Recently Lyrics Updated

গানঃ এই অবেলায় 
ব্যান্ডঃ শিরোনামহীন 
কথাঃ জিয়াউর রহমান 
সুরঃ কাজী শাফিন আহমেদ 


এই অবেলায়, তোমারি আকাশে, নিরব আপোষে

ভেসে যায়

সেই ভীষন শীতল ভেজা চোখ 

কখনো দেখাইনি তোমায়

কেউ কোথাও ভালো নেই যেন সেই, 

কতকাল আর হাতে হাত অবেলায়?

কতকাল আর ভুল অবসন্ন বিকেলে

ভেজা চোখ দেখাইনি তোমায়

সেই কবেকার ভায়োলিন, বেজে যায় কতদিন

প্রানে চাপা ঢেউ, দেখেনি আর কেউ।।

কখনো অভিমান, অবাধ্য পিছুটান 

জানিনা কি কষ্টে এই অবেলায় 

তবুও নির্বাসন বাসর সাজিয়ে, 

ঠোঁটে চেপে ধরা থাক ভালোবাসায়।


ঘুনে খাওয়া মেঘে কালো হয়ে যায় হৃদয় যখন 

একা একা শুধু অকারণেই ঝরে বৃষ্টি এমন

আজও তাই, অবাক রঙে এঁকে যাই

সাদাকালো রঙ মাখা ফানুসের মুহুর্ত রাঙাই

ভীষণ কালো মেঘ, পুড়ে ছাই আবেগে আজও তাই

অবাক জোছনায় পোড়া চোখ তবুও সাজাই।


এই সন্ধ্যায়, দুচোখ সাগরে, বুকের পাঁজড়ে

ভেসে যায়

অবাক জোছনায় লুকিয়ে রেখেছি

ভেজা চোখ দেখাইনি তোমায়।। 

 শিরোনামঃ আবার হাসিমুখ

ব্যান্ডঃ শিরোনামহীন

কথা ও সুরঃ জিয়াউর রহমান

সেই কবে ছিল উচ্ছ্বাস, কিছু শঙ্কায় ভরা চুম্বন

ছিল প্রেমিকার ঘন নিশ্বাস, হাসিমুখে ফোয়ারা।

এই অবেলায় ফোঁটা কাশফুল, নিয়তির মত নির্ভুল

যেন আহত কোন যোদ্ধার বুকে বেঁচে থাকা এক মেঘফুল

যদি ঘরে ফেরা পাখি নিশ্চুপ, হৃদয়ে ঢেউ ভাঙ্গে ছুপছুপ,

তবু জাহাজীর নাগরিক ঢেউ, অপরাধ মেনে নিয়ে কেউ কেউ,

যদি শোঁকগাথা হাতে বহুদূর যাও একদিন ঠিকই এনে দেব হাসিমুখ।।

রোদ্দুর, একসাথে হেঁটে হেঁটে যেতে চাই বহুদূর

বুকের ভেতর ডানা ঝাপ্ টায় পাখি, বেপরোয়া ভাংচুর।

তুমি চেয়ে আছ তাই আমি পথে হেঁটে যাই,

তুমি চেয়ে আছ তাই আমি পথে হেঁটে যাই।


বুকের পাঁজরে ওড়ে প্রজাপতি, স্বপ্নের দিগন্ত রঙিন।

ইচ্ছে হলেই এনে দিতে পারে বেপরোয়া রোদ্দুর ঝলমল দিন।

প্রেমিকার মুখ রক্তিম ছিল রোদ উঠে গেছে তাই

তো্মাদের নগরীতে আমি আজও হেঁটে বেড়াই।।

রোদ্দুর, চলো একসাথে হেঁটে যেতে চাই বহুদূর

বুকের ভেতর ডানা ঝাপ্ টায় পাখি, বেপরোয়া ভাংচুর।


বৃষ্টি ভেজা সুখ-দুখ, খোলা জানালায় হাসিমুখ

উড়ছে কিছু প্রজাপতি মেঘ মনের জানালায়।

জানালায় ছিল রোদ্দুর, মেঘ ভেসে গেল বহূদুর

নগরের প্রিয় চিরকুট সব জীবন ছেড়ে পালায়।

তুমি চেয়ে আছ তাই আমি পথে হেঁটে যাই,

হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই

তুমি চেয়ে আছ তাই আমি পথে হেঁটে যাই,

হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর, বহুদূর..

