Recently Lyrics Updated

আবার এলো যে সন্ধ্যা

আবার এলো যে সন্ধ্যা, শুধু দু’জনে
আবার এলো যে সন্ধ্যা, শুধু দু’জনে
চলো না ঘুরে আসি অজানাতে
যেখানে নদী এসে থেমে গেছে।
চলো না ঘুরে আসি অজানাতে
যেখানে নদী এসে থেমে গেছে।

ঝাউবনে হাওয়াগুলো খেলছে
সাঁওতালি মেয়েগুলো চলছে। 
লাল লাল শাড়ীগুলো উড়ছে
তার সাথে মন মোর দুলছে।

ঐ দুর আকাশের প্রান্তে
সাত রঙা মেঘ গুলো উড়ছে, 
ঐ দুর আকাশের প্রান্তে
সাত রঙা মেঘ গুলো উড়ছে।
চলো না ঘুরে আসি অজানাতে
যেখানে নদী এসে থেমে গেছে।

এই বুঝি বয়ে গেল সন্ধ্যা
ভেবে যায় কি জানি কি মনটা, 
পাখিগুলো নীড়ে ফিরে চলছে
গানে গানে কি যে কথা বলছে। 

ভাবি শুধু এখানেই থাকবো
ফিরে যেতে মন নাহি চাইছে, 
ভাবি শুধু এখানেই থাকবো
ফিরে যেতে মন নাহি চাইছে। 
চলো না ঘুরে আসি অজানাতে
যেখানে নদী এসে থেমে গেছে।

আবার এলো যে সন্ধ্যা, শুধু দু’জনে
আবার এলো যে সন্ধ্যা, শুধু দু’জনে। 
পরী 

আজ তোমার মন খারাপ মেয়ে, 
তুমি আনমনে বসে আছো। 
আকাশ পানে দৃষ্টি উদাস, 
আমি তোমার জন্য এনে দেব 
মেঘ থেকে বৃষ্টির ঝিরি ঝিরি হাওয়া, 
সেই হাওয়ায় ভেসে যাবে তুমি
সেই হাওয়ায় ভেসে যাবে তুমি। 

আজ তোমার মন খারাপ মেয়ে
তুমি আনমনে বসে আছো। 
আকাশ পানে দৃষ্টি উদাস
আমি তোমার জন্য এনে দেব
মেঘ থেকে বৃষ্টির ঝিরি ঝিরি হাওয়া, 
সেই হাওয়ায় ভেসে যাবে তুমি
সেই হাওয়ায় ভেসে যাবে তুমি। 

আজ তোমার চোখের কোণে জল
বৃষ্টিও অবিরাম কাঁদে
তোমার সাথে সাথে আমার পথে পথে। 
আজ তোমার চোখের কোণে জল
বৃষ্টিও অবিরাম কাঁদে
তোমার সাথে সাথে আমার পথে পথে। 

আমি তোমার জন্য এনে দেব
রোদেলা সে ক্ষণ 
পাখিকে করে দেব তোমার আপনজন, 
পরী তুমি ভাসবে মেঘের ভাঁজে
পরী তুমি ভাসবে মেঘের ভাঁজে। 

আজ তোমার জোছনা হারায় আলো
প্রজাপতির ডানায় বিষাদ করে ভর
যখন তখন বিষাদ করে ভর, 
আজ তোমার জোছনা হারায় আলো
প্রজাপতির ডানায় বিষাদ করে ভর
যখন তখন বিষাদ করে ভর। 

আমি তোমার জন্য এনে দেব
অঝর শ্রাবণ আকাশ ছোয়া জল জোছনা। 
পরী তুমি ভাসবে মেঘের ভাঁজে
পরী তুমি ভাসবে মেঘের ভাঁজে। 

আজ তোমার মন খারাপ মেয়ে
তুমি আনমনে বসে আছো। 
আকাশ পানে দৃষ্টি উদাস
আমি তোমার জন্য এনে দেব
মেঘ থেকে বৃষ্টির ঝিরি ঝিরি হাওয়া, 
সেই হাওয়ায় ভেসে যাবে তুমি
সেই হাওয়ায় ভেসে যাবে তুমি। 
সেই হাওয়ায়...... 
তুমি আমার প্রথম সকাল



তুমি আমার প্রথম সকাল
একাকি বিকেল ক্লান্ত দুপুর বেলা, 
তুমি আমার সারা দিন আমার
তুমি আমার সারা বেলা । 

