Recently Lyrics Updated

শিল্পীঃ আসিফ আকবর
কথা ও সুরঃ কবীর সুমন
Syriar Chele
ছবিঃ সংগৃহীত

তিন বছরের সেই সিরিয়ার ছেলে
কাদের বোমায় তুমি পুড়ে মারা গেলে?
তিন বছরের সেই সিরিয়ার ছেলে
কাদের বোমায় তুমি পুড়ে মারা গেলে?
কে তোমার আম্মা, কে তোমার বাবা?
কাদের বোমায় ছিল যুদ্ধের থাবা।
কে তোমার আম্মা, কে তোমার বাবা?
কাদের বোমায় ছিল যুদ্ধের থাবা।
কাকে বলে ছেলেবেলা জানতে কি পেলে
তিন বছরের সেই সিরিয়ার ছেলে,
কাকে বলে ছেলেবেলা জানতে কি পেলে
তিন বছরের সেই সিরিয়ার ছেলে।।

কোথায় খেলতে তুমি কজনের সাথে?
কারা হাত রেখেছিলো তোমার দু'হাতে?
কাকে বলে বিশ্বাস, কাকে ভালোবাসা
বুঝতে কি চেয়েছিলে বড়দের ভাষা?
কাকে বলে সভ্যতা জানতে কি পেলে?
তিন বছরের সেই সিরিয়ার ছেলে।।

আল্লাহকে চেয়েছিলে সব বলে দিতে
মানুষ কি চেয়েছিলো সে খবর নিতে।

আল্লাহকে চেয়েছিলে সব বলে দিতে
মানুষ কি চেয়েছিলো সে খবর নিতে,
মানুষ যুদ্ধ করে আগুন জ্বালায়
মানুষই মেশায় বিষ ভাতের থালায়,
মানুষই দাঁড়ায় পাশে সবকিছু ফেলে
জানতে কি পেরেছিলে সিরিয়ার ছেলে?
মানুষই দাঁড়ায় পাশে সবকিছু ফেলে
জানতে কি পেরেছিলে সিরিয়ার ছেলে?
কথা ও সুরঃ নচিকেতা চক্রবর্তী
কন্ঠঃ নচিকেতা চক্রবর্তী

আমার পরিচয় বেকার যুবক আমি
সম্বল একটাই দৈন্য
ডিগ্রির ভাঁড়ারেতে তবু কিছু মাল আছে, 
পকেটের ভাঁড়ারটা শুন্য
যেদিকেই তাকাই না, দেখি জন-অরণ্য
সে অরণ্যেই দেখি মানুষেরা পণ্য
বধুকে পোড়ানো হয়, অধর্ম জয়ী হয়
মানুষের রক্তে দিনলিপি সই হয়
হাসপাতালের বেডে টিবি রোগীর সাথে 
খেলা করে শুয়োরের বাচ্চা
তবু রেডিওটা টিভিটার সাথে সুর ধরে – 
সারে জাঁহা ছে আচ্ছা

লাঞ্ছনা গঞ্জনা মাখা অভিযোজনে
রপ্ত করেছি নিজেকে
অসৎ হবার বহু বহু প্রচেষ্টায়
ব্যর্থ করেছি নিজেকে
চাকরির সন্ধানে সুখতলা খয়ে যায়
গঙ্গার জল তবু একই ভাবে বয়ে যায়
ঘুষ  ঘুষ ঘুষের এক ঘুস-ঘুসে জ্বরে
গোটা দেশ চিৎকার করে ডাকে ‘ডাক্তার’
ডাক্তার উড়ে আসে ঋণের ওষুধ নিয়ে 
গঙ্গার পুজো হয় গঙ্গার জল দিয়ে
বছরের অন্তে বাজেটের যন্ত্রে 
পিষে দেই জীবনটা গচ্চা
তবু রেডিওটা টিভিটার সাথে সুর ধরে – 
সারে জাঁহা ছে আচ্ছা।

প্রার্থির যোগ্যতা অথবা অভিজ্ঞতা
এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের দীনতা
কোনো কিছুই কোনো কিছুকেই ঢাকে না
আর ‘লোক’ অথবা ‘বিধান’ যে দিকেই তাকান
রাজনীতিজ্ঞ হতে যোগ্যতা লাগে না
হাজার প্রতিশ্রুতি বাতাসেই বয়ে যায়, 
‘চলছে না, চলবে না’, তবু তাই হয়ে যায়
কত শত শয়তান  হতে চায় ভগবান 
আল্লাহ না বড় রাম  এই চলে অবিরাম
খুনোখুনি লাঠালাঠি  অবিরাম অনুক্ষণ
এদিকে তোমার আমার পেটেতে ছুঁচোর ডন
সমাজ বিরোধি কিছু  করে বলে মাথা উঁচু
সমাজবাদের পথই সাচ্চা
তবু রেডিওটা টিভিটার সাথে সুর ধরে – 
সারে জাঁহা ছে আচ্ছা।