প্রতিটি রাস্তায়, প্রতিটি জানালায়

তোমাদের যারা হাসিমুখে বহুদূর যেতে চায়;

তুমি চেয়ে আছ তাই আমি পথে হেঁটে যাই,

হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই

তুমি চেয়ে আছ তাই, আমি পথে হেটে যাই,

হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর ...

 গানঃ ঘুম

ব্যান্ডঃ Odd Signature

খোলা চোখখানা করো বন্ধ

বাতাসের ঠাণ্ডা গন্ধ

বয়ে বেড়ায় ঘরেরও বাহিরে

আসো ছোট্ট একটা গান করি

যাতে ঘুম পাড়ানি মাসি এসে পাশে বসে

হাতখানা দিবে কপাল ভরে

ভয় নেই, আছি আমি পাশে

হাতখানা ধরে আছি হেসে

কোলেতে আমার মাথা তোমার। 


অন্ধকার রাত, নিশ্চুপ সব

জোনাকির দল আজও জেগে আছে

তারা হয়তো অপেক্ষায় তোমার ঘুমের

হাতে রেখে হাত দেখে ঘড়ি

বসে অপেক্ষা করি

কবে হবে কাল, ফুটবে সকাল। 


আয়, ঘুম চুম্বন দে তার সারা কপালে

যাতে ঘুম আসে সব নিশ্চুপ হয়ে যায়

আয়, চাঁদমামা কাছে আয়

যাতে অন্ধকার না হয়

আলোমাখা কপালেতে টিপ টা দে

যাতে কিছু আলোকিত হয়

সে যাতে ভয় না পায়। 


পরি আয়, তার দুই হাত ধরে

নিয়ে যা স্বপ্নের খেলাঘরে

যেথা মিলবে তার সুখের ঠিকানায়

তারাদল ছুটে আয় এইখানে

তার ঘুমখানা যাতে না ভাঙে তাই

নিয়ে যা তাকে স্বর্গের বিছানায়

যদি দেখো সেথা আমায়

বসে গান তোমায় শোনাই

তুমি মিষ্টি এক চুমু খেয়ো মোর গালে। 


অন্ধকার রাত, নিশ্চুপ সব

জোনাকির দল আজো জেগে আছে

তারা হয়তো অপেক্ষায় তোমার ঘুমের

হাতে রেখে হাত দেখে ঘড়ি

বসে অপেক্ষা করি

কবে হবে কাল, ফুটবে সকাল। 


আয়, ঘুম চুম্বন দে তার সারা কপালে

যাতে ঘুম আসে সব নিশ্চুপ হয়ে যায়

আয়, চাঁদমামা কাছে আয়

যাতে অন্ধকার না হয়

আলোমাখা কপালেতে টিপ টা দে

যাতে কিছু আলোকিত হয়

আয়...

আয়...

 গানঃ নীল হবো

ব্যান্ডঃ ভাইকিং

নীল এখানে জমে থাকে পাঁজর খুড়েই,

ভীড় ওখানেই বোকা মনের হিসেব মেলাতেই,

ভয় সেখানে জাপটে ধরে বাঁচার আশা ক্ষণিকের, 

চিড় ধরা রাতের বুকে আড়ি পাতা হাহাকার, 

খুঁজে ফেরা কত পথে কে আমি আমি কার...


এবার আমি নীল হবো... 

নিদারুণ আঘাতে থেতলে যাওয়া মাংসের চারপাশের মতো...

এবার আমি রোদ হবো,

মেঘহীন উষ্ণতায় বাড়িয়ে দেওয়া ফাঁপা বুকের মতো।

এবার আমি.... আমার হবো। 


আজ সেখানে থেমে যাওয়া পথের বাঁকেই,

না এভাবে ক্লান্ত পথে দিক হারাবেই,

হোক সেভাবেই, কষ্টগুলো মুঠো-পোড়া নিমিষেই।

তবু চিড় ধরা রাতের বুকে আড়ি পাতা হাহাকার, 

খুঁজে ফেরা কত পথে কে আমি আমি কার...