তুমি আমার প্রথম সকাল
একাকি বিকেল ক্লান্ত দুপুর বেলা, 
তুমি আমার সারা দিন আমার
তুমি আমার সারা বেলা । 

তুমি আমার প্রথম সকাল
একাকি বিকেল ক্লান্ত দুপুর বেলা। 

তুমি আমার একটু চাওয়ার
অনেক খানি পাওয়া। 
তুমি আমার খর রোদে
মিষ্টি হিমেল হাওয়া। 
তুমি আমার সূর্যাস্তে
ঝিকিমিকি বালুকা বেলা। 

তুমি আমার প্রথম সকাল
একাকি বিকেল ক্লান্ত দুপুর বেলা। 

তুমি আমার মরু প্রান্তে
ঘন সবুজ বন। 
তুমি আমার তপ্ত বুকের
ঝড় ঝড় আষাঢ় শ্রাবণ। 
তুমি আমার হৃদয়ে
হাজার তারার মেলা। 

তুমি আমার প্রথম সকাল
একাকি বিকেল ক্লান্ত দুপুর বেলা, 
তুমি আমার সারা দিন আমার
তুমি আমার সারা বেলা ।

তুমি আমার প্রথম সকাল
একাকি বিকেল ক্লান্ত দুপুর বেলা, 
তুমি আমার সারা দিন আমার
তুমি আমার সারা বেলা ।

তুমি আমার প্রথম সকাল
একাকি বিকেল—
লা লা লা লা লা লা লা
আজ জন্মদিন তোমার

আজকের আকাশে অনেক তারা, 
দিন ছিল সূর্যে ভরা,
আজকের জোছনাটা আরো সুন্দর, 
সন্ধ্যাটা আগুন লাগা। 
আজকের পৃথিবী তোমার জন্য 
ভরে থাকা ভালো লাগা, 
মুখরিত হবে দিন গানে গানে 
আগামীর সম্ভাবনা। 

তুমি এই দিনে পৃথিবীতে এসেছ 
শুভেচ্ছা তোমায়, 
তাই অনাগত ক্ষণ হোক আরো সুন্দর
উচ্ছল দিন কামনায়। 

আজ জন্মদিন তোমার। 

তোমার জন্য এই রোদেলা স্বপ্ন সকাল
তোমার জন্য হাসে অনরল স্নিগ্ধ বিকেল
ভালবাসা নিয়ে নিজে তুমি, 
ভালোবাসো সব সৃষ্টিকে। 
ভালবাসা নিয়ে নিজে তুমি, 
ভালোবাসো সব সৃষ্টিকে। 


তুমি এই দিনে পৃথিবীতে এসেছ 
শুভেচ্ছা তোমায়, 
তাই অনাগত ক্ষণ হোক আরো সুন্দর
উচ্ছল দিন কামনায়। 

আজ জন্মদিন তোমার। 

তোমার জন্য ফোঁটা পৃথিবীর সব গোলাপ, 
তোমার জন্য এই কবিতা নয় সে প্রলাপ। 
আলোকিত হয়ে নিজে তুমি, 
আলোকিত কর পৃথিবীকে। 
আলোকিত হয়ে নিজে তুমি, 
আলোকিত কর পৃথিবীকে। 

তুমি এই দিনে পৃথিবীতে এসেছ 
শুভেচ্ছা তোমায়, 
তাই অনাগত ক্ষণ হোক আরো সুন্দর
উচ্ছল দিন কামনায়। 

আজ জন্মদিন তোমার। 

আজকের আকাশে অনেক তারা, 
দিন ছিল সূর্যে ভরা,
আজকের জোছনাটা আরো সুন্দর, 
সন্ধ্যাটা আগুন লাগা। 
আজকের পৃথিবী তোমার জন্য 
ভরে থাকা ভালো লাগা, 
মুখরিত হবে দিন গানে গানে 
আগামীর সম্ভাবনা। 

তুমি এই দিনে পৃথিবীতে এসেছ 
শুভেচ্ছা তোমায়, 
তাই অনাগত ক্ষণ হোক আরো সুন্দর
উচ্ছল দিন কামনায়। 

আজ জন্মদিন তোমার। 
জাদুকর

কোনো এক ভোরে মুখোশের জাদুকর
কোনো অবসরে চুপিচুপি বিষদাঁত, তারপর
বিপন্ন, বিষন্ন, তবু হার মেনে নিতে নয়
যুদ্ধ বা সন্ধিই পরিচয়। 

