Recently Lyrics Updated

গানঃ রমজানের ঐ রোজার শেষে  এলো খুশির ঈদ
কথা ও সুরঃ কাজী নজরুল ইসলাম

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ

তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানি তাগিদ

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ

তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানি তাগিদ। 


তোর সোনা–দানা বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ

তোর সোনা–দানা বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ

দে যাকাত মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ

দে যাকাত মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। 


আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে

আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে

যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ

যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।


আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমণ, হাত মেলাও হাতে

আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমণ, হাত মেলাও হাতে

তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ

তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।


ঢাল হৃদয়ের তোর তশ্‌তরিতে শির্‌নি তৌহিদের

ঢাল হৃদয়ের তোর তশ্‌তরিতে শির্‌নি তৌহিদের

তোর দাওয়াত কবুল করবে হজরত হয় মনে উম্মীদ

তোর দাওয়াত কবুল করবে হজরত হয় মনে উম্মীদ

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।


গানঃ মেলায় যাইরে (মেলা)
কন্ঠঃ মাকসুদ
ব্যান্ডঃ ফিডব্যাক

মেলায় যাইরে মেলায় যাইরে
জেগেছে বাঙ্গালির ঘরে ঘরে এ কি মাতন দোলা
জেগেছে সুরেরই তালে তালে হৃদয় মাতন দোলা
বছর ঘুরে এলো আরেক প্রভাত নিয়ে
ফিরে এলো সুরের মঞ্জুরী
পলাশ শিমুল গাছে লেগেছে আগুন
এ বুঝি বৈশাখ এলেই শুনি..... 

মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে 
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে। 

বাসন্তী রঙ শাড়ি পড়ে ললনারা হেটে যায়
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে 
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে। 

ঐ বখাটে ছেলেদের ভিড়ে ললনাদের রেহাই নাই
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে। 

জেগেছে রমণীর খোপাতে বেলী ফুলের মালা
ভিনদেশী সুগন্ধী মেখে আজ প্রেমের কথা বলা
রমনা বটমূলে গান থেমে গেলে
প্রখর রোদে এ যেন মিছিল চলে
ঢাকার রাজপথে রঙের মেলায়
এ বুঝি বৈশাখ এলেই বলেই.....

মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে 
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে। 

বাসন্তী রঙ শাড়ি পড়ে ললনারা হেটে যায়
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে 
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে।  

ঐ বখাটে ছেলেদের ভিড়ে ললনাদের রেহাই নাই
মেলায় যাই রে মেলায় যাই রে
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে। 

বছর ঘুরে এলো আরেক প্রভাত নিয়ে
ফিরে এলো সুরের মঞ্জুরী
পলাশ শিমুল গাছে লেগেছে আগুন
এ বুঝি বৈশাখ এলেই শুনি
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে 
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে। 

বাসন্তী রঙ শাড়ি পড়ে ললনারা হেটে যায়
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে 
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে। 

ঐ বখাটে ছেলেদের ভিড়ে ললনাদের রেহাই নাই
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে। 
গানঃ দোলে দোদুল দোলে ঝুলনা
শিল্পীঃ শ্যামল মিত্র ও মানবেন্দ্র মুখার্জী
কথাঃ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
সিনেমাঃ দেয়া নেয়া

দোলে দোদুল দোলে ঝুলনা
দোলে দোদুল দোলে ঝুলনা
দোলে কৃষ্ণ দোলে ঝুলনা
দোলে রাই দোলে ঝুলনা
দোলে দোদুল নাই তুলনা তুলনা
দোলে দোদুল দোলে ঝুলনা
দোলে দোদুল দোলে ঝুলনা

রাঁধার অধরে জাগে হাসি
রাঁধার অধরে জাগে হাসি
কহিছে ডেকে শ্যামের বাঁশি
কহিছে ডেকে শ্যামের বাঁশি
এ লগন রাই ভুল না
দোলে দোদুল দোলে ঝুলনা
দোলে দোদুল দোলে ঝুলনা।

ধা নি পা নি সা রে-
নি-সা-গারে মা গা পা -
পা নি সা রে গা রে সা নি ধা পা মা গা রে সা
দোলে শিখি পাখা দোলে সুখ-সারি
দোলে শিখি পাখা দোলে সুখ-সারি
ময়ূরী দোলে প্রেম অভিসারি
ময়ূরী দোলে প্রেম অভিসারি
এ রাতের নাই তুলনা
ও ও এ লগন রাই ভুলনা
দোলে দোদুল দোলে ঝুলনা
দোলে দোদুল দোলে ঝুলনা।