এবার আমি নীল হবো... 

নিদারুণ আঘাতে থেতলে যাওয়া মাংসের চারপাশের মতো...

এবার আমি রোদ হবো,

মেঘহীন উষ্ণতায় বাড়িয়ে দেওয়া ফাঁপা বুকের মতো।

এবার আমি.... আমার হবো। 


চিড় ধরা রাতের বুকে আড়ি পাতা হাহাকার, 

খুঁজে ফেরা ভুল পথে কে আমি আমি কার...

এবার আমি নীল হবো... 

নিদারুণ আঘাতে থেতলে যাওয়া মাংসের চারপাশের মতো...

এবার আমি রোদ হবো,

মেঘহীন উষ্ণতায় বাড়িয়ে দেওয়া ফাঁপা বুকের মতো।

এবার আমি নীল হবো... 

নিদারুণ আঘাতে থেতলে যাওয়া মাংসের চারপাশের মতো...

এবার আমি রোদ হবো,

মেঘহীন উষ্ণতায় বাড়িয়ে দেওয়া ফাঁপা বুকের মতো।

এবার আমি.... 

 গানঃ প্রিয়তমা

কথাঃ রিতম সেন

কন্ঠঃ অনির্বান ভট্টাচার্য


এ নিশীথে অনায়াসে খেলা করে আলো ছায়া

দূরে পথ ভেসে আছে, ডুবে গেছে আসা যাওয়া; 

এ নিশীথে অনায়াসে খেলা করে আলো ছায়া

দূরে পথ ভেসে আছে, ডুবে গেছে আসা যাওয়া। 

একা হাঁটে কুহকিনী নীরবতা করতলে

অন্তবিহীন কুঁড়ি ফোটে ঝরে যাবে বলে। 

তোমাকে সাজাবে বলে কোটি কথা করি জমা

আশা রাখি দেখা হবে শুভরাত্রি প্রিয়তমা; 

তোমাকে সাজাবে বলে কোটি কথা করি জমা

আশা রাখি দেখা হবে শুভরাত্রি প্রিয়তমা।


এ আঁধারে মায়া বাড়ে পারো যদি কোরো ক্ষমা

আশা রাখি দেখা হবে শুভরাত্রি প্রিয়তমা....

এ আঁধারে মায়া বাড়ে পারো যদি কোরো ক্ষমা

আশা রাখি দেখা হবে শুভরাত্রি প্রিয়তমা....। 

গানঃ কমলায় নৃত্য করে  (Komolay Nritto Kore)

কথা ও সুরঃ অজানা 

তোমরা দেখ গো আসিয়া
কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া,
তোমরা দেখ গো আসিয়া
কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া,
এগো কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া
এগো কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া রে,
কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া হায় রে
কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া,
তোমরা দেখ গো আসিয়া
কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া।।
পাড়া-পড়শী যত নারী
আইলা সবে সারি সারি,
পাড়া-পড়শী যত নারী
আইলা সবে সারি সারি,
এগো সোহাগ ও চন্দন দিলাম
ছিটাইয়া ছিটাইয়া,
এগো সোহাগ ও চন্দন দিলাম
ছিটাইয়া ছিটাইয়া রে,
কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া হায় রে
কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া,
তোমরা দেখ গো আসিয়া
কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া।।
কমলার নৃত্য মাঝে কত রঙের বাদ্য বাজে
কমলার নৃত্য মাঝে কত রঙের বাদ্য বাজে,
এগো ধন্য ধন্য কইলো সবে নাচন দেখিয়া
এগো ধন্য ধন্য কইলো সবে নাচন দেখিয়া রে,
কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া হায় রে
কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া,
তোমরা দেখো গো আসিয়া
কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া।।
আরে নাচে কমলা সুন্দরি
দেখ যেন ইন্দ্রপুরী গো,
আরে নাচে কমলা সুন্দরি
দেখ যেন ইন্দ্রপুরী গো,
এগো কিভাবে বা নাচে দেখো সরমে মরিয়া
এগো কিভাবে বা নাচে দেখো সরমে মরিয়া রে,
কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া হায় রে
কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া,
তোমরা দেখো গো আসিয়া
কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া,
এ গো কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া
এ গো কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া রে,
কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া হায় রে
কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া।।