শিরোনামঃ গান শুনবোনা
গীতিকার ও সুরকারঃ নচিকেতা
শিল্পীঃ নচিকেতা ১৯৯৩]


শুনবোনা গান গান শুনবো না
শুনবোনা গান গান শুনবো না
হেই গান গেয়ে গান শুনে ভরে নাতো পেট
খালি পেটে হাটা চলা করে মাথা হেট
গান গেয়ে গান শুনে ভরে নাতো পেট
খালি পেটে হাটা চলা করে মাথা হেট
গান যদি খাওয়া যেতো তবে বড় ভাল হতো
রেশনের লাইনেতে ভিড় যেতো কমে
দোকান বাজার উঠে যেতো প্রত্থমে
তা যখন হয় না কিছু বদলায় না
কেন শুনবো কেন শুনবো
কেন শুনবো একঘেয়ে ঘ্যান ঘ্যান
শুনবোনা গান গান শুনবো না
শুনবোনা গান গান শুনবো না।

এক ঘেয়ে ঘ্যান ঘ্যান বিরহ প্রেমের গান
আমি তুমি তুমি আমি তুমি আমি আমি তুমি
পারমোটেশন আর কম্বিনেশন
অথবা শোষকদের কালো হাত
ভেঙ্গে দাও ভেঙ্গে দাও ভেঙ্গে দাও
এই বলে চিৎকার এটা হতো গান
শোষকের কটা হাত কটা মাথা কটা দাঁত
এর কোন উত্তর দেয় নাতো গান
উত্তর একটাই নিজে খুঁজে নাও
নিজে যদি খুঁজবো নিজেদেরই বুঝবো
প্রয়োজন নেই গান শুনবো না
গান শুনবো না শুনবো না শুনবো না
গান শুনবোনা গান গান শুনবো না
শুনবোনা গান গান শুনবো না।

চারিদিকে আতঙ্ক বম বম বম্বে
ভয়ে আটখানা হয় দিল্লীকা বিল্লি
লাগেনা লাগেনা লাগেনা কোন কম্মে
পশুদের সাথে মানুষের সহবাস
পশুদের সাথে মানুষের সহবাস
প্রশাসন তবু দিয়ে যায় আশ্বাস
টেনশান দিয়ে দিয়ে ছোট মেয়েটার বিয়ে
মাস্টার গেইম আর মাস্টার প্লাস
ধর্ম নেমেছে পথে রাজনীতি কি ভিষণ
মানুষ মুখোশে মোড়া সবাইতো বিভিষণ
একটাই সান্ত্বনা বসে বসে দিন গোণা
না না না গুণবো না
দিন গুণবো না গুণবো না গুণবো না
দিন গুণবো না দিন দিন গুণবো না
গুণবো না দিন দিন গুণবো না।।

হেই, হেই তুমি চুপ করে বসে ভাবো কার কথা?
প্রেম?...আরে মোটা মানিব্যাগ দেখে
তোমাকে সাইডে রেখে দৌড়োবে সোজা,
সোজা দৌড়োবে প্রেম
ইট কাঠ পাথরেতে ঢাকা এই শহরেতে
হৃদয়ের কারবার?
লোকসান বার বার বার
বেকার যুবকদের সান্ত্বনা একটাই
চাকরির বদলেতে আছে প্রেম
রুজির ঠিকানাহীন আঁকাবাঁকা পথ ধরে
আশাকে বাঁচিয়ে রাখা অনেক যত্ন করে
তারপর একদিন পথ চলা সাড়া হলে
ঝুলি হাতড়িয়ে দেখা নেই প্রেম
অনেক অনেক দাম জীবন যে তার নাম
তারই পথের বাঁকে হারিয়েছে প্রেম
প্রেম তাই খাটি সোনা এ কথা অনেক শোনা
প্রেম তাই খাটি সোনা এ কথা অনেক শোনা
বসে বসে শুধু বসে মিথ্যার জাল বোনা
না না না বুনবো না
জাল বুনবো না বুনবো না বুনবো না
জাল বুনবো না জাল জাল বুনবো না
বুনবো না জাল জাল বুনবো না আ আ
শুনবোনা গান গান শুনবো না
শুনবোনা গান গান শুনবো না
শুনবোনা গান গান শুনবো না
শুনবোনা গান গান শুনবো না
শুনবোনা গান।
অল্পনা বয়সের সখিনা ছেরি
আমার মনটা কেন করলি চুরি
সত্যি করে বলনা ছেরি গো 
কোন জেলায় বাড়ি। (২)

