুঁজে ফেরা ভুল পথে কে আমি আমি কার...

এবার আমি নীল হবো... 

নিদারুণ আঘাতে থেতলে যাওয়া মাংসের চারপাশের মতো...

এবার আমি রোদ হবো,

মেঘহীন উষ্ণতায় বাড়িয়ে দেওয়া ফাঁপা বুকের মতো।

এবার আমি নীল হবো... 

নিদারুণ আঘাতে থেতলে যাওয়া মাংসের চারপাশের মতো...

এবার আমি রোদ হবো,

মেঘহীন উষ্ণতায় বাড়িয়ে দেওয়া ফাঁপা বুকের মতো।

এবার আমি.... 

গানঃ আজ রাতে কোনো রূপকথা নেই

কণ্ঠঃ Mobaswer Chowdhuri

ব্যান্ডঃ Old School

কথাঃ  Ahosanus Sakib


চাঁদমামা আজ বড্ড একা

বড় হয়েছি আমি

রোজ রাতে আর হয়না কথা

হয়না নেওয়া হামি (x2)


রোজ রাতে আর চাঁদের বুড়ি,

কাটেনা চরকা রোজ

ও বুড়ি, তুই আছিস কেমন

হয়না নেওয়া খোঁজ।


কোথায় গেলো সে রুপকথার রাত,

হাজার গল্প শোনা

রাজার কুমার, কোটাল কুমার, পঙ্খীরাজ,

সে ঘোড়া। (x2)


কেড়ে নিলো কে সে আজোব সময়

আমার কাজলা দিদি

কে রে তুই, কোন দৈত্যদানো

সব যে কেড়ে নিলি..


কেরে তুই, কেরে তুই

সব সহজ শৈশবকে বদলে দিলি

কিছু যান্ত্রিক বর্জ্যে।

তুই কে রে, তুই

যত বিষাক্ত প্রলোভনে আমায় ঠেলে দিলি

কোনো এক ভুল স্রোতে। (x2)


আলাদিন আর জাদুর জীনি,

আমায় ডাকছে শোনো

ব্যস্ত আমি ভীষণ রকম,

সময় তো নেই কোনো। (x2)


আলীবাবার দরজা খোলা,

চল্লিশ চোর এলে

সিনদাবাদটা, একলা বসে

আছে সাগর তীরে।


সময়টা আজ কেমন যেন,

বড় হয়ে গেছি আমি

তারাগুলো আজও মেঘের আড়াল,

কোথায় গিয়ে নামি। (x2)


কেড়ে নিলো কে সে আজব সময়

আমার কাজলা দিদি

কে রে তুই, কোন দৈত্যদানো

সব যে কেড়ে নিলি..


কেরে তুই, কেরে তুই

সব সহজ শৈশবকে বদলে দিলি

কিছু যান্ত্রিক বর্জ্যে।

তুই কে রে, তুই

যত বিষাক্ত প্রলোভনে আমায় ঠেলে দিলি

কোনো এক ভুল স্রোতে। (x2)

 Tune- Mechanix; Lyrics- Sheikh M Reaz


ম্লানচিত্র 

দেখছি শুধু পচন ধরা সমাজের চিত্র

মনুষ্যত্বের হারানো গল্পে ছেয়ে গেছে মানচিত্র

জীবন এখন অনেক মেকী মিথ্যের কাব্যে

হতাশার চাপা মিছিলে ক্রোধের দাবানলে


ভয়ের শহরে আমরা সবাই মুখোশের আড়ালে

বেচে থাকার আশা খুজি অন্যের জীবনে

হারিয়ে গেছে তোমার সম্ভ্রম 

হারিয়ে গেছে কোন মা

ক্ষমতায় থাকতে হবে তাই কুপিয়ে ভালবাসা


ধর্ম এখন শুধুই ব্যবসা 

হতে  চাই আমি লিডার

শান্তি খোজে পথ যুদ্ধের কোরাসে


 কোন পথে আমরা ছুটেছি

 মানবতার দেয়াল ভেঙ্গে 

 স্বাধীনতার রঙ্গিন খোলস এখন

 ভাসছে দেখো এই ম্লানচিত্রে 


দেখছি সবই আমি নিথর কোন ব্যর্থ কবি

আমার চিৎকার শুনতে কি পাও এ গানে? 

