Recently Lyrics Updated

Song: Oniket Prantor; Band: Artcell; Lyric: Artcell; Tune: Artcell; Music: Artcell; 

Album: Oniket Prantor

অনিকেত প্রান্তর

তবু এই দেয়ালের শরীরে

যত ছেঁড়া রঙ ধুয়ে যাওয়া মানুষ

পেশাদার প্রতিহিংসা তোমার চেতনার

যত উদ্ভাসিত আলো রঙ

আকাশের মতন অকস্মাৎ নীল

নীলে ডুবে থাকা তোমার প্রিয় কোনো মুখ

তার চোখের কাছাকাছি এসে কেন পথ ভেঙে

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে

বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

তবু এইখানে আছে অবলীল হাওয়া

জানালা বদ্ধ ঘরে আসে যায়

দেয়াল ধরে বেড়ে ওঠে মধ্যরাত

তোমার ছায়ায় জমে এসে ভয়

আলোকে চিনে নেয় আমার অবাধ্য সাহস

ভেতরে এখন কি নেই কাপুরুষ অন্ধকার একা?

তোমাকে ঘিরে পথগুলো সব সরে যায়

রাত্রির এই একা ঘর শূন্যের কাঁটাতারে

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে

মিশে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

তবু এই দু'টি কাঁটাতারে, শহরের মতো করে

ভিড়ে ভরে গেছে ঘুম আমার

অচেতন কখন বেওয়ারিশ, মাটির কাছে এসে

সময় কে epitaph ভেবে হাঁটু গেড়ে বসে

তবু এখানে বাতাস আসে দুরত্বের উৎসাহে

শরৎ জমে আছে ঠাণ্ডা ঘাসে

তোমার চোখের মাঝে দূরের একা পথ

এখানে ভাঙে না দু'টো দেশে

মেঘের দূরপথ ভেঙে বুকের গভীর অন্ধকারে

আলোর নির্বাসন স্মৃতির মতন

অবিকল স্বপ্নঘর বাঁধা স্মৃতির অন্ধ নির্জনে

সময় থেমে থাকে অনাগত যুদ্ধের বিপরীতে

এখানে সরণির লেখা নেই নাম, কোনো শহীদ স্মারকে

তোমার জন্য জমা থাকে শুধু স্বপ্নঘর

জানালায় ঝুলে থাকে না শূন্যতার অবচেতন

তোমার ঘরের অন্ধ আলোয় অদেখা

এখানের নির্জন অনিকেত প্রান্তর

তবুও তোমার ভাঙা স্মৃতি, ছেঁড়া স্বপ্ন, দোমড়ানো খেলাঘর

ছেঁড়া আকাশ, ভাঙা কাঁচে

আলো আর অন্ধকার তোমার

তোমার দেয়ালে কত লেখা

মানুষের দেয়ালে দেয়াল

বেড়ে ওঠে কাঁটাতার

এখানে এ মহান মানচিত্রের ভাগাড়

তোমার শূন্যঘরে ভরা স্মৃতি

জড় পাথরে লেখা নাম – শহীদ স্মরণী

জানালার বাইরে ভেসে গেছে দূরের আকাশ

বিঁধে আছি সময়ের কাঁটাতারে

বিঁধে আছো ছেঁড়া আকাশের মত তুমি

তোমার স্বপ্নের দলা পাকানো

বাসি কবিতা, নষ্ট গানে

তোমার জানালার বাইরে শূন্য আকাশ

তবু অনিকেত এই প্রান্তরে

এখানে এখনও শরতের প্রচুর বাতাসে

সবুজের ঘ্রাণে ভরে আছে অন্ধকার এ ঘর তোমার

দেয়ালে এখন শুধু মৃত্যুর মৃত রেখাপাত

তোমাকে কড়া নাড়ে স্মৃতিরা, ভাঙা স্বপ্ন

ঘুমের মত নেশাময় কত

কত শিশু, কত আলোর মশাল নিভে গেছে

নিভে গেছে কত অচেনা ভয়

তোমাকে এখন অপরিণত এক অচেনা স্মৃতি মনে হয়

তোমার জানালার বাইরে শূন্যে

দূরের স্বপ্নঘর, ঝুলে আছি নির্জনতায়

মৃত্যু কি অনিকেত প্রান্তর?

কথা ও সুরঃ নচিকেতা চক্রবর্তী
কন্ঠঃ নচিকেতা চক্রবর্তী

আমার পরিচয় বেকার যুবক আমি
সম্বল একটাই দৈন্য
ডিগ্রির ভাঁড়ারেতে তবু কিছু মাল আছে, 
পকেটের ভাঁড়ারটা শুন্য
যেদিকেই তাকাই না, দেখি জন-অরণ্য
সে অরণ্যেই দেখি মানুষেরা পণ্য
বধুকে পোড়ানো হয়, অধর্ম জয়ী হয়
মানুষের রক্তে দিনলিপি সই হয়
হাসপাতালের বেডে টিবি রোগীর সাথে 
খেলা করে শুয়োরের বাচ্চা
তবু রেডিওটা টিভিটার সাথে সুর ধরে – 
সারে জাঁহা ছে আচ্ছা