মাধব কহিছে ওগো রাঁধা—
মাধব কহিছে ওগো রাঁধা—
তুমি আমি একই সুরে বাঁধা
ওগো- তুমি আমি একই সুরে বাঁধা
এ বাঁধন কভু খুলনা
দোলে দোদুল দোলে ঝুলনা
দোলে দোদুল দোলে ঝুলনা।
দোলে কৃষ্ণ দোলে ঝুলনা
দোলে রাই দোলে ঝুলনা
দোলে দোদুল নাই তুলনা তুলনা
দোলে দোদুল দোলে ঝুলনা
দোলে দোদুল দোলে ঝুলনা
গানঃ এ জীবন তোমাকে দিলাম
শিল্পীঃ মিতালী মুখার্জী ও কুমার সানু
কথাঃ মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান 
সিনেমাঃ আত্মত্যাগ

এ জীবন তোমাকে দিলাম বন্ধু,
তুমি শুধু ভালবাসা দিও বন্ধু, 
তুমি শুধু ভালবাসা দিও।
সুখের চেয়েও সুখ, তুমি যে আমার,
প্রিয় থেকেও তুমি বেশি প্রিয়,
তুমি শুধু ভালবাসা দিও বন্ধু, 
তুমি শুধু ভালবাসা দিও।

এ জীবন তোমাকে দিলাম বন্ধু,
তুমি শুধু ভালবাসা দিও বন্ধু, 
তুমি শুধু ভালবাসা দিও।

চোখ ভরে দেখেছি, অন্তরে রেখেছি,
আরো চাওয়া আরো পাওয়া, রয়েছে বাকি।
তোমাকেই চেয়েছি, তোমাকেই পেয়েছি,
মরণ হলেও যেন, তোমারি থাকি।
সুখের চেয়েও সুখ, তুমি যে আমার,
প্রিয় থেকে ও তুমি বেশি প্রিয়,
তুমি শুধু ভালবাসা দিও বন্ধু, 
তুমি শুধু ভালবাসা দিও। 

এ জীবন তোমাকে দিলাম বন্ধু,
তুমি শুধু ভালবাসা দিও বন্ধু, 
তুমি শুধু ভালবাসা দিও।

জান বলে জেনেছি, প্রাণ বলে মেনেছি,
মন বলে তুমি যে, তার চেয়ে দামী।
তুমি ধরা দিয়েছ, কাছে টেনে নিয়েছ,
নতুন জীবন যেন, পেয়েছি আমি।
সুখের চেয়েও সুখ, তুমি যে আমার,
প্রিয় থেকে ও তুমি বেশি প্রিয়,
তুমি শুধু ভালবাসা দিও বন্ধু, 
তুমি শুধু ভালবাসা দিও। 
এ জীবন তোমাকে দিলাম বন্ধু,
তুমি শুধু ভালবাসা দিও বন্ধু, 
তুমি শুধু ভালবাসা দিও।
সুখের চেয়েও সুখ, তুমি যে আমার,
প্রিয় থেকে ও তুমি বেশি প্রিয়,
তুমি শুধু ভালবাসা দিও বন্ধু, 
তুমি শুধু ভালবাসা দিও। 
এ জীবন তোমাকে দিলাম বন্ধু,
তুমি শুধু ভালবাসা দিও বন্ধু, 
তুমি শুধু ভালবাসা দিও।
কবিতাঃ সন্ধ্যার বন্দনা
কবিঃ হাসান হাফিজ

নিশিন্দা পাতার ঘ্রাণ শুঁকতে শুঁকতে
সূর্য নিভতে থাকে
সান্ধ্য আয়োজন শুরু, মিইয়ে আসে পাখিদের
মিহিন কাকলি শব্দ
ঝিঁঝিঁ পোকা সচল সক্রিয় হয়
গাছের কোটর থেকে উঁকি দেয় ল²ীপ্যাঁচা
ফুটতে থাকে তারা একটি দু’টি
গোধূলি মিলিয়ে গেছে অনেক আগেই
ছায়ামন্দ্র অন্ধকার
আঁধারের জান্তব শরীর
বিস্তৃত চাদর হয়ে ঢেকে দিচ্ছে চরাচর
নিশাচর প্রাণীরা সচল

এমন সন্ধ্যার ক্ষণে রুগ্ণ এক বাউলের
একতারা কেঁদে ওঠে
সুরতৃষ্ণা কেঁপে ওঠে
নিভৃতির নিরালায়
অগোছালো জীবনের শান্তি সুধা
করুণ ক্রন্দন হয়ে
চতুর্দিকে সুরভি ছড়ায়।