গানঃ আজ রাতে কোনো রূপকথা নেই

কণ্ঠঃ Mobaswer Chowdhuri

ব্যান্ডঃ Old School

কথাঃ  Ahosanus Sakib


চাঁদমামা আজ বড্ড একা

বড় হয়েছি আমি

রোজ রাতে আর হয়না কথা

হয়না নেওয়া হামি (x2)


রোজ রাতে আর চাঁদের বুড়ি,

কাটেনা চরকা রোজ

ও বুড়ি, তুই আছিস কেমন

হয়না নেওয়া খোঁজ।


কোথায় গেলো সে রুপকথার রাত,

হাজার গল্প শোনা

রাজার কুমার, কোটাল কুমার, পঙ্খীরাজ,

সে ঘোড়া। (x2)


কেড়ে নিলো কে সে আজোব সময়

আমার কাজলা দিদি

কে রে তুই, কোন দৈত্যদানো

সব যে কেড়ে নিলি..


কেরে তুই, কেরে তুই

সব সহজ শৈশবকে বদলে দিলি

কিছু যান্ত্রিক বর্জ্যে।

তুই কে রে, তুই

যত বিষাক্ত প্রলোভনে আমায় ঠেলে দিলি

কোনো এক ভুল স্রোতে। (x2)


আলাদিন আর জাদুর জীনি,

আমায় ডাকছে শোনো

ব্যস্ত আমি ভীষণ রকম,

সময় তো নেই কোনো। (x2)


আলীবাবার দরজা খোলা,

চল্লিশ চোর এলে

সিনদাবাদটা, একলা বসে

আছে সাগর তীরে।


সময়টা আজ কেমন যেন,

বড় হয়ে গেছি আমি

তারাগুলো আজও মেঘের আড়াল,

কোথায় গিয়ে নামি। (x2)


কেড়ে নিলো কে সে আজব সময়

আমার কাজলা দিদি

কে রে তুই, কোন দৈত্যদানো

সব যে কেড়ে নিলি..


কেরে তুই, কেরে তুই

সব সহজ শৈশবকে বদলে দিলি

কিছু যান্ত্রিক বর্জ্যে।

তুই কে রে, তুই

যত বিষাক্ত প্রলোভনে আমায় ঠেলে দিলি

কোনো এক ভুল স্রোতে। (x2)

 Lyrics & Tune by Minar Rahman


কেউ কথা রাখেনি ভালোবাসেনি

কেউ চুপি চুপি পায় কাছে আসেনি।

কেউ গোধূলি বেলায় দু'হাত বাড়িয়ে

খুব আদর মেখে আর ডাকেনি।

আর ডাকেনি....


ঘর ছাড়া বাতাস হয়ে তোমায় ভাসতে চাই

পালতোলা নৌকা আবার হারাবো .....

ঘুম ভাঙা সকাল হয়ে তোমায় হাসতে চাই

চোখজোড়া স্বপ্নে উড়ে বেড়াবো.....


কেউ দূর আকাশে জোছনা মাখে,

কেউ জোনাকির আলোয় গল্প লেখে।

কেউ ধূসর রঙে রঙ্গিন ছবি আঁকে,

ভুতানতিমালা আবারো হাসে।

আবারো হাসে......


ঘর ছাড়া বাতাস হয়ে তোমায় ভাসতে চাই

পালতোলা নৌকা আবার হারাবো.....

ঘুম ভাঙা সকাল হয়ে তোমায় হাসতে চাই

চোখজোড়া স্বপ্নে উড়ে বেড়াবো.....