তবে কি আমরা সবাই মুক্তির পথ ভুলে 

হয়ে রবো ম্লানচিত্রের কৃতদাস? 


মানুষ এখন শুধু পন্য যান্ত্রিক কোলাহলে

ভালবাসা সে তো রঙ্গিন দৃষ্টির রেস্টুরেন্ট 

বোকা বাক্সে বন্দী জীবন লাইক আর স্ট্যাটাসে 

ক্যাসিনোতে উড়ছে টাকা সাধারণ জনগণের


গণতন্ত্র এখন শুধু ফেসবুকের স্ট্যাটেসে

বাকস্বাধীনতার পরোয়া করি না ক্ষমতার দাপটে

আর কত রক্তে তুমি কিনবে স্বাধীনতা 

নেশা আর টাকার লোভে আসুক পরাধীনতা


ধর্ম এখন শুধুই ব্যবসা 

হতে চাই আমি লিডার

শান্তি খোজে পথ যুদ্ধের কোরাসে


কোন পথে আমরা চলেছি

মানবতার দেয়াল ভেঙ্গে

স্বাধীনতার রঙ্গিন খোলস এখন

ভাসছে দেখো এ ম্লানচিত্রে 


দেখছি সবই আমি নিথর কোন ব্যর্থ কবি

আমার চিৎকার শুনতে কি পাও এ গানে? 

তবে কি আমরা সবাই মুক্তির পথ ভুলে 

হয়ে রবো ম্লানচিত্রের কৃতদাস?

Song: Oniket Prantor; Band: Artcell; Lyric: Artcell; Tune: Artcell; Music: Artcell; 

Album: Oniket Prantor

অনিকেত প্রান্তর

তবু এই দেয়ালের শরীরে

যত ছেঁড়া রঙ ধুয়ে যাওয়া মানুষ

পেশাদার প্রতিহিংসা তোমার চেতনার

যত উদ্ভাসিত আলো রঙ

আকাশের মতন অকস্মাৎ নীল

নীলে ডুবে থাকা তোমার প্রিয় কোনো মুখ

তার চোখের কাছাকাছি এসে কেন পথ ভেঙে

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে

বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

তবু এইখানে আছে অবলীল হাওয়া

জানালা বদ্ধ ঘরে আসে যায়

দেয়াল ধরে বেড়ে ওঠে মধ্যরাত

তোমার ছায়ায় জমে এসে ভয়

আলোকে চিনে নেয় আমার অবাধ্য সাহস

ভেতরে এখন কি নেই কাপুরুষ অন্ধকার একা?