লাঞ্ছনা গঞ্জনা মাখা অভিযোজনে
রপ্ত করেছি নিজেকে
অসৎ হবার বহু বহু প্রচেষ্টায়
ব্যর্থ করেছি নিজেকে
চাকরির সন্ধানে সুখতলা খয়ে যায়
গঙ্গার জল তবু একই ভাবে বয়ে যায়
ঘুষ  ঘুষ ঘুষের এক ঘুস-ঘুসে জ্বরে
গোটা দেশ চিৎকার করে ডাকে ‘ডাক্তার’
ডাক্তার উড়ে আসে ঋণের ওষুধ নিয়ে 
গঙ্গার পুজো হয় গঙ্গার জল দিয়ে
বছরের অন্তে বাজেটের যন্ত্রে 
পিষে দেই জীবনটা গচ্চা
তবু রেডিওটা টিভিটার সাথে সুর ধরে – 
সারে জাঁহা ছে আচ্ছা।

প্রার্থির যোগ্যতা অথবা অভিজ্ঞতা
এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের দীনতা
কোনো কিছুই কোনো কিছুকেই ঢাকে না
আর ‘লোক’ অথবা ‘বিধান’ যে দিকেই তাকান
রাজনীতিজ্ঞ হতে যোগ্যতা লাগে না
হাজার প্রতিশ্রুতি বাতাসেই বয়ে যায়, 
‘চলছে না, চলবে না’, তবু তাই হয়ে যায়
কত শত শয়তান  হতে চায় ভগবান 
আল্লাহ না বড় রাম  এই চলে অবিরাম
খুনোখুনি লাঠালাঠি  অবিরাম অনুক্ষণ
এদিকে তোমার আমার পেটেতে ছুঁচোর ডন
সমাজ বিরোধি কিছু  করে বলে মাথা উঁচু
সমাজবাদের পথই সাচ্চা
তবু রেডিওটা টিভিটার সাথে সুর ধরে – 
সারে জাঁহা ছে আচ্ছা।

শিরোনামঃ গান শুনবোনা
গীতিকার ও সুরকারঃ নচিকেতা
শিল্পীঃ নচিকেতা ১৯৯৩]


শুনবোনা গান গান শুনবো না
শুনবোনা গান গান শুনবো না
হেই গান গেয়ে গান শুনে ভরে নাতো পেট
খালি পেটে হাটা চলা করে মাথা হেট
গান গেয়ে গান শুনে ভরে নাতো পেট
খালি পেটে হাটা চলা করে মাথা হেট
গান যদি খাওয়া যেতো তবে বড় ভাল হতো
রেশনের লাইনেতে ভিড় যেতো কমে
দোকান বাজার উঠে যেতো প্রত্থমে
তা যখন হয় না কিছু বদলায় না
কেন শুনবো কেন শুনবো
কেন শুনবো একঘেয়ে ঘ্যান ঘ্যান
শুনবোনা গান গান শুনবো না
শুনবোনা গান গান শুনবো না।

এক ঘেয়ে ঘ্যান ঘ্যান বিরহ প্রেমের গান
আমি তুমি তুমি আমি তুমি আমি আমি তুমি
পারমোটেশন আর কম্বিনেশন
অথবা শোষকদের কালো হাত
ভেঙ্গে দাও ভেঙ্গে দাও ভেঙ্গে দাও
এই বলে চিৎকার এটা হতো গান
শোষকের কটা হাত কটা মাথা কটা দাঁত
এর কোন উত্তর দেয় নাতো গান
উত্তর একটাই নিজে খুঁজে নাও
নিজে যদি খুঁজবো নিজেদেরই বুঝবো
প্রয়োজন নেই গান শুনবো না
গান শুনবো না শুনবো না শুনবো না
গান শুনবোনা গান গান শুনবো না
শুনবোনা গান গান শুনবো না।

চারিদিকে আতঙ্ক বম বম বম্বে
ভয়ে আটখানা হয় দিল্লীকা বিল্লি
লাগেনা লাগেনা লাগেনা কোন কম্মে
পশুদের সাথে মানুষের সহবাস
পশুদের সাথে মানুষের সহবাস
প্রশাসন তবু দিয়ে যায় আশ্বাস
টেনশান দিয়ে দিয়ে ছোট মেয়েটার বিয়ে
মাস্টার গেইম আর মাস্টার প্লাস
ধর্ম নেমেছে পথে রাজনীতি কি ভিষণ
মানুষ মুখোশে মোড়া সবাইতো বিভিষণ
একটাই সান্ত্বনা বসে বসে দিন গোণা
না না না গুণবো না
দিন গুণবো না গুণবো না গুণবো না
দিন গুণবো না দিন দিন গুণবো না
গুণবো না দিন দিন গুণবো না।।

