Recently Lyrics Updated

কবিতাঃ সন্ধ্যার বন্দনা
কবিঃ হাসান হাফিজ

নিশিন্দা পাতার ঘ্রাণ শুঁকতে শুঁকতে
সূর্য নিভতে থাকে
সান্ধ্য আয়োজন শুরু, মিইয়ে আসে পাখিদের
মিহিন কাকলি শব্দ
ঝিঁঝিঁ পোকা সচল সক্রিয় হয়
গাছের কোটর থেকে উঁকি দেয় ল²ীপ্যাঁচা
ফুটতে থাকে তারা একটি দু’টি
গোধূলি মিলিয়ে গেছে অনেক আগেই
ছায়ামন্দ্র অন্ধকার
আঁধারের জান্তব শরীর
বিস্তৃত চাদর হয়ে ঢেকে দিচ্ছে চরাচর
নিশাচর প্রাণীরা সচল

এমন সন্ধ্যার ক্ষণে রুগ্ণ এক বাউলের
একতারা কেঁদে ওঠে
সুরতৃষ্ণা কেঁপে ওঠে
নিভৃতির নিরালায়
অগোছালো জীবনের শান্তি সুধা
করুণ ক্রন্দন হয়ে
চতুর্দিকে সুরভি ছড়ায়।

শিল্পীঃ আসিফ আকবর
কথা ও সুরঃ কবীর সুমন
Syriar Chele
ছবিঃ সংগৃহীত

তিন বছরের সেই সিরিয়ার ছেলে
কাদের বোমায় তুমি পুড়ে মারা গেলে?
তিন বছরের সেই সিরিয়ার ছেলে
কাদের বোমায় তুমি পুড়ে মারা গেলে?
কে তোমার আম্মা, কে তোমার বাবা?
কাদের বোমায় ছিল যুদ্ধের থাবা।
কে তোমার আম্মা, কে তোমার বাবা?
কাদের বোমায় ছিল যুদ্ধের থাবা।
কাকে বলে ছেলেবেলা জানতে কি পেলে
তিন বছরের সেই সিরিয়ার ছেলে,
কাকে বলে ছেলেবেলা জানতে কি পেলে
তিন বছরের সেই সিরিয়ার ছেলে।।

কোথায় খেলতে তুমি কজনের সাথে?
কারা হাত রেখেছিলো তোমার দু'হাতে?
কাকে বলে বিশ্বাস, কাকে ভালোবাসা
বুঝতে কি চেয়েছিলে বড়দের ভাষা?
কাকে বলে সভ্যতা জানতে কি পেলে?
তিন বছরের সেই সিরিয়ার ছেলে।।

আল্লাহকে চেয়েছিলে সব বলে দিতে
মানুষ কি চেয়েছিলো সে খবর নিতে।

আল্লাহকে চেয়েছিলে সব বলে দিতে
মানুষ কি চেয়েছিলো সে খবর নিতে,
মানুষ যুদ্ধ করে আগুন জ্বালায়
মানুষই মেশায় বিষ ভাতের থালায়,
মানুষই দাঁড়ায় পাশে সবকিছু ফেলে
জানতে কি পেরেছিলে সিরিয়ার ছেলে?
মানুষই দাঁড়ায় পাশে সবকিছু ফেলে
জানতে কি পেরেছিলে সিরিয়ার ছেলে?
কথা ও সুরঃ নচিকেতা চক্রবর্তী
কন্ঠঃ নচিকেতা চক্রবর্তী

আমার পরিচয় বেকার যুবক আমি
সম্বল একটাই দৈন্য
ডিগ্রির ভাঁড়ারেতে তবু কিছু মাল আছে, 
পকেটের ভাঁড়ারটা শুন্য
যেদিকেই তাকাই না, দেখি জন-অরণ্য
সে অরণ্যেই দেখি মানুষেরা পণ্য
বধুকে পোড়ানো হয়, অধর্ম জয়ী হয়
মানুষের রক্তে দিনলিপি সই হয়
হাসপাতালের বেডে টিবি রোগীর সাথে 
খেলা করে শুয়োরের বাচ্চা
তবু রেডিওটা টিভিটার সাথে সুর ধরে – 
সারে জাঁহা ছে আচ্ছা

লাঞ্ছনা গঞ্জনা মাখা অভিযোজনে
রপ্ত করেছি নিজেকে
অসৎ হবার বহু বহু প্রচেষ্টায়
ব্যর্থ করেছি নিজেকে
চাকরির সন্ধানে সুখতলা খয়ে যায়
গঙ্গার জল তবু একই ভাবে বয়ে যায়
ঘুষ  ঘুষ ঘুষের এক ঘুস-ঘুসে জ্বরে
গোটা দেশ চিৎকার করে ডাকে ‘ডাক্তার’
ডাক্তার উড়ে আসে ঋণের ওষুধ নিয়ে 
গঙ্গার পুজো হয় গঙ্গার জল দিয়ে
বছরের অন্তে বাজেটের যন্ত্রে 
পিষে দেই জীবনটা গচ্চা
তবু রেডিওটা টিভিটার সাথে সুর ধরে – 
সারে জাঁহা ছে আচ্ছা।