কবিতাঃ শূন্যতা ও কুহকের ডাক 
কবিঃ হাসান হাফিজ

অতিমারি কার নাম?
বিষের দংশনে ক্রমে বাগান উজাড়
লোকালয় ঢেকে আছে
সরল কাফনে…
অতিমারি, তুমি কী অনতিক্রম্য ভয়
জয় করা সম্ভব কী নয়
চারিদিক সুনসান কোথায় প্রত্যয়?
দৃঢ়তা কোথায়?
বেনোজলে সবই ভেসে যায়
স্বপ্ন শস্য সাজানো সংসার
বাকি নাই আর
নিঃস্বতা গোধূলি একা ত্রস্ত জেগে আছে
অসহায় আত্মসমর্পণ
সুপ্রিয় মোকাম ছাড়ো মন
অনিচ্ছায় চলো যাই শূন্যতার কাছে
গানঃ আমার সোনার বাংলা 
কথাঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সুরঃ গগন হরকরা

আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে—
ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি॥

কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো—
কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে।
মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায়, হায় রে—
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি॥

তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলে রে,
তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি।
তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে,
মরি হায়, হায় রে—
তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি॥

ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে,
সারা দিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে,
তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে,
মরি হায়, হায় রে—
ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষি॥

ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে—
দে গো তোর পায়ের ধুলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে।
ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে,
মরি হায়, হায় রে—
আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ ব'লে গলার ফাঁসি
গানঃ এমন যদি হতো
ব্যান্ডঃ জলের গান
কথা ও সুরঃ রাহুল আকন্দ

এমন যদি হতো
আমি পাখির মত
উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ
এমন যদি হতো
আমি পাখির মত
উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ
পালাই বহুদূরে
ক্লান্ত ভবঘুরে
ফিরবো ঘরে কোথায় এমন ঘর
বৃক্ষ তলে শুয়ে তোমার দুঃখ ছুঁয়ে
বৃক্ষ তলে শুয়ে তোমার দুঃখ ছুঁয়ে
ঘুম আসেনা ঘুমও স্বার্থপর
এমন যদি হতো
আমি পাখির মত
উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ
এমন যদি হতো
আমি পাখির মত
উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ

হঠাৎ ফিরে দেখি
নিজের মুখোমুখি
শূন্য ভীষণ শূন্য মনে হয়
কী আর এমন হবে
কে পেয়েছে কবে
কী আর এমন হবে
কে পেয়েছে কবে
স্বপ্নগুলো স্বপ্ন হয়েই রয়
এমন যদি হতো
আমি পাখির মত
উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ
এমন যদি হতো
আমি পাখির মত
উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ

হতাম যদি রঙ্গিন প্রজাপতি
ফুলে ফুলে মাতামাতি
হতাম যদি রঙ্গিন প্রজাপতি
ফুলে ফুলে মাতামাতি
দিনের আলো কাটে উড়ে উড়ে
তোমার আমার গানের সুরে
বৃক্ষ তলে শুয়ে তোমার দুঃখ ছুঁয়ে
বৃক্ষ তলে শুয়ে তোমার দুঃখ ছুঁয়ে
ঘুম আসেনা ঘুমও স্বার্থপর
এমন যদি হতো
আমি পাখির মত
উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ
এমন যদি হতো
আমি পাখির মত
উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ 
গানঃ ওপারে 
ব্যান্ডঃ Bay of Bengal
কন্ঠঃ Bakhtiar Hossain

ওপারের ভেসে আসা মৃদু আলো
পরে চোখে
নীল স্বপ্নীল দৃষ্টি ঘুচে যাওয়া
নিঝুম অরন্যে
আধাঁরের মাঝে ঘুমহীন অচেতন
রাত্রিযাপন
অপেক্ষায় মিশে যায় জীবনের
সব স্মৃতিচারণ

আমি ছিলাম তোমাদেরি মাঝে
হেসেছিলাম একসাথে
উড়েছিলাম স্বপ্নীল আকাশে
চাঁদের দেশে যেতে হারিয়ে;
আমি ছিলাম তোমাদেরি মাঝে
হেসেছিলাম একসাথে
উড়েছিলাম স্বপ্নীল আকাশে
চাঁদের দেশে যেতে হারিয়ে।

দিশেহারা আমার প্রতিক্ষা
ভেসে যাওয়ার ওপারে
মুক্তির অপেক্ষায় আমার স্বত্বা
প্রহর গোনে

আমি ছিলাম তোমাদেরি মাঝে
হেসেছিলাম একসাথে
উড়েছিলাম স্বপ্নীল আকাশে
চাঁদের দেশে যেতে হারিয়ে;
আমি ছিলাম তোমাদেরি মাঝে
হেসেছিলাম একসাথে
উড়েছিলাম স্বপ্নীল আকাশে
চাঁদের দেশে যেতে হারিয়ে।
গানঃ এই অবেলায় 
ব্যান্ডঃ শিরোনামহীন 
কথাঃ জিয়াউর রহমান 
সুরঃ কাজী শাফিন আহমেদ 


এই অবেলায়, তোমারি আকাশে, নিরব আপোষে

ভেসে যায়

সেই ভীষন শীতল ভেজা চোখ 

কখনো দেখাইনি তোমায়

কেউ কোথাও ভালো নেই যেন সেই, 

কতকাল আর হাতে হাত অবেলায়?