হেই, হেই তুমি চুপ করে বসে ভাবো কার কথা?
প্রেম?...আরে মোটা মানিব্যাগ দেখে
তোমাকে সাইডে রেখে দৌড়োবে সোজা,
সোজা দৌড়োবে প্রেম
ইট কাঠ পাথরেতে ঢাকা এই শহরেতে
হৃদয়ের কারবার?
লোকসান বার বার বার
বেকার যুবকদের সান্ত্বনা একটাই
চাকরির বদলেতে আছে প্রেম
রুজির ঠিকানাহীন আঁকাবাঁকা পথ ধরে
আশাকে বাঁচিয়ে রাখা অনেক যত্ন করে
তারপর একদিন পথ চলা সাড়া হলে
ঝুলি হাতড়িয়ে দেখা নেই প্রেম
অনেক অনেক দাম জীবন যে তার নাম
তারই পথের বাঁকে হারিয়েছে প্রেম
প্রেম তাই খাটি সোনা এ কথা অনেক শোনা
প্রেম তাই খাটি সোনা এ কথা অনেক শোনা
বসে বসে শুধু বসে মিথ্যার জাল বোনা
না না না বুনবো না
জাল বুনবো না বুনবো না বুনবো না
জাল বুনবো না জাল জাল বুনবো না
বুনবো না জাল জাল বুনবো না আ আ
শুনবোনা গান গান শুনবো না
শুনবোনা গান গান শুনবো না
শুনবোনা গান গান শুনবো না
শুনবোনা গান গান শুনবো না
শুনবোনা গান।
অনেক কথা যাও যে ব'লে কোনো কথা না বলি ।
তোমার ভাষা বোঝার আশা দিয়েছি জলাঞ্জলি ।।
যে আছে মম গভীর প্রাণে ভেদিবে তারে হাসির বাণে,
চকিতে চাহ মুখের পানে তুমি যে কুতূহলী ।
তোমারে তাই এড়াতে চাই, ফিরিয়া যাই চলি ।।
আমার চোখে যে চাওয়াখানি ধোওয়া সে আঁখিলোরে-
তোমারে আমি দেখিতে পাই, তুমি না পাও মোরে ।
তোমার মনে কুয়াশা আছে, আপনি ঢাকা আপন-কাছে-
নিজের অগোচরেই পাছে আমারে যাও ছলি
তোমারে তাই এড়াতে চাই, ফিরিয়া যাই চলি ।।
আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায় লুকোচুরি খেলা রে ভাই - 
লুকোচুরি খেলা ।
নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা রে ভাই -
লুকোচুরি খেলা ।।
আজ ভ্রমর ভোলে মধু খেতে উড়ে বেড়ায় আলোয়-মেতে,
আজ কিসের তরে নদীর চরে চখা-চখীর মেলা ।
নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা রে ভাই -
লুকোচুরি খেলা ।।
ও রে যাব না আজ ঘরে রে ভাই, যাব না আজ ঘরে ।
ওরে, আকাশ ভেঙে বাহিরকে আজ নেবরে লুট ক'রে-
যাব না আর ঘরে ।
যেন জোয়ার-জলে ফেনার রাশি বাতাসে আজ ছুটছে হাসি,
আজ বিনা কাজে বাজিয়ে বাঁশি কাটবে সকল বেলা ।
নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা রে ভাই -


লুকোচুরি খেলা ।।
আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদল দিনে
জানি নে, জানি নে
কিছুতেই কেন যে মন লাগে না ।।

এই চঞ্চল সজল পবন-বেগে
উদ্ভ্রান্ত মেঘে... 
মন চায়... মন চায়...
ঐ বলাকার পথখানি নিতে চিনে ।।

মেঘমল্লারে সারা দিনমান
বাজে ঝরনার গান ।

মন হারাবার আজি বেলা
পথ ভুলিবার খেলা
মন চায় …মন চায় …
হৃদয় জড়াতে কারো চির -ঋণে

আজি ঝর ঝর মুখর বাদল দিনে . . .

জানি নে জানি নে … 


কিছুতে কেন যে মন লাগে না। 
তোমার হাসির ঢেউ,  
লাগল আমার চোখে, 
ভিজলো দু-চোখের পাতা 
জানলো না... তো লোকে। 

ও... তোমার হাসির ঢেউ , 
লাগল আমার চোখে, 
ভিজলো দু-চোখের পাতা, 
জানলো না... তো লোকে। 

ভেজা ভেজা চোখ আমি, 
রোদ্দুরে শুকাবো। 
ভালোবাসি তোমারে,
কি করে তা লুকাবো ?  
ভেজা ভেজা চোখ আমি 
রোদ্দুরে শুকাবো। 
ভালোবাসি তোমারে 
কি করে তা লুকাবো?  

তোমার হাসির ঢেউ,  
লাগল আমার চোখে। 
ভিজলো দু-চোখের পাতা 
জানলো না... তো লোকে। 

তোমার ভালো হোক, 
তুমি সুখে থাকো  
কিছুই চাইনা আমি, 
মনে রাখো বা না রাখো। 
তোমার ভালো হোক, 
তুমি সুখে থাকো  
কিছুই চাইনা আমি, 
মনে রাখো বা না রাখো। 

আমি একলা ভালোবেসেই যাবো, 
পথো চেয়ে হায় শুধু বসেই রবো।  

ভেজা ভেজা চোখ আমি 
রোদ্দুরে শুকাবো, 
ভালোবাসি তোমারে 
কি করে তা লুকাবো। 
ভেজা ভেজা চোখ আমি 
রোদ্দুরে শুকাবো, 
ভালোবাসি তোমারে 
কি করে তা লুকাবো। 