হারাইনি, খুন হয়েছি জাদুকর
ভেঙেছি, তবু নতজানু বসে নেই, জাদুকর
শূন্য করিডোরে পদচিহ্ন রেখে যাই
আগামীর বার্তা জানাই। 

হাত বাড়ালেই শুধু উল্লাসধ্বণি
যেন ক্লান্ত জনতা ভুলের মিছিলে, 
বিভ্রান্ত জাদুকর হারিয়ে যায়
রহস্য আমায় ভাবায়। 

ভাবছো তুমি চুপচাপ শহরে
গ্রাফিতি আঁকা দেয়াল জুড়ে
রক্তের দাগ ছড়িয়ে দেবে নিয়তির শরীরে,
বুকের পাঁজরে। 

হাত বাড়ালেই শুধু উল্লাসধ্বণি
যেন ক্লান্ত জনতা ভুলের মিছিলে, 
বিভ্রান্ত জাদুকর হারিয়ে যায়
রহস্য আমায় ভাবায়। 

কোনো এক ভোরে মুখোশের জাদুকর
কোনো অবসরে চুপিচুপি বিষদাঁত, তারপর......... 

এক শহর ভালবাসা

তোমার এলোমেলো চুলে
আমার সাদা মনে
হারিয়ে যেতে চাই
কোন হুড তোলা রিকশায়
এক মুঠো প্রেম এড়িয়ে।
আমার শূন্য পকেটে
হারাতে দ্বিধা নাই
অচেনা গলিতে
এক শহর ভালবাসা দিতে চাই।

এই নরম বিকেলে
মুখোমুখি দাড়িয়ে
শুধু বলতে ভয়
ভালোবাসাতে চাই
দ্বিধার আদরে।
আমি খুব সাধারন
সাদামাটা একজন
মরতে পারি
বাঁচতে শিখি
তা দ্বিধা ছাড়াই।

তোমার সাথে
এই পথটি যেন আজ শেষ না হয়
এমন করে
তোমার নরম হাতের ঐ ছোঁয়ায়
ইচ্ছে করে
জমা চায়ের কাপে বৃষ্টি নামুক
হোক সন্ধ্যা রাত
তবু এই সময় থেমে থাকুক
বুলিয়ে দাও রাঙিয়ে
ঐ মায়া যাদু হাতে
কি সুখ লাগে
এক শহর ভালবাসা দিতে চাই।

এই নরম বিকেলে
মুখোমুখি দাড়িয়ে
শুধু বলতে ভয়
ভালোবাসাতে চাই
দ্বিধার আদরে।
আমি খুব সাধারন
সাদামাটা একজন
মরতে পারি
বাঁচতে শিখি
তা দ্বিধা ছাড়াই।

তোমার এলোমেলো চুলে
আমার সাদা মনে
হারিয়ে যেতে চাই
কোন হুড তোলা রিকশায়।
এক মুঠো প্রেম এড়িয়ে
আমার শূন্য পকেটে
হারাতে দ্বিধা নাই
অচেনা গলিতে
এক শহর ভালবাসা দিতে চাই।

এই নরম বিকেলে
মুখোমুখি দাড়িয়ে
শুধু বলতে ভয়
ভালোবাসাতে চাই
দ্বিধার আদরে।
আমি খুব সাধারন
সাদামাটা একজন
মরতে পারি
বাঁচতে শিখি
তা দ্বিধা ছাড়াই।

এই নরম বিকেলে
মুখোমুখি দাড়িয়ে
শুধু বলতে ভয়
ভালোবাসাতে চাই
দ্বিধার আদরে।
আমি খুব সাধারন
সাদামাটা একজন
মরতে পারি
বাঁচতে শিখি
তা দ্বিধা ছাড়াই।।

বসন্ত এসে গেছে

আকাশে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিল নেশা
কারা যে ডাকিল পিছে! বসন্ত এসে গেছে