চেনা পথগুলো আজ দূরে দূরে

ধুলো ধুলো হয়ে তোমাকে ঘিরে হারায়।

সেই পুরোনো ঘর পুরোনো চাদর -

সব স্মৃতি হয়ে দক্ষিণ হাওয়ায় ভাসে।

দক্ষিণ হাওয়ায় ভাসে......


কেউ কথা রাখেনি ভালোবাসেনি

কেউ চুপি চুপি পায় কাছে আসেনি।

কেউ গোধূলি বেলায় দুহাত বাড়িয়ে

খুব আদর মেখে আর ডাকেনি।

আর ডাকেনি....


ঘর ছাড়া বাতাস হয়ে তোমায় ভাসতে চাই

পালতোলা নৌকা আবার হারাবো.....

ঘুম ভাঙা সকাল হয়ে তোমায় হাসতে চাই

চোখজোড়া স্বপ্নে উড়ে বেড়াবো.....

গানঃ আমি কেমন করে পত্র লিখি রে বন্ধু

কণ্ঠঃ মুজিব পরদেশী

কথাঃ মনমোহন দত্ত

আমি কেমন করে পত্র লেখি রে, বন্ধু

আমার গ্রাম, পোস্ট অফিস নাই জানা

তোমায় আমি হলেম অচেনা

তোমায় আমি হলেম অচেনা

আমি কেমন করে পত্র লেখি রে, বন্ধু

গ্রাম, পোস্ট অফিস নাই জানা

তোমায় আমি হলেম অচেনা

তোমায় আমি হলেম অচেনা

হইতা যদি দেশের দেশি

শ্রীচরণের হইতাম দাসী রে

হইতা যদি দাসের দেশি

শ্রীচরণের হইতাম দাসী গো

আমি দাসী হইয়া সঙ্গে যাইতাম, বন্ধু

মানতাম না কারও মানা

তোমায় আমি হলেম অচেনা

তোমায় আমি হলেম অচেনা

আমার শুইলে না আসে নিদ্রা

ক্ষণে ক্ষণে জাগে তন্দ্রা গো

শুইলে না আসে নিদ্রা

ক্ষণে ক্ষণে জাগে তন্দ্রা গো

আমি স্বপন দেখে উঠি জেগে রে, বন্ধু

কেঁদে ভিজাই বিছানা

তোমায় আমি হলেম অচেনা

তোমায় আমি হলেম অচেনা

কবি মনমোহনের মনের ব্যথা

বলা যায় না যথাতথা গো

সাধক মনমোহনের মনের ব্যথা

বলা যায় না যথাতথা রে

আমি কার কাছে বলিবো ব্যথা রে

বন্ধু, কেউ নাই আমার আপনা

তোমায় আমি হলেম অচেনা

তোমায় আমি হলেম অচেনা

আমি কেমন করে পত্র লেখি রে, বন্ধু

গ্রাম, পোস্ট অফিস নাই জানা

তোমায় আমি হলেম অচেনা

তোমায় আমি হলেম অচেনা

তোমায় আমি হলেম অচেনা

তোমায় আমি হলেম অচেনা

 Tune- Mechanix; Lyrics- Sheikh M Reaz


ম্লানচিত্র 

দেখছি শুধু পচন ধরা সমাজের চিত্র

মনুষ্যত্বের হারানো গল্পে ছেয়ে গেছে মানচিত্র

জীবন এখন অনেক মেকী মিথ্যের কাব্যে

হতাশার চাপা মিছিলে ক্রোধের দাবানলে


ভয়ের শহরে আমরা সবাই মুখোশের আড়ালে

বেচে থাকার আশা খুজি অন্যের জীবনে

হারিয়ে গেছে তোমার সম্ভ্রম 

হারিয়ে গেছে কোন মা

ক্ষমতায় থাকতে হবে তাই কুপিয়ে ভালবাসা


ধর্ম এখন শুধুই ব্যবসা 

হতে  চাই আমি লিডার

শান্তি খোজে পথ যুদ্ধের কোরাসে


 কোন পথে আমরা ছুটেছি

 মানবতার দেয়াল ভেঙ্গে 

 স্বাধীনতার রঙ্গিন খোলস এখন

 ভাসছে দেখো এই ম্লানচিত্রে 


দেখছি সবই আমি নিথর কোন ব্যর্থ কবি

আমার চিৎকার শুনতে কি পাও এ গানে? 