ভেজা ভেজা চোখ আমি 
রোদ্দুরে শুকাবো, 
ভালোবাসি তোমারে 


কি করে তা লুকাবো।
তুই যে কেন ভাবিস আমাকে পর
উতলা হৃদয় নগর 
তাই ভালোবেসে একটা কিছু কর। 
জমানো যতো কথা আছে এই বুকে
তোর গালে দিবো টুটে 
এই মনের মাঝে তুই যে একটা ঝড়। 

ফিরে যাস কেন এভাবে 
কিছু কথা শুনে যা। 
এই দুচোখের গভীরে 
তোর স্বপ্ন বুনে যা। 
আমি পারি না... 
তোকে ভুলে থাকতে 
পারি না কাছেও রাখিতে। 
একা এলোমেলো দিন খুঁজে চলে রঙ্গিন আদর
চল যাই হারিয়ে হাত বাড়িয়ে 
সুখে থাক দুটি অন্তর। 

তুই যে কেন ভাবিস আমাকে পর
উতলা হৃদয় নগর 
তাই ভালোবেসে একটা কিছু কর। 
জমানো যতো কথা আছে এই বুকে
তোর গালে দিবো টুটে 
এই মনের মাঝে তুই যে একটা ঝড়। 

হয়ে যা তুই একটু রাজি
দ্বিধা কেন যে আর; 
পৃথিবীকে জানিয়ে দেবো  
তুই যে শুধু আমার।
ও একটি গোলাপ সাক্ষী রেখে 
করেছি আমি পণ ও ও 
ভালোবেসে রাঙ্গিয়ে দেবো 
তোর দুরন্ত মন। 
আমি চাই, তোকে চাই
মনে কতো উচাটন  
তোরে কি করে বোঝাই
পুড়ে যাই, মরে যাই
এতো সহজে কি করে 
তুই জড়ালি মায়ায় 
এ আমায় বাঁচা দায়; 
একা এলোমেলো দিন 
খুঁজে চলি রঙ্গিন আদর
চল যাই হারিয়ে হাত বাড়িয়ে 
সুখে থাক দুটি অন্তর। 

তুই যে কেন ভাবিস আমাকে পর
উতলা হৃদয় নগর 
তাই ভালোবেসে একটা কিছু কর 
জমানো যতো কথা আছে এই বুকে
তোর গালে দিবো টুটে 
এই মনের মাঝে তুই যে একটা ঝড়। 
সবাই তো সুখী হতে চাই 

সবাই তো সুখী হতে চাই 
সবাই তো সুখী হতে চায়, 
তবু কেউ সুখী হয়, কেউ হয়না।
জানিনা বলে যা লোকে সত্যি কিনা?
জানিনা বলে যা লোকে সত্যি কিনা?
কপালে সবার নাকি সুখ সয় না।
সবাই তো সুখী হতে চাই। 

আশায় আশায় তবু এই আমি থাকি,
যদি আসে কোনোদিন সেই সুখপাখি 
আশায় আশায় তবু এই আমি থাকি,
যদি আসে কোনোদিন সেই সুখপাখি । 
এই চেয়ে থাকা আর প্রাণে সয় না, 
সবাই তো সুখী হতে চাই। 

ভালোবেসে সুখী হতে বলো কে না চায়?
রাধা সুখী হয়েছিল সেই শ্যাম রায়। 
আমিও রাধার মতো ভালোবেসে যাবো,
হয় কিছু পাবো নয় সবই হারাবো
এই চেয়ে থাকা আর প্রাণে সয় না।

সবাই তো সুখী হতে চাই 
তবু কেউ সুখী হয়, কেউ হয়না।
জানিনা বলে যা লোকে সত্যি কিনা?
কপালে সবার নাকি সুখ সয় না।
সবাই তো সুখী হতে চাই 
তবু কেউ সুখী হয়, কেউ হয়না।
বলতে বলতে চলতে চলতে

বলতে চেয়ে মনে হয়, 
বলতে তবু দেয় না হৃদয়
কতটা তোমায় ভালোবাসি। 
চলতে গিয়ে মনে হয়, 
দূরত্ব কিছু নয়
তোমারি কাছেই ফিরে আসি।
তুমি তুমি তুমি শুধু এই মনের আনাচে কানাচে
সত্যি বলনা কেউ কি প্রেম হীনা কখনো বাঁচে?
তুমি তুমি তুমি শুধু এই মনের আনাচে কানাচে
সত্যি বলনা কেউ কি প্রেম হীনা কখনো বাঁচে?
বলতে চেয়ে মনে হয়, 
বলতে তবু দেয় না হৃদয়
কতটা তোমায় ভালোবাসি। 

মেঘের খামে আজ তোমার নামে,
উড়ো চিঠি পাঠিয়ে দিলাম;
পড়ে নিও তুমি মিলিয়ে নিও,
খুব যতনে তা লিখেছিলাম।
মেঘের খামে আজ তোমার নামে,
উড়ো চিঠি পাঠিয়ে দিলাম;
পড়ে নিও তুমি মিলিয়ে নিও,
খুব যতনে তা লিখেছিলাম। 
ও চায় পেতে আরো মন, 
পেয়েও এত কাছে।
বলতে চেয়ে মনে হয়, 
বলতে তবু দেয় না হৃদয়
কতটা তোমায় ভালোবাসি। 