প্রার্থির যোগ্যতা অথবা অভিজ্ঞতা
এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের দীনতা
কোনো কিছুই কোনো কিছুকেই ঢাকে না
আর ‘লোক’ অথবা ‘বিধান’ যে দিকেই তাকান
রাজনীতিজ্ঞ হতে যোগ্যতা লাগে না
হাজার প্রতিশ্রুতি বাতাসেই বয়ে যায়, 
‘চলছে না, চলবে না’, তবু তাই হয়ে যায়
কত শত শয়তান  হতে চায় ভগবান 
আল্লাহ না বড় রাম  এই চলে অবিরাম
খুনোখুনি লাঠালাঠি  অবিরাম অনুক্ষণ
এদিকে তোমার আমার পেটেতে ছুঁচোর ডন
সমাজ বিরোধি কিছু  করে বলে মাথা উঁচু
সমাজবাদের পথই সাচ্চা
তবু রেডিওটা টিভিটার সাথে সুর ধরে – 
সারে জাঁহা ছে আচ্ছা।
সবাই তো সুখী হতে চাই 

সবাই তো সুখী হতে চাই 
সবাই তো সুখী হতে চায়, 
তবু কেউ সুখী হয়, কেউ হয়না।
জানিনা বলে যা লোকে সত্যি কিনা?
জানিনা বলে যা লোকে সত্যি কিনা?
কপালে সবার নাকি সুখ সয় না।
সবাই তো সুখী হতে চাই। 

আশায় আশায় তবু এই আমি থাকি,
যদি আসে কোনোদিন সেই সুখপাখি 
আশায় আশায় তবু এই আমি থাকি,
যদি আসে কোনোদিন সেই সুখপাখি । 
এই চেয়ে থাকা আর প্রাণে সয় না, 
সবাই তো সুখী হতে চাই। 

ভালোবেসে সুখী হতে বলো কে না চায়?
রাধা সুখী হয়েছিল সেই শ্যাম রায়। 
আমিও রাধার মতো ভালোবেসে যাবো,
হয় কিছু পাবো নয় সবই হারাবো
এই চেয়ে থাকা আর প্রাণে সয় না।

সবাই তো সুখী হতে চাই 
তবু কেউ সুখী হয়, কেউ হয়না।
জানিনা বলে যা লোকে সত্যি কিনা?
কপালে সবার নাকি সুখ সয় না।
সবাই তো সুখী হতে চাই 
তবু কেউ সুখী হয়, কেউ হয়না।
সেই তুমি কেন এতো অচেনা হলে

সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে 
সেই আমি কেন তোমাকে দুঃখ দিলেম। 
কেমন করে এত অচেনা হলে তুমি 
কিভাবে এত বদলে গেছি এই আমি। 
ও বুকেরই সব কষ্ট দু’হাতে সরিয়ে 
চলো বদলে যাই......

তুমি কেন বোঝনা 
তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়, 
আমার সবটুকু ভালবাসা তোমায় ঘিরে। 
আমার অপরাধ ছিল যতটুকু তোমার কাছে 
তুমি ক্ষমা করে দিও আমায়। 

কত রাত আমি কেঁদেছি 
বুকের গভীরে কষ্ট নিয়ে। 
শূন্যতায় ডুবে গেছি আমি 
আমাকে তুমি ফিরিয়ে নাও।

তুমি কেন বোঝ না 
তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়, 
আমার সবটুকু ভালবাসা তোমায় ঘিরে।
আমার অপরাধ ছিল যতটুকু তোমার কাছে
তুমি ক্ষমা করে দিও আমায়।

যতবার ভেবেছি ভুলে যাব 
তারও বেশি মনে পড়ে যায়। 
ফেলে আসা সেই সব দিনগুলো 
ভুলে যেতে আমি পারি না। 

তুমি কেন বোঝনা 
তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়, 
আমার সবটুকু ভালবাসা তোমায় ঘিরে।  
আমার অপরাধ ছিল যতটুকু তোমার কাছে 
তুমি ক্ষমা করে দিও আমায়......

সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে 
সেই আমি কেন তোমাকে দুঃখ দিলেম। 
কেমন করে এত অচেনা হলে তুমি 
কিভাবে এত বদলে গেছি এই আমি। 
ও বুকেরই সব কষ্ট দু’হাতে সরিয়ে 
চলো বদলে যাই......

তুমি কেন বোঝনা 
তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়, 
আমার সবটুকু ভালবাসা তোমায় ঘিরে। 
আমার অপরাধ ছিল যতটুকু তোমার কাছে 
তুমি ক্ষমা করে দিও আমায়।