তবে কি আমরা সবাই মুক্তির পথ ভুলে 

হয়ে রবো ম্লানচিত্রের কৃতদাস? 


মানুষ এখন শুধু পন্য যান্ত্রিক কোলাহলে

ভালবাসা সে তো রঙ্গিন দৃষ্টির রেস্টুরেন্ট 

বোকা বাক্সে বন্দী জীবন লাইক আর স্ট্যাটাসে 

ক্যাসিনোতে উড়ছে টাকা সাধারণ জনগণের


গণতন্ত্র এখন শুধু ফেসবুকের স্ট্যাটেসে

বাকস্বাধীনতার পরোয়া করি না ক্ষমতার দাপটে

আর কত রক্তে তুমি কিনবে স্বাধীনতা 

নেশা আর টাকার লোভে আসুক পরাধীনতা


ধর্ম এখন শুধুই ব্যবসা 

হতে চাই আমি লিডার

শান্তি খোজে পথ যুদ্ধের কোরাসে


কোন পথে আমরা চলেছি

মানবতার দেয়াল ভেঙ্গে

স্বাধীনতার রঙ্গিন খোলস এখন

ভাসছে দেখো এ ম্লানচিত্রে 


দেখছি সবই আমি নিথর কোন ব্যর্থ কবি

আমার চিৎকার শুনতে কি পাও এ গানে? 

তবে কি আমরা সবাই মুক্তির পথ ভুলে 

হয়ে রবো ম্লানচিত্রের কৃতদাস?

Song: Tumi Ashbe Bole; Song: তুমি আসবে বলে; Artiste: Nachiketa; Music Director: Nachiketa; Lyricist: Nachiketa; Album: Ei Agune Haat Rakho


তুমি আসবে বলেই

তুমি আসবে বলেই আকাশ মেঘলা বৃষ্টি এখনো হয়নি

তুমি আসবে বলেই কৃষ্ণচূড়ার ফুলগুলো ঝরে যায়নি

তুমি আসবে বলেই

তুমি আসবে বলেই অন্ধ কানাই বসে আছে গান গায়নি

তুমি আসবে বলেই অন্ধ কানাই বসে আছে গান গায়নি

তুমি আসবে বলেই চৌরাস্তার পুলিশটা ঘুষ খায়নি

তুমি আসবে বলেই

তুমি আসবে বলেই জাকির হুসাইন ভুল করে ফেলে তালে

তুমি আসবে বলেই মুখ্যমন্ত্রী চুমু খেল স্ত্রীর গালে

তুমি আসবে বলেই সোনালী স্বপ্ন ভীড় করে আসে চোখে

তুমি আসবে বলেই আগামী বলছে দেখতে আসবো তোকে

তুমি আসবে বলেই

তুমি আসবে বলেই আমার দ্বিধারা উত্তর খুঁজে পায়নি

তুমি আসবে বলেই দেশটা এখনো গুজরাট হয়ে যায়নি

তুমি আসবে বলেই

তুমি আসবে বলেই সন্ত্রাসবাদ গুটিয়ে নিয়েছে থাবা

তুমি আসবে বলেই জ্যোতিষ ছেড়েছে কত না ভন্ড বাবা

তুমি আসবে বলেই পাড়ার মেয়েরা মুখ করে আছে ভার

তুমি আসবে বলেই ঈশান কোণেতে জমেছে অন্ধকার

তুমি আসবে বলেই

তুমি আসবে বলেই বখাটে ছেলেটা শিস দিতে দিতে দেয়নি

তুমি আসবে বলেই আমার কলম এখনও বিক্রি হয়নি

তুমি আসবে বলেই

তুমি আসবে বলেই

তুমি আসবে বলেই

Song: Oniket Prantor; Band: Artcell; Lyric: Artcell; Tune: Artcell; Music: Artcell; 