তোমাকে ঘিরে পথগুলো সব সরে যায়

রাত্রির এই একা ঘর শূন্যের কাঁটাতারে

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে

মিশে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

তবু এই দু'টি কাঁটাতারে, শহরের মতো করে

ভিড়ে ভরে গেছে ঘুম আমার

অচেতন কখন বেওয়ারিশ, মাটির কাছে এসে

সময় কে epitaph ভেবে হাঁটু গেড়ে বসে

তবু এখানে বাতাস আসে দুরত্বের উৎসাহে

শরৎ জমে আছে ঠাণ্ডা ঘাসে

তোমার চোখের মাঝে দূরের একা পথ

এখানে ভাঙে না দু'টো দেশে

মেঘের দূরপথ ভেঙে বুকের গভীর অন্ধকারে

আলোর নির্বাসন স্মৃতির মতন

অবিকল স্বপ্নঘর বাঁধা স্মৃতির অন্ধ নির্জনে

সময় থেমে থাকে অনাগত যুদ্ধের বিপরীতে

এখানে সরণির লেখা নেই নাম, কোনো শহীদ স্মারকে

তোমার জন্য জমা থাকে শুধু স্বপ্নঘর

জানালায় ঝুলে থাকে না শূন্যতার অবচেতন

তোমার ঘরের অন্ধ আলোয় অদেখা

এখানের নির্জন অনিকেত প্রান্তর

তবুও তোমার ভাঙা স্মৃতি, ছেঁড়া স্বপ্ন, দোমড়ানো খেলাঘর

ছেঁড়া আকাশ, ভাঙা কাঁচে

আলো আর অন্ধকার তোমার

তোমার দেয়ালে কত লেখা

মানুষের দেয়ালে দেয়াল

বেড়ে ওঠে কাঁটাতার

এখানে এ মহান মানচিত্রের ভাগাড়

তোমার শূন্যঘরে ভরা স্মৃতি

জড় পাথরে লেখা নাম – শহীদ স্মরণী

জানালার বাইরে ভেসে গেছে দূরের আকাশ

বিঁধে আছি সময়ের কাঁটাতারে

বিঁধে আছো ছেঁড়া আকাশের মত তুমি

তোমার স্বপ্নের দলা পাকানো

বাসি কবিতা, নষ্ট গানে

তোমার জানালার বাইরে শূন্য আকাশ

তবু অনিকেত এই প্রান্তরে

এখানে এখনও শরতের প্রচুর বাতাসে

সবুজের ঘ্রাণে ভরে আছে অন্ধকার এ ঘর তোমার

দেয়ালে এখন শুধু মৃত্যুর মৃত রেখাপাত

তোমাকে কড়া নাড়ে স্মৃতিরা, ভাঙা স্বপ্ন

ঘুমের মত নেশাময় কত

কত শিশু, কত আলোর মশাল নিভে গেছে

নিভে গেছে কত অচেনা ভয়

তোমাকে এখন অপরিণত এক অচেনা স্মৃতি মনে হয়

তোমার জানালার বাইরে শূন্যে

দূরের স্বপ্নঘর, ঝুলে আছি নির্জনতায়

মৃত্যু কি অনিকেত প্রান্তর?

আমার ভিনদেশী তারা 
একা রাতেরি আকাশে
তুমি বাজালে একতারা 
আমার চিলেকোঠার পাশে
ঠিক সন্ধ্যে নামার মুখে 
তোমার নাম ধরম কেউ ডাকে!
মুখ লুকিয়ে কার বুকে
তোমার গল্প বল কাকে? 

আমার রাত জাগা তারা
তোমার অন্য পাড়ায় বাড়ি
আমার ভয় পাওয়া চেহারা
আমি আদতে আনাড়ি।

আমার আকাশ দেখা ঘুড়ি
কিছু মিথ্যে বাহাদুরি
আমার আকাশ দেখা ঘুড়ি
কিছু মিথ্যে বাহাদুরি

আমার চোখ বেঁধে দাও আলো 
দাও শান্ত শীতলপাটি
তুমি মায়ের মতই ভালো
আমি একলাটি পথ হাঁটি। 

আমার বিচ্ছিরী এক তারা
তুমি নাওনা কথা কানে
তোমার কিসের এতো তাড়া 
রাস্তা পার হবে সাবধানে। 

তোমার গায় লাগেনা ধুলো
আমার দু'মুঠো চালচুলো
তোমার গায় লাগেনা ধুলো
আমার দু'মুঠো চালচুলো।

রাখো শরীরে হাত যদি
আর জল মাখ দুই হাতে 
প্লিস ঘুম হয়ে যাও চোখে
আমার মন খারাপের রাতে।

আমার রাত জাগা তারা
তোমার আকাশ ছোঁয়া বাড়ি
আমি পাইনা ছুঁতে তোমায় 
আমার একলা লাগে ভারি।
আমার রাত জাগা তারা
তোমার আকাশ ছোঁয়া বাড়ি
আমি পাইনা ছুঁতে তোমায় 
আমার একলা লাগে ভারি।

আমার রাত জাগা তারা
তোমার আকাশ ছোঁয়া বাড়ি
আমি পাইনা ছুঁতে তোমায় 


আমার একলা লাগে ভারি।
বকুল ফুল বকুল ফুল

বকুল ফুল বকুল ফুল, 
সোনা দিয়া হাত কেন বান্ধাইলি। 
বকুল ফুল বকুল ফুল, 
সোনা দিয়া হাত কেন বান্ধাইলি। 