মন অল্পতে প্রিয় গল্পতে,
কল্পনায় স্বপ্ন আঁকে;
ভুল ত্রুটি আবেগী খুঁনসুটি,
সারাক্ষন তোমায় ছুঁয়ে রাখে। 
মন অল্পতে প্রিয় গল্পতে,
কল্পনায় স্বপ্ন আঁকে;
ভুল ত্রুটি আবেগী খুঁনসুটি,
সারাক্ষন তোমায় ছুঁয়ে রাখে। 
ও চায় পেতে আরো মন, 
পেয়েও এত কাছে।
বলতে চেয়ে মনে হয়, 
বলতে তবু দেয় না হৃদয়
কতটা তোমায় ভালোবাসি। 
কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু

কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি? 
কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি? 
কেমনে রাখবি তোর মন
আমার আপন ঘরে বাধিরে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি... 
কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি? 

পাড়া পড়শী বাদী আমার... 
বাদী কাল ননদী। 
হো... পাড়া পড়শী বাদী আমার... 
বাদী কাল ননদী। 
মরম জ্বালা সইতে নারি
দিবা নিশি কাঁদিরে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি...
কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি? 

কারে কী বলিব আমি... 
নিজেই অপরাধী। 
হো..কারে কী বলিব আমি... 
নিজেই অপরাধী। 
কেঁদে কেঁদে চোখের জলে
বহাইলাম নদী রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি...
কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি? 

পাগল আব্দুল করিম বলে
হলো এ কী ব্যাধি? 
হো...পাগল আব্দুল করিম বলে
হলো এ কী ব্যাধি? 
তুমি বিনে এ ভুবনে
কে আছে আছে ঔষধি রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি... 
কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি? 
গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ

গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ 
আমার মন ভুলায় রে,
গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ 
আমার মন ভুলায় রে।

ওরে কার পানে মন হাত বাড়িয়ে 
ওরে কার পানে মন হাত বাড়িয়ে 
লুটিয়ে যায় ধুলায় রে
আমার মন ভুলায় রে।

গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ 
আমার মন ভুলায় রে,
গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ 
আমার মন ভুলায় রে।

ও যে আমায় ঘরের বাহির করে,   
পায়ে-পায়ে পায়ে ধরে 
মরি হায় হায় রে,
ও যে আমায় ঘরের বাহির করে,   
পায়ে-পায়ে পায়ে ধরে 
মরি হায় হায় রে।

ও যে কেড়ে আমায় নিয়ে যায় রে 
ও যে কেড়ে আমায় নিয়ে যায় রে, 
যায় রে কোন্ চুলায় রে
আমার মন ভুলায় রে।

ও যে কোন্ বাঁকে কী ধন দেখাবে,   
কোনখানে কী দায় ঠেকাবে–
কোন্ বাঁকে কী ধন দেখাবে,   
কোনখানে কী দায় ঠেকাবে। 
কোথায় গিয়ে শেষ মেলে যে
কোথায় গিয়ে শেষ মেলে যে,  
ভেবেই না কুলায় রে
আমার মন ভুলায় রে।

গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ 
আমার মন ভুলায় রে,
গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ 
আমার মন ভুলায় রে।
আমার একলা আকাশ 

আমার একলা আকাশ 
থমকে গেছে রাতের স্রোতে ভেসে, 
শুধু তোমায় ভালবেসে। 
আমার দিনগুলো সব 
রঙ চিনেছে তোমার কাছে এসে, 
শুধু তোমায় ভালবেসে। 
তুমি চোখ মেললেই 
ফুল ফুটেছে আমার ছাদে এসে, 
ভোরের শিশির ঠোট ছুঁয়ে যায় 
তোমার ভালবেসে। 
আমার একলা আকাশ 
থমকে গেছে রাতের স্রোতে ভেসে, 
শুধু তোমায় ভালবেসে। 

আমার ক্লান্ত মন 
ঘর খুঁজেছে যখন, 
আমি চাইতাম পেতে চাইতাম 
শুধু তোমার টেলিফোন। 
ঘর ভরা দুপুর 
আমার একলা থাকার সুর, 
রোদ গাইতো আমি ভাবতাম 
তুমি কোথায় কতদুর। 
আমার বেসুর গিটার 
সুর বেঁধেছে তোমার কাছে এসে, 
শুধু তোমায় ভালবেসে। 

আমার একলা আকাশ 
রাত চিনেছে তোমার হাসি হেসে, 
শুধু তোমায় ভালবেসে। 

অলস মেঘলা মন
আমার আবছা ঘরের ঘরের কোণ
চেয়ে রইতো ছুটে চাইতো 
তুমি আসবে আর কখন। 
শ্রান্ত ঘুঘুর ডাক 
ধুলো মাখা বইয়ের তাক, 
যেন বলছে যেন বলছে 
থাক অপেক্ষাতেই থাক। 