মধুর অমৃত বাণী, বেলা গেল সহজেই
মরমে উঠিল বাজি; বসন্ত এসে গেছে

থাক তব ভুবনের ধুলিমাখা চরণে
মথা নত করে রব, বসন্ত এসে গেছে
বসন্ত এসে গেছে।।

গগনের নবনীলে মনের গোপনে
বাজে ঐ, বাজে ঐ, বাজে ঐ

পলাশের নেশা মাখি চলেছি দু’জনে
বাসনার রঙে মিশি শ্যামলে স্বপনে

কুহু কুহু শোনা যায় কোকিলের কুহুতান
বসন্ত এসে গেছে, বসন্ত এসে গেছে

পূর্ণিমা রাতে ঐ ছোটছুটি করে কারা!
দখিনা পবনে দোলে, বসন্ত এসে গেছে

কেমনে গাঁথিব মালা, কেমনে বাজিবে বেণু
আবেগে কাঁপিছে আঁখি, বসন্ত এসে গেছে

এই বসন্তে অনেক জন্ম আগে
তোমায় প্রথম দেখেছিলেম আমি

হেঁটেছিলেম নিরুদ্দেশের পানে
সেই বসন্ত এখন ভীষণ দামী

আমার কাছে, তোমার কাছে, আমার কাছে
বসন্ত এসে গেছে।।

থাক তব ভুবনের ধুলিমাখা চরণে
মথা নত করে রব, বসন্ত এসে গেছে
বসন্ত এসে গেছে।।
বসন্ত এসে গেছে, বসন্ত এসে গেছে>>>। 

বসন্ত এসে গেছে

বসন্ত এসে গেছে কবিদের মৃতদেহ
চাপা পড়ে কাগজে বসন্ত এসে গেছে
তার ছেঁড়া যন্ত্রের মাঝখানে শুয়ে আছি আমলকী বনে শোনো…
বসন্ত এসে গেছে, বসন্ত এসে গেছে

দূর হোক বানানের অকারণ চিন্তা হ্রস্ব ই দীর্ঘ ঈ হ্রস্ব উ দীর্ঘ ঊ
ফাঁকা হোক ফুটপাথ হাঁটবো আরামে
কোকিলের ডাকে গুটি ফেলবো ক্যারমে
কেউ কানে কানে বলে গেল শোনা গেছে খবরে বসন্ত এসে গেছে
বসন্ত এসে গেছে

পূর্ণিমা রাতে ওই ছোটাছুটি করে কারা
টুঁটি টিপে ধরে প্রেম বসন্ত এসে গেছে
রঙ লাগে শরীরের ভাঁজে ভাঁজে
ডালপালা মুকুলের সন্ধানে বসন্ত এসে গেছে
তার ছেঁড়া যন্ত্রের মাঝখানে শুয়ে আছি
আমলকী বনে শোনো…
বসন্ত এসে গেছে
বসন্ত এসে গেছে
বসন্ত এসে গেছে…
বসন্ত এসে গেছে

এই বসন্তে কয়েক বছর আগে
তোমায় প্রথম দেখেছিলাম আমি
হেঁটেছিলাম ভোরটা মাঠের পথে
সেই বসন্ত এখন ভীষণ দামী
আমার কাছে তোমার কাছে আমার কাছে
বসন্ত এসে গেছে
তার ছেঁড়া যন্ত্রের মাঝখানে শুয়ে আছি
আমলকী বনে শোনো…
বসন্ত এসে গেছে
বসন্ত এসে গেছে


বসন্ত এসে গেছে…

দীপান্বিতা

সময় যখন মরুর ঝড়ে, 
এ মন হারায় কেমন করে,
আমি তখন যোজন দূরে 
একাকি সঙ্গি মৌনতা,
আকাশ যখন আঁধার ভীষণ, 
এক ফোঁটা জল চেয়েছে মন,
অবহেলায় অপমানে পেয়েছে রিক্ত শুন্যতা। 

সমান্তরাল পথের বাকে, 
তোমার পথের দিশা থাকে,
সে দিশা খোঁজে তোমাকে দীপান্বিতা ...
গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে, 
তোমার ছোঁয়া মিশে থাকে,
সে ছোঁয়া খোঁজে তোমাকে দীপান্বিতা...

তুমি নীলাকাশ আপন করেছো 
হঠাৎ কোন কালে কে জানে!
স্বপ্ন সীমানা ছুঁয়ে দিয়েছ 
কোন সে জাদুতে কে জানে! 