শালুক ফুলের লাজ নাই
রাইতে শালুক ফোটে লো
রাইতে শালুক ফোটে। 
শালুক ফুলের লাজ নাই
রাইতে শালুক ফোটে লো
রাইতে শালুক ফোটে। 
যার সনে যার ভালবাসা
যার সনে যার ভালবাসা, 
সেইতো মজা লোটে লো। 

বকুল ফুল বকুল ফুল, 
সোনা দিয়া হাত কেন বান্ধাইলি। 
বকুল ফুল বকুল ফুল, 
সোনা দিয়া হাত কেন বান্ধাইলি। 

আমার জামাই ধান বায়
হরিণ ডাঙার মাঠে লো
হরিণ ডাঙার মাঠে। 
আমার জামাই ধান বায়
হরিণ ডাঙার মাঠে লো
হরিণ ডাঙার মাঠে। 
সোনা দেহে ঘাম ঝরে
সোনা দেহে ঘাম ঝরে, 
দুঃখে পরান ফাটে লো। 

বকুল ফুল বকুল ফুল, 
সোনা দিয়া হাত কেন বান্ধাইলি। 
বকুল ফুল বকুল ফুল, 
সোনা দিয়া হাত কেন বান্ধাইলি। 

শাওন ও ভাদ্রর মাসে
জামাই আদর করে লো
জামাই আদর করে। 
শাওন ও ভাদ্রর মাসে
জামাই আদর করে লো
জামাই আদর করে। 
ইচ্ছে জামাই করবো আদর
ইচ্ছে জামাই করবো আদর, 
দানাতো নাই ঘরে লো। 

বকুল ফুল বকুল ফুল, 
সোনা দিয়া হাত কেন বান্ধাইলি। 
বকুল ফুল বকুল ফুল, 
সোনা দিয়া হাত কেন বান্ধাইলি। 

শালুক ফুলের লাজ নাই
রাইতে শালুক ফোটে লো
রাইতে শালুক ফোটে। 
শালুক ফুলের লাজ নাই
রাইতে শালুক ফোটে লো
রাইতে শালুক ফোটে। 
যার সনে যার ভালবাসা
যার সনে যার ভালবাসা, 
সেইতো মজা লোটে লো। 

বকুল ফুল বকুল ফুল, 
সোনা দিয়া হাত কেন বান্ধাইলি। 
বকুল ফুল বকুল ফুল, 
সোনা দিয়া হাত কেন বান্ধাইলি। 


পরী 

আজ তোমার মন খারাপ মেয়ে, 
তুমি আনমনে বসে আছো। 
আকাশ পানে দৃষ্টি উদাস, 
আমি তোমার জন্য এনে দেব 
মেঘ থেকে বৃষ্টির ঝিরি ঝিরি হাওয়া, 
সেই হাওয়ায় ভেসে যাবে তুমি
সেই হাওয়ায় ভেসে যাবে তুমি। 

আজ তোমার মন খারাপ মেয়ে
তুমি আনমনে বসে আছো। 
আকাশ পানে দৃষ্টি উদাস
আমি তোমার জন্য এনে দেব
মেঘ থেকে বৃষ্টির ঝিরি ঝিরি হাওয়া, 
সেই হাওয়ায় ভেসে যাবে তুমি
সেই হাওয়ায় ভেসে যাবে তুমি। 

আজ তোমার চোখের কোণে জল
বৃষ্টিও অবিরাম কাঁদে
তোমার সাথে সাথে আমার পথে পথে। 
আজ তোমার চোখের কোণে জল
বৃষ্টিও অবিরাম কাঁদে
তোমার সাথে সাথে আমার পথে পথে। 

আমি তোমার জন্য এনে দেব
রোদেলা সে ক্ষণ 
পাখিকে করে দেব তোমার আপনজন, 
পরী তুমি ভাসবে মেঘের ভাঁজে
পরী তুমি ভাসবে মেঘের ভাঁজে। 