আমার একলা আকাশ 
থমকে গেছে রাতের স্রোতে ভেসে, 
শুধু তোমায় ভালবেসে। 
আমার দিনগুলো সব 
রঙ চিনেছে তোমার কাছে এসে, 
শুধু তোমায় ভালবেসে। 
আয় খুকু আয়

কাটেনা সময় যখন আর কিছুতে
বন্ধুর টেলিফোনে মন বসেনা, 
জানলার গ্রিলটাতে ঠেকাই মাথা
মনে হয় বাবার মত কেউ বলেনা, 
আয় খুকু আয়…
আয় খুকু আয়…

আয় খুকু আয়…
আয় খুকু আয়…
আয়রে আমার সাথে গান গেয়ে যা। 
নতুন নতুন সুর নে শিখে নে, 
কিছূই যখন ভাল লাগবেনা তোর
পিয়ানোয় বসে তুই বাজাবিরে, 
আয় খুকু আয়… 
আয় খুকু আয়…

সিনেমা যখন চোখে জ্বালা ধরায়
গরম কফির মজা জুড়িয়ে যায়, 
কবিতার বইগুলো ছূঁড়ে ফেলি
মনে হয় বাবা যদি বলতো আমায়, 
আয় খুকু আয়…আয় খুকু আয়…
আয় খুকু আয়…আয় খুকু আয়…

আয় খুকু আয়…
আয় খুকু আয়…
আয়রে আমার সাথে আয় এক্ষুনি
কোথাও ঘুরে আসি শহর ছেড়ে। 
ছেলেবেলার মত বায়না করে
কাজ থেকে নেনা তুই আমায় কেড়ে, 
আয় খুকু আয়…
আয় খুকু আয়…

দোকানে যখন আসি সাজবো বলে
খোঁপাটা বেঁধে নেই ঠান্ডা হাওয়ায়। 
আরশিতে যখন এই চোখ পড়ে যায়
মনে হয় বাবা যেন বলছে আমায়, 
আয় খুকু আয়…
আয় খুকু আয়…

আয় খুকু আয়…
আয় খুকু আয়…
আয়রে আমার কাছে আয় মা-মণি
সবার আগে আমি দেখি তোকে, 
দেখিতো কেমন খোঁপা বেঁধেছিস তুই
কেমন কাজল দিলি কালো চোখে, 
আয় খুকু আয়…
আয় খুকু আয়…

ছেলেবেলার দিন ফেলে এসে
সবাই আমার মত বড় হয়ে যায়, 
জানিনা কজনে আমার মতন
মিষ্টি সে পিছুডাক শুনতে যে পায়, 
আয় খুকু আয়…
আয় খুকু আয়…

আয় খুকু আয়…
আয় খুকু আয়…
আয়রে আমার পাশে আয় মা-মণি
এহাতটা ভাল করে ধর এখনি। 
হারানো সেদিনে চল চলে যাই
ছোট্টবেলা তোর ফিরিয়ে আনি, 
আয় খুকু আয়…
আয় খুকু আয়…
আয় খুকু আয়…
আয় খুকু আয়…
আয় খুকু আয়…
আয় খুকু আয়…
বৃদ্ধাশ্রম

ছেলে আমার মস্ত মানুষ,মস্ত অফিসার
মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার ওপার, 
ছেলে আমার মস্ত মানুষ,মস্ত অফিসার
মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার ওপার।
নানান রকম জিনিস আর আসবাব দামী দামী
সবচেয়ে কম দামী ছিলাম একমাত্র আমি।
ছেলের আমার আমার প্রতি অগাধ সম্ভ্রম
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম!

আমার ব্যবহারের সেই আলমারি আর আয়না
ওসব নাকি বেশ পুরনো,ফ্ল্যাটে রাখা যায় না, 
আমার ব্যবহারের সেই আলমারি আর আয়না
ওসব নাকি বেশ পুরনো,ফ্ল্যাটে রাখা যায় না।
ওর বাবার ছবি,ঘড়ি-ছড়ি,বিদেয় হলো তাড়াতাড়ি
ছেড়ে দিলো, কাকে খেলো, পোষা বুড়ো ময়না।
স্বামী-স্ত্রী আর আ্যালসেশিয়ান-জায়গা বড়ই কম
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম!

নিজের হাতে ভাত খেতে পারতো নাকো খোকা
বলতাম আমি না থাকলে কি করবি বোকা?
ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদতো খোকা আমার কথা শুনে-
খোকা বোধ হয় আর কাঁদে না,নেই বুঝি আর মনে।
ছোট্টবেলায় স্বপ্ন দেখে উঠতো খোকা কেঁদে
দু’হাত দিয়ে বুকের কাছে রেখে দিতাম বেঁধে
দু’হাত আজো খুঁজে,ভুলে যায় যে একদম-
আমার ঠিকানা এখন বৃদ্ধাশ্রম!

