কথা ও সুরঃ নচিকেতা চক্রবর্তী
কন্ঠঃ নচিকেতা চক্রবর্তী
আমার পরিচয় বেকার যুবক আমি
সম্বল একটাই দৈন্য
ডিগ্রির ভাঁড়ারেতে তবু কিছু মাল আছে,
পকেটের ভাঁড়ারটা শুন্য
যেদিকেই তাকাই না, দেখি জন-অরণ্য
সে অরণ্যেই দেখি মানুষেরা পণ্য
বধুকে পোড়ানো হয়, অধর্ম জয়ী হয়
মানুষের রক্তে দিনলিপি সই হয়
হাসপাতালের বেডে টিবি রোগীর সাথে
খেলা করে শুয়োরের বাচ্চা
তবু রেডিওটা টিভিটার সাথে সুর ধরে –
সারে জাঁহা ছে আচ্ছা
লাঞ্ছনা গঞ্জনা মাখা অভিযোজনে
রপ্ত করেছি নিজেকে
অসৎ হবার বহু বহু প্রচেষ্টায়
ব্যর্থ করেছি নিজেকে
চাকরির সন্ধানে সুখতলা খয়ে যায়
গঙ্গার জল তবু একই ভাবে বয়ে যায়
ঘুষ ঘুষ ঘুষের এক ঘুস-ঘুসে জ্বরে
গোটা দেশ চিৎকার করে ডাকে ‘ডাক্তার’
ডাক্তার উড়ে আসে ঋণের ওষুধ নিয়ে
গঙ্গার পুজো হয় গঙ্গার জল দিয়ে
বছরের অন্তে বাজেটের যন্ত্রে
পিষে দেই জীবনটা গচ্চা
তবু রেডিওটা টিভিটার সাথে সুর ধরে –
সারে জাঁহা ছে আচ্ছা।
প্রার্থির যোগ্যতা অথবা অভিজ্ঞতা
এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের দীনতা
কোনো কিছুই কোনো কিছুকেই ঢাকে না
আর ‘লোক’ অথবা ‘বিধান’ যে দিকেই তাকান
রাজনীতিজ্ঞ হতে যোগ্যতা লাগে না
হাজার প্রতিশ্রুতি বাতাসেই বয়ে যায়,
‘চলছে না, চলবে না’, তবু তাই হয়ে যায়
কত শত শয়তান হতে চায় ভগবান
আল্লাহ না বড় রাম এই চলে অবিরাম
খুনোখুনি লাঠালাঠি অবিরাম অনুক্ষণ
এদিকে তোমার আমার পেটেতে ছুঁচোর ডন
সমাজ বিরোধি কিছু করে বলে মাথা উঁচু
সমাজবাদের পথই সাচ্চা
তবু রেডিওটা টিভিটার সাথে সুর ধরে –
সারে জাঁহা ছে আচ্ছা।