আজ তোমার জোছনা হারায় আলো
প্রজাপতির ডানায় বিষাদ করে ভর
যখন তখন বিষাদ করে ভর, 
আজ তোমার জোছনা হারায় আলো
প্রজাপতির ডানায় বিষাদ করে ভর
যখন তখন বিষাদ করে ভর। 

আমি তোমার জন্য এনে দেব
অঝর শ্রাবণ আকাশ ছোয়া জল জোছনা। 
পরী তুমি ভাসবে মেঘের ভাঁজে
পরী তুমি ভাসবে মেঘের ভাঁজে। 

আজ তোমার মন খারাপ মেয়ে
তুমি আনমনে বসে আছো। 
আকাশ পানে দৃষ্টি উদাস
আমি তোমার জন্য এনে দেব
মেঘ থেকে বৃষ্টির ঝিরি ঝিরি হাওয়া, 
সেই হাওয়ায় ভেসে যাবে তুমি
সেই হাওয়ায় ভেসে যাবে তুমি। 
সেই হাওয়ায়...... 
আজ জন্মদিন তোমার

আজকের আকাশে অনেক তারা, 
দিন ছিল সূর্যে ভরা,
আজকের জোছনাটা আরো সুন্দর, 
সন্ধ্যাটা আগুন লাগা। 
আজকের পৃথিবী তোমার জন্য 
ভরে থাকা ভালো লাগা, 
মুখরিত হবে দিন গানে গানে 
আগামীর সম্ভাবনা। 

তুমি এই দিনে পৃথিবীতে এসেছ 
শুভেচ্ছা তোমায়, 
তাই অনাগত ক্ষণ হোক আরো সুন্দর
উচ্ছল দিন কামনায়। 

আজ জন্মদিন তোমার। 

তোমার জন্য এই রোদেলা স্বপ্ন সকাল
তোমার জন্য হাসে অনরল স্নিগ্ধ বিকেল
ভালবাসা নিয়ে নিজে তুমি, 
ভালোবাসো সব সৃষ্টিকে। 
ভালবাসা নিয়ে নিজে তুমি, 
ভালোবাসো সব সৃষ্টিকে। 


তুমি এই দিনে পৃথিবীতে এসেছ 
শুভেচ্ছা তোমায়, 
তাই অনাগত ক্ষণ হোক আরো সুন্দর
উচ্ছল দিন কামনায়। 

আজ জন্মদিন তোমার। 

তোমার জন্য ফোঁটা পৃথিবীর সব গোলাপ, 
তোমার জন্য এই কবিতা নয় সে প্রলাপ। 
আলোকিত হয়ে নিজে তুমি, 
আলোকিত কর পৃথিবীকে। 
আলোকিত হয়ে নিজে তুমি, 
আলোকিত কর পৃথিবীকে। 

তুমি এই দিনে পৃথিবীতে এসেছ 
শুভেচ্ছা তোমায়, 
তাই অনাগত ক্ষণ হোক আরো সুন্দর
উচ্ছল দিন কামনায়। 

আজ জন্মদিন তোমার। 

আজকের আকাশে অনেক তারা, 
দিন ছিল সূর্যে ভরা,
আজকের জোছনাটা আরো সুন্দর, 
সন্ধ্যাটা আগুন লাগা। 
আজকের পৃথিবী তোমার জন্য 
ভরে থাকা ভালো লাগা, 
মুখরিত হবে দিন গানে গানে 
আগামীর সম্ভাবনা। 

তুমি এই দিনে পৃথিবীতে এসেছ 
শুভেচ্ছা তোমায়, 
তাই অনাগত ক্ষণ হোক আরো সুন্দর
উচ্ছল দিন কামনায়। 

আজ জন্মদিন তোমার। 
জাদুকর

কোনো এক ভোরে মুখোশের জাদুকর
কোনো অবসরে চুপিচুপি বিষদাঁত, তারপর
বিপন্ন, বিষন্ন, তবু হার মেনে নিতে নয়
যুদ্ধ বা সন্ধিই পরিচয়। 