খোকারও হয়েছে ছেলে,দু’বছর হলো
তার তো মাত্র বয়স পঁচিশ,ঠাকুর মুখ তোলো।
একশো বছর বাঁচতে চাই এখন আমার সাধ
পঁচিশ বছর পরে খোকার হবে ঊনষাট।
আশ্রমের এই ঘরটা ছোট,জায়গা অনেক বেশি-
খোকা-আমি,দু’জনেতে থাকবো পাশাপাশি।
সেই দিনটার স্বপ্ন দেখি ভীষণ রকম
মুখোমুখি আমি,খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!
মুখোমুখি আমি,খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!
মুখোমুখি আমি,খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!
নীলাঞ্জনা

লাল ফিতে সাদা মোজা সু স্কুলের ইউনিফর্ম,
ন'টার সাইরেন সংকেত সিলেবাসে মনোযোগ কম,
পড়া ফেলে এক ছুট ছুট্টে রাস্তার মোড়ে,
দেখে সাইরেন মিস করা দোকানীরা দেয় ঘড়িতে দম,
এরপর একরাশ কালো কালো ধোঁয়া,
স্কুল বাসে করে তার দ্রুত চলে যাওয়া ।

এরপর বিষন্ন দিন বাজেনা মনোবীণ,
অবসাদে ঘিরে থাকা সে দীর্ঘ দিন,
হাজার কবিতা বেকার সবই তা, 
হাজার কবিতা বেকার সবই তা। 
তার কথা কেউ বলে না,
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা, 
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা ।

সন্ধ্যা ঘনাতো যখন পাড়ায় পাড়ায়,
রক থাকতো ভরে কিছু বখাটে ছোড়ায়,
হিন্দি গানের কলি সদ্য শেখা গালাগালি
একঘেয়ে হয়ে যেত সময় সময় ।

তখন উদাস মন ভুলে মনোরঞ্জন,
দাম দিয়ে যন্ত্রনা কিনতে চায়,
তখন নীলাঞ্জনা প্রেমিকের কল্পনা,
ও মনের গভীরতা জানতে চায় ।

যখন খোলা চুলে হয়তো মনের ভুলে,
তাকাতো সে অবহেলে দু'চোখ মেলে,
হাজার কবিতা বেকার সবই তা, 
হাজার কবিতা বেকার সবই তা।
তার কথা কেউ বলে না,
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা, 
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা ।

অংকের খাতা ভরা থাকতো আঁকায়,
তার ছবি তার নাম পাতায় পাতায়,
হাজার অনুষ্ঠান প্রভাত ফেরীর গান
মন দিন গুনে এই দিনে আশায় ।

রাত জেগে নাটকের মহড়ায় চঞ্চল
মন শুধু সে ক্ষনের প্রতিক্ষায়, 
রাত্রির আঙ্গিনায় যদি খোলা জানালায়, 
একবার একবার যদি সে দাঁড়ায়। 

বোঝেনি অবুঝ মন নীলাঞ্জনা তখন,
নিজেতে ছিলো মগণ এ প্রানপণ,
হাজার কবিতা বেকার সবই তা, 
হাজার কবিতা বেকার সবই তা ।
তার কথা কেউ বলে না,
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা ।

সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা ........
আবার এলো যে সন্ধ্যা

আবার এলো যে সন্ধ্যা, শুধু দু’জনে
আবার এলো যে সন্ধ্যা, শুধু দু’জনে
চলো না ঘুরে আসি অজানাতে
যেখানে নদী এসে থেমে গেছে।
চলো না ঘুরে আসি অজানাতে
যেখানে নদী এসে থেমে গেছে।

ঝাউবনে হাওয়াগুলো খেলছে
সাঁওতালি মেয়েগুলো চলছে। 
লাল লাল শাড়ীগুলো উড়ছে
তার সাথে মন মোর দুলছে।

ঐ দুর আকাশের প্রান্তে
সাত রঙা মেঘ গুলো উড়ছে, 
ঐ দুর আকাশের প্রান্তে
সাত রঙা মেঘ গুলো উড়ছে।
চলো না ঘুরে আসি অজানাতে
যেখানে নদী এসে থেমে গেছে।

এই বুঝি বয়ে গেল সন্ধ্যা
ভেবে যায় কি জানি কি মনটা, 
পাখিগুলো নীড়ে ফিরে চলছে
গানে গানে কি যে কথা বলছে। 

ভাবি শুধু এখানেই থাকবো
ফিরে যেতে মন নাহি চাইছে, 
ভাবি শুধু এখানেই থাকবো
ফিরে যেতে মন নাহি চাইছে। 
চলো না ঘুরে আসি অজানাতে
যেখানে নদী এসে থেমে গেছে।

আবার এলো যে সন্ধ্যা, শুধু দু’জনে
আবার এলো যে সন্ধ্যা, শুধু দু’জনে। 
পরী 

আজ তোমার মন খারাপ মেয়ে, 
তুমি আনমনে বসে আছো। 
আকাশ পানে দৃষ্টি উদাস, 
আমি তোমার জন্য এনে দেব 
মেঘ থেকে বৃষ্টির ঝিরি ঝিরি হাওয়া, 
সেই হাওয়ায় ভেসে যাবে তুমি
সেই হাওয়ায় ভেসে যাবে তুমি। 