আমি ছিলাম তোমার পাশে,
তোমার আকাশ ভালবেসে,
সে বিশালে খুঁজেছি একটুকু ঠাই, 
তাও মেলেনি তা। 
হঠাৎ যখন ছুটির খেলা,
মেঘে মেঘে অনেক বেলা,
 তখন সে ক্রান্তিকালে ধুম্রজালে খুঁজছ যে বৃথা। 

অশান্ত মন বোঝাই কাকে,
হারিয়ে চাইছি তোমাকে,
হাতছানি দিয়ে যে ডাকে স্মৃতির পাতা... 
নদীর শেষে আকাশ নীলে,
স্বপ্নগুলো মেলে দিলে, 
তারা বলে সবাই মিলে দীপান্বিতা... 

শোননা রূপসী তুমি যে শ্রেয়সী, 
কি ভীষণ উদাসি প্রেয়সী। 
না না না ... 
জীবনের গলিতে এ গানের কলিতে, 
চাইছি বলিতে ভালবাসি।

চোখের জলেরই আড়ালে, 
খেলা শুধুই দেখেছিলে, 
যন্ত্রণারই আগুন নীলে,
পুড়েছি যে-বোঝনি তা। 
অভিমানে চুপটি করে, 
এসেছি তাই দূরে সরে, 
বোঝাতে চেয়েও পারিনি 
তাই বোঝাতে- লুকোনো কথা। 

ইটপাথরের এ শহরে, 
গাড়ি বাড়ির এ বহরে, 
খুজছে এ মন ভীষণ করে দীপান্বিতা...
জীবন যখন থমকে দাড়ায়,
স্বপ্নগুলো দৃষ্টি ছাড়ায়,
তৃষ্ণা বুকের বৃষ্টি হারায় দীপান্বিতা...
কল্পনারই আকাশ জুড়ে, 
নানা রঙে লোকের ভিড়ে,
দুচোখ বুজেও স্বপ্ননীড়ে দীপান্বিতা... 
তুমি আমার চোখের ভাষা, 
তুমি আমার সুখের নেশা,
তুমি আমার ভালবাসা দীপান্বিতা......।।

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে
বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।
আমরা তোমাদের ভুলব না।

দুঃসহ এ বেদনার কণ্টক পথ বেয়ে
শোষণের নাগপাশ ছিঁড়লে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।
আমরা তোমাদের ভুলব না।

যুগের নিষ্ঠুর বন্ধন হতে
মুক্তির এ বারতা আনলে যারা
যুগের নিষ্ঠুর বন্ধন হতে
মুক্তির এ বারতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।
ভুলব না... ভুলব না...

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে
বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।
আমরা তোমাদের ভুলব না।

কৃষাণ-কৃষাণীর গানে গানে
কৃষাণ-কৃষাণীর গানে গানে
পদ্মা-মেঘনার কলতানে
বাউলের একতারাতে
বাউলের একতারাতে
আনন্দ ঝংকারে
আনন্দ ঝংকারে
তোমাদের নাম ঝংকৃত হবে।
ঝংকৃত হবে... ঝংকৃত হবে... ঝংকৃত হবে....

নতুন স্বদেশ গড়ার পথে
তোমরা চিরদিন দিশারী রবে।
নতুন স্বদেশ গড়ার পথে
তোমরা চিরদিন দিশারী রবে।
আমরা তোমাদের ভুলব না।।
ভুলব না....ভুলব না....ভুলব না...

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে
বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।
আমরা তোমাদের ভুলব না।

তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর

তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দেবো রে।
তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দেবো রে।

আমরা ক’জন নবীন মাঝি
হাল ধরেছি,
শক্ত করে রে।
তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দেবো রে।
তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দেবো রে।

জীবন কাটে যুদ্ধ করে ,
প্রাণের মায়া সাঙ্গ করে,
জীবনের স্বাদ নাহি পাই।।

ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও 

জীবন কাটে যুদ্ধ করে ,
প্রাণের মায়া সাঙ্গ করে,
জীবনের স্বাদ নাহি পাই।।

ঘরবাড়ির ঠিকানা নাই,
দিন-রাত্রি জানা নাই, 
চলার সীমানা সঠিক নাই।

জানি শুধু চলতে হবে,
এ তরী বাইতে হবে,
আমি যে সাগর মাঝি রে...। 

তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দেবো রে।
তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দেবো রে।

জীবনের রঙে মনকে টানে না,
ফুলের ওই গন্ধ কেমন জানিনা,
জোছনার দৃশ্য চোখে পড়ে না,না না না না 
তারাও তো ভুলে কভু ডাকে না।