হারাইনি, খুন হয়েছি জাদুকর
ভেঙেছি, তবু নতজানু বসে নেই, জাদুকর
শূন্য করিডোরে পদচিহ্ন রেখে যাই
আগামীর বার্তা জানাই। 

হাত বাড়ালেই শুধু উল্লাসধ্বণি
যেন ক্লান্ত জনতা ভুলের মিছিলে, 
বিভ্রান্ত জাদুকর হারিয়ে যায়
রহস্য আমায় ভাবায়। 

ভাবছো তুমি চুপচাপ শহরে
গ্রাফিতি আঁকা দেয়াল জুড়ে
রক্তের দাগ ছড়িয়ে দেবে নিয়তির শরীরে,
বুকের পাঁজরে। 

হাত বাড়ালেই শুধু উল্লাসধ্বণি
যেন ক্লান্ত জনতা ভুলের মিছিলে, 
বিভ্রান্ত জাদুকর হারিয়ে যায়
রহস্য আমায় ভাবায়। 

কোনো এক ভোরে মুখোশের জাদুকর
কোনো অবসরে চুপিচুপি বিষদাঁত, তারপর......... 
এক নদী যমুনা

আমি আর আমার দু’চোখ কখনো জলে ভেজাবো না
এ ব্যথা আমারই থাক, চাই না কারও সান্ত্বনা

পৃথিবী ভালবাসে না, ভালবাসতেও সে জানে না।
পৃথিবী ভালবাসে না, ভালবাসতেও সে জানে না।

কান্নায় লাভ নেই, কান্নায় হবে না কোনদিন পদ্মা-মেঘনা
দিনের আলোয় শুকিয়ে যাবে সে
হবে না তো এক নদী যমুনা।

কান্নায় লাভ নেই, কান্নায় হবে না কোনদিন পদ্মা-মেঘনা
দিনের আলোয় শুকিয়ে যাবে সে
হবে না তো এক নদী যমুনা।

টেনে নিয়ে বুকের কাছে,
ছুঁড়ে দেয় ধূলোর মাঝে।
টেনে নিয়ে বুকের কাছে,
ছুঁড়ে দেয় ধূলোর মাঝে।
ভালবাসার নিয়ম মানি না
তাইতো অশ্রু এখন আসে না
দিও না, দিও না, সান্ত্বনা

কান্নায় লাভ নেই, কান্নায় হবে না কোনদিন পদ্মা-মেঘনা
দিনের আলোয় শুকিয়ে যাবে সে
হবে না তো এক নদী যমুনা।
কান্নায় লাভ নেই, কান্নায় হবে না কোনদিন পদ্মা-মেঘনা
দিনের আলোয় শুকিয়ে যাবে সে
হবে না তো এক নদী যমুনা।

ডুবেছিল মায়াজালে হৃদয়
সেই ক্ষত এখনো কথা কয়।
ডুবেছিল মায়াজালে হৃদয়
সেই ক্ষত এখনো কথা কয়।

ভালবাসার নিয়ম মানি না
তাইতো অশ্রু এখন আসে না
দিও না, দিও না, সান্ত্বনা

কান্নায় লাভ নেই, কান্নায় হবে না কোনদিন পদ্মা-মেঘনা
দিনের আলোয় শুকিয়ে যাবে সে
হবে না তো এক নদী যমুনা।
কান্নায় লাভ নেই, কান্নায় হবে না কোনদিন পদ্মা-মেঘনা
দিনের আলোয় শুকিয়ে যাবে সে
হবে না তো এক নদী যমুনা।

বাবা

ছেলে আমার বড় হবে,
মাকে বলত সে কথা। 
হবে মানুষের মত মানুষ এক, 
লেখা ইতিহাসের পাতায়। 
নিজ হাতে খেতে পারতাম না,
বাবা বলত- 
“ও খোকা, যখন আমি থাকবনা,
কি করবি রে বোকা”
এতো রক্তের সাখে রক্তের টান স্বার্থের অনেক উর্ধ্বে
হঠাৎ অজানা ঝড়ে তোমায় হারালাম
মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। 