আজ তোমার মন খারাপ মেয়ে
তুমি আনমনে বসে আছো। 
আকাশ পানে দৃষ্টি উদাস
আমি তোমার জন্য এনে দেব
মেঘ থেকে বৃষ্টির ঝিরি ঝিরি হাওয়া, 
সেই হাওয়ায় ভেসে যাবে তুমি
সেই হাওয়ায় ভেসে যাবে তুমি। 

আজ তোমার চোখের কোণে জল
বৃষ্টিও অবিরাম কাঁদে
তোমার সাথে সাথে আমার পথে পথে। 
আজ তোমার চোখের কোণে জল
বৃষ্টিও অবিরাম কাঁদে
তোমার সাথে সাথে আমার পথে পথে। 

আমি তোমার জন্য এনে দেব
রোদেলা সে ক্ষণ 
পাখিকে করে দেব তোমার আপনজন, 
পরী তুমি ভাসবে মেঘের ভাঁজে
পরী তুমি ভাসবে মেঘের ভাঁজে। 

আজ তোমার জোছনা হারায় আলো
প্রজাপতির ডানায় বিষাদ করে ভর
যখন তখন বিষাদ করে ভর, 
আজ তোমার জোছনা হারায় আলো
প্রজাপতির ডানায় বিষাদ করে ভর
যখন তখন বিষাদ করে ভর। 

আমি তোমার জন্য এনে দেব
অঝর শ্রাবণ আকাশ ছোয়া জল জোছনা। 
পরী তুমি ভাসবে মেঘের ভাঁজে
পরী তুমি ভাসবে মেঘের ভাঁজে। 

আজ তোমার মন খারাপ মেয়ে
তুমি আনমনে বসে আছো। 
আকাশ পানে দৃষ্টি উদাস
আমি তোমার জন্য এনে দেব
মেঘ থেকে বৃষ্টির ঝিরি ঝিরি হাওয়া, 
সেই হাওয়ায় ভেসে যাবে তুমি
সেই হাওয়ায় ভেসে যাবে তুমি। 
সেই হাওয়ায়...... 
তুমি আমার প্রথম সকাল



তুমি আমার প্রথম সকাল
একাকি বিকেল ক্লান্ত দুপুর বেলা, 
তুমি আমার সারা দিন আমার
তুমি আমার সারা বেলা । 

তুমি আমার প্রথম সকাল
একাকি বিকেল ক্লান্ত দুপুর বেলা, 
তুমি আমার সারা দিন আমার
তুমি আমার সারা বেলা । 

তুমি আমার প্রথম সকাল
একাকি বিকেল ক্লান্ত দুপুর বেলা। 

তুমি আমার একটু চাওয়ার
অনেক খানি পাওয়া। 
তুমি আমার খর রোদে
মিষ্টি হিমেল হাওয়া। 
তুমি আমার সূর্যাস্তে
ঝিকিমিকি বালুকা বেলা। 

তুমি আমার প্রথম সকাল
একাকি বিকেল ক্লান্ত দুপুর বেলা। 

তুমি আমার মরু প্রান্তে
ঘন সবুজ বন। 
তুমি আমার তপ্ত বুকের
ঝড় ঝড় আষাঢ় শ্রাবণ। 
তুমি আমার হৃদয়ে
হাজার তারার মেলা। 

তুমি আমার প্রথম সকাল
একাকি বিকেল ক্লান্ত দুপুর বেলা, 
তুমি আমার সারা দিন আমার
তুমি আমার সারা বেলা ।

তুমি আমার প্রথম সকাল
একাকি বিকেল ক্লান্ত দুপুর বেলা, 
তুমি আমার সারা দিন আমার
তুমি আমার সারা বেলা ।

তুমি আমার প্রথম সকাল
একাকি বিকেল—
লা লা লা লা লা লা লা
জাদুকর

কোনো এক ভোরে মুখোশের জাদুকর
কোনো অবসরে চুপিচুপি বিষদাঁত, তারপর
বিপন্ন, বিষন্ন, তবু হার মেনে নিতে নয়
যুদ্ধ বা সন্ধিই পরিচয়। 

হারাইনি, খুন হয়েছি জাদুকর
ভেঙেছি, তবু নতজানু বসে নেই, জাদুকর
শূন্য করিডোরে পদচিহ্ন রেখে যাই
আগামীর বার্তা জানাই। 

হাত বাড়ালেই শুধু উল্লাসধ্বণি
যেন ক্লান্ত জনতা ভুলের মিছিলে, 
বিভ্রান্ত জাদুকর হারিয়ে যায়
রহস্য আমায় ভাবায়। 

ভাবছো তুমি চুপচাপ শহরে
গ্রাফিতি আঁকা দেয়াল জুড়ে
রক্তের দাগ ছড়িয়ে দেবে নিয়তির শরীরে,
বুকের পাঁজরে। 

হাত বাড়ালেই শুধু উল্লাসধ্বণি
যেন ক্লান্ত জনতা ভুলের মিছিলে, 
বিভ্রান্ত জাদুকর হারিয়ে যায়
রহস্য আমায় ভাবায়। 

কোনো এক ভোরে মুখোশের জাদুকর
কোনো অবসরে চুপিচুপি বিষদাঁত, তারপর.........