বাড়ি আমার ফুলতোলা
বাপের নামটি আলাভোলা 
মায়ের নামটি কাঞ্চনমালা গো
সেই ফুলের মালা।(২)

অল্পনা বয়সের সখিনা ছেরি
আমার মনটা কেন করলি চুরি
সত্যি করে বলনা ছেরি গো 
কোন জেলায় বাড়ি।

আটটার সময় আমরা টিকিট কাটি
নয়টার সময় ধরি ভাওয়ালের গাড়ি 
দশটার সময় বাড়ি পৌছায় গো
সেই জেলায় বাড়ি।(২)

অল্পনা বয়সের সখিনা ছেরি 
আমার মনটা কেন করলি চুরি
সত্যি করে বলনা ছেরি গো
কোন জেলায় বাড়ি......। 
আমার ভিনদেশী তারা 
একা রাতেরি আকাশে
তুমি বাজালে একতারা 
আমার চিলেকোঠার পাশে
ঠিক সন্ধ্যে নামার মুখে 
তোমার নাম ধরম কেউ ডাকে!
মুখ লুকিয়ে কার বুকে
তোমার গল্প বল কাকে? 

আমার রাত জাগা তারা
তোমার অন্য পাড়ায় বাড়ি
আমার ভয় পাওয়া চেহারা
আমি আদতে আনাড়ি।

আমার আকাশ দেখা ঘুড়ি
কিছু মিথ্যে বাহাদুরি
আমার আকাশ দেখা ঘুড়ি
কিছু মিথ্যে বাহাদুরি

আমার চোখ বেঁধে দাও আলো 
দাও শান্ত শীতলপাটি
তুমি মায়ের মতই ভালো
আমি একলাটি পথ হাঁটি। 

আমার বিচ্ছিরী এক তারা
তুমি নাওনা কথা কানে
তোমার কিসের এতো তাড়া 
রাস্তা পার হবে সাবধানে। 

তোমার গায় লাগেনা ধুলো
আমার দু'মুঠো চালচুলো
তোমার গায় লাগেনা ধুলো
আমার দু'মুঠো চালচুলো।

রাখো শরীরে হাত যদি
আর জল মাখ দুই হাতে 
প্লিস ঘুম হয়ে যাও চোখে
আমার মন খারাপের রাতে।

আমার রাত জাগা তারা
তোমার আকাশ ছোঁয়া বাড়ি
আমি পাইনা ছুঁতে তোমায় 
আমার একলা লাগে ভারি।
আমার রাত জাগা তারা
তোমার আকাশ ছোঁয়া বাড়ি
আমি পাইনা ছুঁতে তোমায় 
আমার একলা লাগে ভারি।

আমার রাত জাগা তারা
তোমার আকাশ ছোঁয়া বাড়ি
আমি পাইনা ছুঁতে তোমায় 


আমার একলা লাগে ভারি।
অনেক কথা যাও যে ব'লে কোনো কথা না বলি ।
তোমার ভাষা বোঝার আশা দিয়েছি জলাঞ্জলি ।।
যে আছে মম গভীর প্রাণে ভেদিবে তারে হাসির বাণে,
চকিতে চাহ মুখের পানে তুমি যে কুতূহলী ।
তোমারে তাই এড়াতে চাই, ফিরিয়া যাই চলি ।।
আমার চোখে যে চাওয়াখানি ধোওয়া সে আঁখিলোরে-
তোমারে আমি দেখিতে পাই, তুমি না পাও মোরে ।
তোমার মনে কুয়াশা আছে, আপনি ঢাকা আপন-কাছে-
নিজের অগোচরেই পাছে আমারে যাও ছলি
তোমারে তাই এড়াতে চাই, ফিরিয়া যাই চলি ।।
আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায় লুকোচুরি খেলা রে ভাই - 
লুকোচুরি খেলা ।
নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা রে ভাই -
লুকোচুরি খেলা ।।
আজ ভ্রমর ভোলে মধু খেতে উড়ে বেড়ায় আলোয়-মেতে,
আজ কিসের তরে নদীর চরে চখা-চখীর মেলা ।
নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা রে ভাই -
লুকোচুরি খেলা ।।
ও রে যাব না আজ ঘরে রে ভাই, যাব না আজ ঘরে ।
ওরে, আকাশ ভেঙে বাহিরকে আজ নেবরে লুট ক'রে-
যাব না আর ঘরে ।
যেন জোয়ার-জলে ফেনার রাশি বাতাসে আজ ছুটছে হাসি,
আজ বিনা কাজে বাজিয়ে বাঁশি কাটবে সকল বেলা ।
নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা রে ভাই -