বাবা কতদিন কতদিন দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা তোমার মত 
“কোথায় খোকা ওরে বুকে আয়”
বাবা কতরাত কতরাত দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা - 
“মানিক কোথায় আমার ওরে বুকে আয়”। 

চশমাটা তেমনি আছে, 
আছে লাঠি ও পাঞ্জাবী তোমার
ইজিচেয়ারটাও আছে, 
নেই সেখানে অলস দেহ শুধু তোমার। 
আযানের ধ্বনি আজো শুনি, 
ভাঙ্গাবেনা ভোরে ঘুম জানি
শুধু শুনিনা তোমার সেই দরাজ কন্ঠে পড়া 
পবিত্র কোরআনের বানী। 

বাবা কতদিন কতদিন দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা তোমার মত 
“কোথায় খোকা ওরে বুকে আয়”। 
বাবা কতরাত কতরাত দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা- 
“মানিক কোথায় আমার ওরে বুকে আয়”

ছেলে আমার বড় হবে,
মাকে বলত সে কথা। 
হবে মানুষের মত মানুষ এক, 
লেখা ইতিহাসের পাতায়। 
নিজ হাতে খেতে পারতাম না,
বাবা বলত- 
ও খোকা,ও খোকা?
যখন আমি থাকবনা,
কি করবি রে বোকা”
এতো রক্তের সাখে রক্তের টান স্বার্থের অনেক উর্ধ্বে
হঠাৎ অজানা ঝড়ে তোমায় হারালাম
মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। 

বাবা কতদিন কতদিন দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা তোমার মত 
“কোথায় খোকা ওরে বুকে আয়”
বাবা কতরাত কতরাত দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা - 
“মানিক কোথায় আমার ওরে বুকে আয়”। 

মা

দশ মাস দশ দিন ধরে গর্ভে ধারণ,
কষ্টের তীব্রতায় করেছে আমায় লালন,
হঠাৎ কোথায় না বলে হারিয়ে গেলো
জন্মান্তরের বাধন কোথা হারালো?

সবাই বলে ঐ আকাশে লুকিয়ে আছে,
খুঁজে দেখো পাবে দূর নক্ষত্র মাঝে,
রাতের তারা আমায় কি তুই বলতে পারিস?
কোথায় আছে, কেমন আছে মা?
ভোরের তারা রাতের তারা মাকে জানিয়ে দিস
অনেক কেঁদেছি, আর কাঁদতে পারি না। 

মায়ের কোলে শুয়ে হারানো সে সুখ,
অন্য মুখে খুঁজে ফিরি সেই প্রিয় মুখ,
অনেক ঋণের জালে মাগো বেধেছিলে তাই
বিষাদের অভয়ারণ্যে ভয় তবু পাই। 

সবাই বলে ঐ আকাশে লুকিয়ে আছে,
খুঁজে দেখো পাবে দূর নক্ষত্র মাঝে,
রাতের তারা আমায় কি তুই বলতে পারিস?
কোথায় আছে, কেমন আছে মা?
ভোরের তারা রাতের তারা মাকে জানিয়ে দিস
অনেক কেঁদেছি, আর কাঁদতে পারি না। 

সবাই বলে ঐ আকাশে লুকিয়ে আছে,
খুঁজে দেখো পাবে দূর নক্ষত্র মাঝে,
রাতের তারা আমায় কি তুই বলতে পারিস?
কোথায় আছে, কেমন আছে মা?
ভোরের তারা রাতের তারা মাকে জানিয়ে দিস
অনেক কেঁদেছি, আর কাঁদতে পারি না।। 
টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে

টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে, 
তোমায় কিনে দেওয়া
সে রুমাল চেপে, 
এখনো কেন কাঁদো। 
কি হবে প্রদীপ জ্বেলে
স্মৃতির সাথে সাপ লুডু খেলে। 