জীবনের রঙে মনকে টানে না।

বৈশাখের ওই রুদ্র ঝড়ে,
আকাশ যখন ভেঙ্গে পড়ে’
ছেঁড়া পাল আরো ছিঁড়ে যায়।



ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও 

বৈশাখের ওই রুদ্র ঝড়ে,
আকাশ যখন ভেঙ্গে পড়ে’
ছেঁড়া পাল আরো ছিঁড়ে যায়।

হাতছানি দেয় বিদ্যুৎ আমায়,
হঠাত কে যে শঙ্খ শোনায়,
দেখি ওই ভোরের পাখি গায়।

তবু তরী বাইতে হবে ,
খেয়া পাড়ি দিতেই হবে,
যতই ঝড় উঠুক সাগরে।

তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দেবো রে।
তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দেবো রে।

আমরা ক’জন নবীন মাঝি
হাল ধরেছি,
শক্ত করে রে।
তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দেবো রে।

তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দেবো রে..................। 

জয় বাংলা বাংলার জয়



জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
হবে হবে হবে হবে নিশ্চয়। 

কোটি প্রাণ এক সাথে জেগেছে অন্ধ রাতে
নতুন সূর্য ওঠার এই তো সময়
জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়। 

বাংলার প্রতি ঘর ভরে দিতে চাই মোরা অন্নে
আমাদের রক্ত টগবগ দুলছে মুক্তির দীপ্ত তারুণ্যে। 

নেই ভয়........ 
হয় হোক রক্তের প্রচ্ছদপট, 
হয় হোক রক্তের প্রচ্ছদপট
তবু করি না করি না করি না ভয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়। 

অশথের ছায়ে যেন রাখালের বাঁশরি হয়ে গেছে একেবারে স্তব্ধ
চারিদিকে শুনি আজ নিদারুণ হাহাকার আর ওই কান্নার শব্দ, 
অশথের ছায়ে যেন রাখালের বাঁশরি হয়ে গেছে একেবারে স্তব্ধ
চারিদিকে শুনি আজ নিদারুণ হাহাকার আর ওই কান্নার শব্দ। 

শাসনের নামে চলে শোষণের সুকঠিন যন্ত্র
বজ্রের হুংকারে শৃঙ্খল ভাঙতে সংগ্রামী জনতা অতন্দ্র। 

আর নয়......
তিলে তিলে বাঙালির এই পরাজয়, 
তিলে তিলে বাঙালির এই পরাজয়
আমি করি না করি না করি না ভয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়। 

ভুখা আর বেকারের মিছিলটা যেন ওই দিন দিন শুধু বেড়ে যাচ্ছে, 
রোদে পুড়ে জলে ভিজে অসহায় হয়ে আজ ফুটপাতে তারা ঠাঁই পাচ্ছে, 
ভুখা আর বেকারের মিছিলটা যেন ওই দিন দিন শুধু বেড়ে যাচ্ছে, 
রোদে পুড়ে জলে ভিজে অসহায় হয়ে আজ ফুটপাতে তারা ঠাঁই পাচ্ছে। 

বার বার ঘুঘু এসে খেয়ে যেতে দেবো নাকো আর ধান
বাংলার দুশমন তোষামোদী-চাটুকার সাবধান সাবধান সাবধান। 

এই দিন...... 
সৃষ্টির উল্লাসে হবে রঙিন, 
সৃষ্টির উল্লাসে হবে রঙিন
আর মানি না মানি না কোনও সংশয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়। 

মায়েদের বুকে আজ শিশুদের দুধ নেই
অনাহারে তাই শিশু কাঁদছে, 
গরীবের পেটে আজ ভাত নেই ভাত নেই
দ্বারে দ্বারে তাই ছুটে যাচ্ছে।
মায়েদের বুকে আজ শিশুদের দুধ নেই
অনাহারে তাই শিশু কাঁদছে, 
গরীবের পেটে আজ ভাত নেই, ভাত নেই
দ্বারে দ্বারে তাই ছুটে যাচ্ছে।


মা-বোনেরা পরণে কাপড়ের লেশ নেই
লজ্জায় কেঁদে কেঁদে ফিরছে
ওষুধের অভাবে প্রতিটি ঘরে ঘরে,
রোগে শোকে ধুকে ধুকে মরছে

অন্ন চাই, বস্ত্র চাই, বাঁচার মত বাঁচতে চাই
অত্যাচারী শোষকদের আজ
মুক্তি নাই, মুক্তি নাই , মুক্তি নাই।