লুকোচুরি খেলা ।।
আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদল দিনে
জানি নে, জানি নে
কিছুতেই কেন যে মন লাগে না ।।

এই চঞ্চল সজল পবন-বেগে
উদ্ভ্রান্ত মেঘে... 
মন চায়... মন চায়...
ঐ বলাকার পথখানি নিতে চিনে ।।

মেঘমল্লারে সারা দিনমান
বাজে ঝরনার গান ।

মন হারাবার আজি বেলা
পথ ভুলিবার খেলা
মন চায় …মন চায় …
হৃদয় জড়াতে কারো চির -ঋণে

আজি ঝর ঝর মুখর বাদল দিনে . . .

জানি নে জানি নে … 


কিছুতে কেন যে মন লাগে না। 
তোমার হাসির ঢেউ,  
লাগল আমার চোখে, 
ভিজলো দু-চোখের পাতা 
জানলো না... তো লোকে। 

ও... তোমার হাসির ঢেউ , 
লাগল আমার চোখে, 
ভিজলো দু-চোখের পাতা, 
জানলো না... তো লোকে। 

ভেজা ভেজা চোখ আমি, 
রোদ্দুরে শুকাবো। 
ভালোবাসি তোমারে,
কি করে তা লুকাবো ?  
ভেজা ভেজা চোখ আমি 
রোদ্দুরে শুকাবো। 
ভালোবাসি তোমারে 
কি করে তা লুকাবো?  

তোমার হাসির ঢেউ,  
লাগল আমার চোখে। 
ভিজলো দু-চোখের পাতা 
জানলো না... তো লোকে। 

তোমার ভালো হোক, 
তুমি সুখে থাকো  
কিছুই চাইনা আমি, 
মনে রাখো বা না রাখো। 
তোমার ভালো হোক, 
তুমি সুখে থাকো  
কিছুই চাইনা আমি, 
মনে রাখো বা না রাখো। 

আমি একলা ভালোবেসেই যাবো, 
পথো চেয়ে হায় শুধু বসেই রবো।  

ভেজা ভেজা চোখ আমি 
রোদ্দুরে শুকাবো, 
ভালোবাসি তোমারে 
কি করে তা লুকাবো। 
ভেজা ভেজা চোখ আমি 
রোদ্দুরে শুকাবো, 
ভালোবাসি তোমারে 
কি করে তা লুকাবো। 

ভেজা ভেজা চোখ আমি 
রোদ্দুরে শুকাবো, 
ভালোবাসি তোমারে 


কি করে তা লুকাবো।
নিজের চেয়েও অনেক বেশি  
তোমাকে যে ভালোবাসি 
ভালোবেসে যাবো এভাবেই ।  

যদি প্রশ্ন কর আমায়  
ভালোবাসি কেন তোমায় বলবো 
এর উত্তর জানা নেই ।  
ভালবাসতে লাগেনা কোন কারণ,  
হটাৎ করে ভালোবেসে ফেলে এই মন ।  

এ জীবনে তুমি আমার সেই জন 
অকারনে যাকে ভালোবাসে মন, 
এ জীবনে তুমি আমার সেই জন 
অকারনে যাকে ভালোবাসে মন ।  

ভালোলাগে যখন তুমি অনেক ভাল থাকো 
মায়াবী ঐ মুখে এক চিলতে হাসি রেখো ,   
এর চেয়ে সুখের কিছু নেই আমার কাছে 
এর মাঝে বেঁচে থাকার অর্থ যে আছে ।  

ভালবাসতে লাগেনা কোন কারণ, 
হটাত করে ভালোবেসে ফেলে এই মন। 
এ জীবনে তুমি আমার সেই জন 
অকারনে যাকে ভালোবাসে মন (২ বার )  

ভালোবেসে দেয়া নামে আমায় ডাকো যখন,  
পরিপূর্ণ মনে হয় তখন এ জীবন ।  
এর চেয়ে সুখের কিছু নেই আমার কাছে, 
এর মাঝে বেঁচে থাকার অর্থ যে আছে।  