Album: Oniket Prantor

অনিকেত প্রান্তর

তবু এই দেয়ালের শরীরে

যত ছেঁড়া রঙ ধুয়ে যাওয়া মানুষ

পেশাদার প্রতিহিংসা তোমার চেতনার

যত উদ্ভাসিত আলো রঙ

আকাশের মতন অকস্মাৎ নীল

নীলে ডুবে থাকা তোমার প্রিয় কোনো মুখ

তার চোখের কাছাকাছি এসে কেন পথ ভেঙে

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে

বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

তবু এইখানে আছে অবলীল হাওয়া

জানালা বদ্ধ ঘরে আসে যায়

দেয়াল ধরে বেড়ে ওঠে মধ্যরাত

তোমার ছায়ায় জমে এসে ভয়

আলোকে চিনে নেয় আমার অবাধ্য সাহস

ভেতরে এখন কি নেই কাপুরুষ অন্ধকার একা?

তোমাকে ঘিরে পথগুলো সব সরে যায়

রাত্রির এই একা ঘর শূন্যের কাঁটাতারে

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে

মিশে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

তবু এই দু'টি কাঁটাতারে, শহরের মতো করে

ভিড়ে ভরে গেছে ঘুম আমার

অচেতন কখন বেওয়ারিশ, মাটির কাছে এসে

সময় কে epitaph ভেবে হাঁটু গেড়ে বসে

তবু এখানে বাতাস আসে দুরত্বের উৎসাহে

শরৎ জমে আছে ঠাণ্ডা ঘাসে

তোমার চোখের মাঝে দূরের একা পথ

এখানে ভাঙে না দু'টো দেশে

মেঘের দূরপথ ভেঙে বুকের গভীর অন্ধকারে

আলোর নির্বাসন স্মৃতির মতন

অবিকল স্বপ্নঘর বাঁধা স্মৃতির অন্ধ নির্জনে

সময় থেমে থাকে অনাগত যুদ্ধের বিপরীতে

এখানে সরণির লেখা নেই নাম, কোনো শহীদ স্মারকে

তোমার জন্য জমা থাকে শুধু স্বপ্নঘর

জানালায় ঝুলে থাকে না শূন্যতার অবচেতন

তোমার ঘরের অন্ধ আলোয় অদেখা

এখানের নির্জন অনিকেত প্রান্তর

তবুও তোমার ভাঙা স্মৃতি, ছেঁড়া স্বপ্ন, দোমড়ানো খেলাঘর

ছেঁড়া আকাশ, ভাঙা কাঁচে

আলো আর অন্ধকার তোমার

তোমার দেয়ালে কত লেখা

মানুষের দেয়ালে দেয়াল

বেড়ে ওঠে কাঁটাতার

এখানে এ মহান মানচিত্রের ভাগাড়

তোমার শূন্যঘরে ভরা স্মৃতি

জড় পাথরে লেখা নাম – শহীদ স্মরণী

জানালার বাইরে ভেসে গেছে দূরের আকাশ

বিঁধে আছি সময়ের কাঁটাতারে

বিঁধে আছো ছেঁড়া আকাশের মত তুমি

তোমার স্বপ্নের দলা পাকানো

বাসি কবিতা, নষ্ট গানে

তোমার জানালার বাইরে শূন্য আকাশ

তবু অনিকেত এই প্রান্তরে

এখানে এখনও শরতের প্রচুর বাতাসে

সবুজের ঘ্রাণে ভরে আছে অন্ধকার এ ঘর তোমার

দেয়ালে এখন শুধু মৃত্যুর মৃত রেখাপাত

তোমাকে কড়া নাড়ে স্মৃতিরা, ভাঙা স্বপ্ন

ঘুমের মত নেশাময় কত

কত শিশু, কত আলোর মশাল নিভে গেছে

নিভে গেছে কত অচেনা ভয়

তোমাকে এখন অপরিণত এক অচেনা স্মৃতি মনে হয়

তোমার জানালার বাইরে শূন্যে

দূরের স্বপ্নঘর, ঝুলে আছি নির্জনতায়

মৃত্যু কি অনিকেত প্রান্তর?