এবার বৈশাখী ঝড়ে
সে রুমাল উড়িয়ে দিও, 
বৈশাখী শুভেচ্ছা নিও। 
এবার বৈশাখী ঝড়ে
সে রুমাল উড়িয়ে দিও, 
বৈশাখী শুভেচ্ছা নিও। 

সকালের শুরু থেকে
গোধূলির রঙ
হয়তো তোমার কাছে অন্য লাগে, 
জোছনাও সে তো আজ হয়ে গেছে ফিকে
তোমার একরাশ রাগ আনুরাগে। 
কি হবে প্রদীপ জ্বেলে
স্মৃতির সাথে সাপ লুডু খেলে। 
এবার বৈশাখী ঝড়ে
সে রুমাল উড়িয়ে দিও, 
বৈশাখী শুভেচ্ছা নিও। 

এবার বৈশাখী ঝড়ে
সে রুমাল উড়িয়ে দিও, 
বৈশাখী শুভেচ্ছা নিও। 

আরে তুমি তেমন নেই আমিও যেমন 
যান্ত্রিক জীবনের নাটকীয়তায়, 
রং তুলি সাজিয়ে একোনা তাকে
একোনা পুরনো সেই অধ্যায়। 

কি হবে প্রদীপ জ্বেলে 
স্মৃতির সাথে সাপ লুডু খেলে। 
এবার বৈশাখী ঝড়ে
সে রুমাল উড়িয়ে দিও, 
বৈশাখী শুভেচ্ছা নিও। 

টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে, 
তোমায় কিনে দেওয়া
সে রুমাল চেপে, 
এখনো কেন কাঁদো। 
কি হবে প্রদীপ জ্বেলে
স্মৃতির সাথে সাপ লুডু খেলে। 

এবার বৈশাখী ঝড়ে
সে রুমাল উড়িয়ে দিও, 
বৈশাখী শুভেচ্ছা নিও। 
এবার বৈশাখী ঝড়ে
সে রুমাল উড়িয়ে দিও, 
বৈশাখী শুভেচ্ছা নিও। 
সেই তুমি কেন এতো অচেনা হলে

সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে 
সেই আমি কেন তোমাকে দুঃখ দিলেম। 
কেমন করে এত অচেনা হলে তুমি 
কিভাবে এত বদলে গেছি এই আমি। 
ও বুকেরই সব কষ্ট দু’হাতে সরিয়ে 
চলো বদলে যাই......

তুমি কেন বোঝনা 
তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়, 
আমার সবটুকু ভালবাসা তোমায় ঘিরে। 
আমার অপরাধ ছিল যতটুকু তোমার কাছে 
তুমি ক্ষমা করে দিও আমায়। 

কত রাত আমি কেঁদেছি 
বুকের গভীরে কষ্ট নিয়ে। 
শূন্যতায় ডুবে গেছি আমি 
আমাকে তুমি ফিরিয়ে নাও।

তুমি কেন বোঝ না 
তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়, 
আমার সবটুকু ভালবাসা তোমায় ঘিরে।
আমার অপরাধ ছিল যতটুকু তোমার কাছে
তুমি ক্ষমা করে দিও আমায়।

যতবার ভেবেছি ভুলে যাব 
তারও বেশি মনে পড়ে যায়। 
ফেলে আসা সেই সব দিনগুলো 
ভুলে যেতে আমি পারি না। 

তুমি কেন বোঝনা 
তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়, 
আমার সবটুকু ভালবাসা তোমায় ঘিরে।  
আমার অপরাধ ছিল যতটুকু তোমার কাছে 
তুমি ক্ষমা করে দিও আমায়......

সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে 
সেই আমি কেন তোমাকে দুঃখ দিলেম। 
কেমন করে এত অচেনা হলে তুমি 
কিভাবে এত বদলে গেছি এই আমি। 
ও বুকেরই সব কষ্ট দু’হাতে সরিয়ে 
চলো বদলে যাই......

তুমি কেন বোঝনা 
তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়, 
আমার সবটুকু ভালবাসা তোমায় ঘিরে। 
আমার অপরাধ ছিল যতটুকু তোমার কাছে 
তুমি ক্ষমা করে দিও আমায়।