ভালবাসতে লাগেনা কোন কারণ  
হঠাত করে ভালোবেসে ফেলে এই মন ।  
এ জীবনে তুমি আমার সেই জন 
অকারনে যাকে ভালোবাসে মন ( ২ বার ) 
তুই যে কেন ভাবিস আমাকে পর
উতলা হৃদয় নগর 
তাই ভালোবেসে একটা কিছু কর। 
জমানো যতো কথা আছে এই বুকে
তোর গালে দিবো টুটে 
এই মনের মাঝে তুই যে একটা ঝড়। 

ফিরে যাস কেন এভাবে 
কিছু কথা শুনে যা। 
এই দুচোখের গভীরে 
তোর স্বপ্ন বুনে যা। 
আমি পারি না... 
তোকে ভুলে থাকতে 
পারি না কাছেও রাখিতে। 
একা এলোমেলো দিন খুঁজে চলে রঙ্গিন আদর
চল যাই হারিয়ে হাত বাড়িয়ে 
সুখে থাক দুটি অন্তর। 

তুই যে কেন ভাবিস আমাকে পর
উতলা হৃদয় নগর 
তাই ভালোবেসে একটা কিছু কর। 
জমানো যতো কথা আছে এই বুকে
তোর গালে দিবো টুটে 
এই মনের মাঝে তুই যে একটা ঝড়। 

হয়ে যা তুই একটু রাজি
দ্বিধা কেন যে আর; 
পৃথিবীকে জানিয়ে দেবো  
তুই যে শুধু আমার।
ও একটি গোলাপ সাক্ষী রেখে 
করেছি আমি পণ ও ও 
ভালোবেসে রাঙ্গিয়ে দেবো 
তোর দুরন্ত মন। 
আমি চাই, তোকে চাই
মনে কতো উচাটন  
তোরে কি করে বোঝাই
পুড়ে যাই, মরে যাই
এতো সহজে কি করে 
তুই জড়ালি মায়ায় 
এ আমায় বাঁচা দায়; 
একা এলোমেলো দিন 
খুঁজে চলি রঙ্গিন আদর
চল যাই হারিয়ে হাত বাড়িয়ে 
সুখে থাক দুটি অন্তর। 

তুই যে কেন ভাবিস আমাকে পর
উতলা হৃদয় নগর 
তাই ভালোবেসে একটা কিছু কর 
জমানো যতো কথা আছে এই বুকে
তোর গালে দিবো টুটে 
এই মনের মাঝে তুই যে একটা ঝড়। 
বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশি

বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশি দেখিনা তোমায়
গেঁয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়।
বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশি দেখিনা তোমায়
গেঁয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়।

এ শহরে এসছো তুমি কবে কোন রাজ্য থেকে
এ শহরে এসছো তুমি কবে কোন রাজ্য থেকে।
তোমাদের দেশে বুঝি সব মানুষই বাঁশি শেখে! 

আমাদের স্কুল-কলেজে শেখে লোকে লেখা-পড়া
আমাদের স্কুল-কলেজে শেখে লোকে লেখা-পড়া। 
প্রাণে গান নাই মিছে তাই – রবিঠাকুর মুর্তি গড়া। 

তোমার ঐ দেহাতী গান......... 
তোমার ঐ দেহাতী গান দোলে যখন বাঁশির মুখে, 
আমাদের নকল-ভন্ড কৃষ্টি চালায় করাত বুকে
বুকে আর গলায় আমার শহর কলকাতায়। 
গেঁয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়।
বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশি দেখিনা তোমায়
গেঁয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়।

ঠেলা ভ্যান চালাও তুমি... 
ঠেলা ভ্যান চালাও তুমি কিংবা ভাড়া গাড়ির ক্লিনার
ক’বছরে একবার যাও তোমার দেশের নদীর কিনার। 

ফাঁক পেলে বাঁশি বাজাও... 
ফাঁক পেলে বাঁশি বাজাও ফেলে আসা ঘরের ডাকে
হেসে গিয়া এমন সুরে হয়ত ডাকো কোলকাতাকে। 

ফিরে এসে উদাম খাটো... 
ফিরে এসে উদাম খাটো গায় গতরে ব্যস্ত হাতে
মজুরিতে ভাগ বসাচ্ছে কারা তোমার কোলকাতাতে। 

তাদেরই গাইয়ে আমি সাজানো জলসায়
গেঁয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়। 

বাঁশুরিয়া... 
বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশি দেখিনা তোমায়
গেঁয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়
গেঁয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়
গেঁয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়।