কতকাল আর ভুল অবসন্ন বিকেলে

ভেজা চোখ দেখাইনি তোমায়

সেই কবেকার ভায়োলিন, বেজে যায় কতদিন

প্রানে চাপা ঢেউ, দেখেনি আর কেউ।।

কখনো অভিমান, অবাধ্য পিছুটান 

জানিনা কি কষ্টে এই অবেলায় 

তবুও নির্বাসন বাসর সাজিয়ে, 

ঠোঁটে চেপে ধরা থাক ভালোবাসায়।


ঘুনে খাওয়া মেঘে কালো হয়ে যায় হৃদয় যখন 

একা একা শুধু অকারণেই ঝরে বৃষ্টি এমন

আজও তাই, অবাক রঙে এঁকে যাই

সাদাকালো রঙ মাখা ফানুসের মুহুর্ত রাঙাই

ভীষণ কালো মেঘ, পুড়ে ছাই আবেগে আজও তাই

অবাক জোছনায় পোড়া চোখ তবুও সাজাই।


এই সন্ধ্যায়, দুচোখ সাগরে, বুকের পাঁজড়ে

ভেসে যায়

অবাক জোছনায় লুকিয়ে রেখেছি

ভেজা চোখ দেখাইনি তোমায়।। 

 শিরোনামঃ আবার হাসিমুখ

ব্যান্ডঃ শিরোনামহীন

কথা ও সুরঃ জিয়াউর রহমান

সেই কবে ছিল উচ্ছ্বাস, কিছু শঙ্কায় ভরা চুম্বন

ছিল প্রেমিকার ঘন নিশ্বাস, হাসিমুখে ফোয়ারা।

এই অবেলায় ফোঁটা কাশফুল, নিয়তির মত নির্ভুল

যেন আহত কোন যোদ্ধার বুকে বেঁচে থাকা এক মেঘফুল

যদি ঘরে ফেরা পাখি নিশ্চুপ, হৃদয়ে ঢেউ ভাঙ্গে ছুপছুপ,

তবু জাহাজীর নাগরিক ঢেউ, অপরাধ মেনে নিয়ে কেউ কেউ,

যদি শোঁকগাথা হাতে বহুদূর যাও একদিন ঠিকই এনে দেব হাসিমুখ।।

রোদ্দুর, একসাথে হেঁটে হেঁটে যেতে চাই বহুদূর

বুকের ভেতর ডানা ঝাপ্ টায় পাখি, বেপরোয়া ভাংচুর।

তুমি চেয়ে আছ তাই আমি পথে হেঁটে যাই,

তুমি চেয়ে আছ তাই আমি পথে হেঁটে যাই।


বুকের পাঁজরে ওড়ে প্রজাপতি, স্বপ্নের দিগন্ত রঙিন।

ইচ্ছে হলেই এনে দিতে পারে বেপরোয়া রোদ্দুর ঝলমল দিন।

প্রেমিকার মুখ রক্তিম ছিল রোদ উঠে গেছে তাই

তো্মাদের নগরীতে আমি আজও হেঁটে বেড়াই।।

রোদ্দুর, চলো একসাথে হেঁটে যেতে চাই বহুদূর

বুকের ভেতর ডানা ঝাপ্ টায় পাখি, বেপরোয়া ভাংচুর।


বৃষ্টি ভেজা সুখ-দুখ, খোলা জানালায় হাসিমুখ

উড়ছে কিছু প্রজাপতি মেঘ মনের জানালায়।

জানালায় ছিল রোদ্দুর, মেঘ ভেসে গেল বহূদুর

নগরের প্রিয় চিরকুট সব জীবন ছেড়ে পালায়।

তুমি চেয়ে আছ তাই আমি পথে হেঁটে যাই,

হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই

তুমি চেয়ে আছ তাই আমি পথে হেঁটে যাই,

হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর, বহুদূর..

প্রতিটি রাস্তায়, প্রতিটি জানালায়

তোমাদের যারা হাসিমুখে বহুদূর যেতে চায়;

তুমি চেয়ে আছ তাই আমি পথে হেঁটে যাই,

হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই

তুমি চেয়ে আছ তাই, আমি পথে হেটে যাই,

হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর ...